নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
ঘরোয়া ফুটবলে ২০১২-১৩ মৌসুমের ট্রেবল জয়ী শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রকে বিদায় করে ওয়ালটন ফেডারেশন কাপের ফাইনালে পৌঁছে গেল নবাগত বসুন্ধরা কিংস। গতকাল সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ফেডারেশন কাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে বসুন্ধরা ১-০ গোলে হারায় শেখ রাসেলকে। বিজয়ী দলের হয়ে একমাত্র জয়সূচক গোলটি করেন বদলি ফরোয়ার্ড তৌহিদুল আলম সবুজ।
ঘরোয়া আসরে প্রথম অংশগ্রহণেই নজরকাড়া পারফরমেন্স বসুন্ধরা কিংসের। দেশের ফুটবলে স্বীকৃত শক্তিদের পেছনে ফেলে তারা মৌসুম সূচক টুর্নামেন্টের ফাইনালে জায়গা পেল। এটা কম কৃতিত্বের নয়। আগামী শুক্রবার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ফেডারেশন কাপের ফাইনালে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ঢাকা আবাহনীর মুখোমুখী হবে বসুন্ধরা।
নতুন ফুটবল মৌসুমে বড় এক চমকের নাম বসুন্ধরা কিংস। চ্যাম্পিয়নশিপ লিগ থেকে উঠে বিগ বাজেটের দল গড়ে প্রথম চমক দেখায় তারা। চলতি বছর রাশিয়া বিশ্বকাপে কোস্টারিকার হয়ে খেলা কলিনড্রেসকে নিজেদের দলে ভিড়িয়ে দ্বিতীয় চমকের দাবীদার বসুন্ধরা। আর মৌসুমের প্রথম টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠে চমক দেখানোর ষোলকলা পূর্ণ করলো নবাগত দলটি।
কাল ম্যাচ শুরুর আগেই বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের পূর্ব গ্যালারিতে প্রায় হাজার দু’য়েক দর্শক লাল পতাকা নিয়ে হাজির। বসুন্ধরার প্রতিটি আক্রমনে উল্লাস করেছেন তারা। বেজেছে বাদ্য যন্ত্র। গ্যালারীতে ছিলেন উঠতি বয়সের বেশ ক’জন মডেল তারকা। শুধু তাই নয়, পুরো স্টেডিয়ামে ছড়িয়ে-ছটিয়ে ছিলেন প্রায় ৫ হাজার দর্শক। সবাই বসুন্ধরার সমর্থক। দলের সাফল্যে তারা উল্লাসে ফেটে পড়েছেন।
ম্যাচের শুরু থেকেই আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে খেলা চললেও নির্ধারিত ৯০ মিনিটে গোলের দেখা পায়নি কেউ। অপেক্ষাকৃত বেশী গোলের সুযোগ নষ্ট করেছে বসুন্ধরা। তাদের নেয়া শট কখনো বারে লেগে ফিরেছে। কখনো ক্রসবারে ধাক্কা খেয়েছে। দুর্ভাগ্য যেন বার বার তাদেরকে তাড়া করেছে। তবে শেষ পর্যন্ত সাফল্য পেয়েছে নবাগত দলটিই। ৮ মিনিটে প্রথম সুযোগ নষ্ট করে বসুন্ধরা। এসময় ফরোয়ার্ড মাহবুবুর রহমান সুফিল ছোট বক্সের সামনে থেকে আলতো টোকায় রাসেল গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানার মাথার উপর দিয়ে বল তুলে দিলেও রানার চোখ ফাঁকি দিতে পারেননি। রানা ফিস্ট করে বল ফিরিয়ে দেন। ফিরতি বলে শট নেন মাসুক মিয়া জনি। সেই বলটি গোল লাইন থেকে প্রতিহত করেন শেখ রাসেলের নাইজেরিয়ান ডিফেন্ডার ওদুকা এলিসন। দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা আক্রমনাতœক ছিলো রাসেলের ফরোয়ার্ডরা। বার কয়েক আক্রমনও করেছিল। কিন্তু গোলের দেখা পায়নি সাইফুল বারী টিটুর শিষ্যরা। ফলে নির্ধারীত সময়ের খেলা গোলশূণ্য অমিমাংসিতভাবেই শেষ হয়। ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। অতিরিক্ত ৩০ মিনিটের খেলা শেষ হওয়ার দু’মিনিট আগে কাঙ্খিত গোলের দেখা পায় বসুন্ধরা। এসময় দলের অধিনায়ক কলিন্ড্রেসের প্রথম প্রচেষ্টায় নেয়া শটটি পোষ্টে লেগে ফিরে আসলেও ফিরতি বলে ভুল করেননি বদলি ফরোয়ার্ড সবুজ। প্লেসিং শটে গোল করে বসুন্ধরা জয় এনে দেন এই ফরোয়ার্ড (১-০)। গোলরক্ষক রানা হাত দিয়ে বল ধরলেও তা গ্রিপে ধরে রাখতে পারেননি। শেষ পর্যন্ত জালেই বল জড়ায়। আর তাতেই জার্সী খুলে বুনো উৎসবে মেতে উঠেন বসুন্ধরার খেলোয়াড়রা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।