বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নেত্রকোনা সদর উপজেলার দক্ষিণ বিশিউড়া ইউনিয়নের দাপুনিয়া গ্রামের ধান ক্ষেত থেকে উদ্ধার হওয়া মল্লিকা বেগম (১৮) হত্যাকাণ্ডের মূলহোতা তার পাষণ্ড স্বামী মাদকাসক্ত হৃদয় হোসেন জুয়েলকে (২২) গ্রেফতার এবং হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ।
নেত্রকোনা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে মঙ্গলবার দুপুরে প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এস পি পদে সদ্য পদোন্নতি প্রাপ্ত) এস এম আশরাফুল আলম জানান, নেত্রকোনা সদর উপজেলার কাইলাটী ইউনিয়নের চাপান নোয়াদার গ্রামের মোঃ আব্দুল মজিদ ওরফে মতি’র ছেলে হৃদয় হোসেন জুয়েল গাজীপুরের শ্রীপুরে একটি ভাঙ্গারী দোকানে কাজ করতো। সেখানে ৪ বছর পূর্বে ময়মনসিংহ জেলার ধোবাউড়া উপজেলার ভেদীকুড়া গ্রামের আবদুল মান্নানের মেয়ে গার্মেন্টস কর্মী মল্লিকার সাথে পরিচয় ও বিয়ে হয়। এর আগেও জুয়েল আরো দুটি বিয়ে করেছিল। বিয়ের পর মাদকাসক্ত হয়ে পড়ায় কাজ কর্ম ছেড়ে তৃতীয় বৌয়ের রোজগারের টাকায় নেশা করতো। সংসারের অভাব অনটন ও দাম্পত্য কলহের জের ধরে মল্লিকা স্বামী জুয়েলের সাথে রাগ করে গত ১৩ নভেম্বর দক্ষিণ বিশিউড়ায় তার নানা বাড়ীতে চলে আসে। খবর পেয়ে জুয়েল গত ১৬ নভেম্বর দক্ষিণ বিশিউড়ায় এসে রাতে স্ত্রীকে বুঝানোর কথা বলে বাড়ী থেকে বের প্রায় এক মাইল দূরে একটি ধান ক্ষেতে নিয়ে গিয়ে শ্বাস রোধ করে হত্যা করে পালিয়ে যায়। পুলিশ পরদিন তার লাশ উদ্ধার করে। লাশের কাছে একটি জন্মসনদ দেখে পুলিশ লাশের পরিচয় সনাক্ত করে এবং আধুনিক তথ্য প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে ঘাতক জুয়েলের অবস্থান সনাক্ত করে গত সোমবার রাতে নরসিংদীর শিবপুর থেকে তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে আসে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সংসারের অভাব অনটন ও দাম্পত্য কলহের কারণে স্ত্রীকে খুন করেছে বলে স্বীকারোক্তি প্রদান করেছে। প্রেস ব্রিফিংয়ে নেত্রকোনা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফখরুজ্জামান জুয়েল ও নেত্রকোনা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ বোরহান উদ্দিন খান উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।