Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

থাই-মিয়ানমার সীমান্তের বিস্মৃত উদ্বাস্তু সঙ্কট

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ১৯ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

মিয়ানমারের জাতিগত এলাকাগুলোতে কয়েক দশকের চিত্র হলো সঙ্ঘাত আর বাস্তুচ্যুতি। গত ১৫ মাসে পশ্চিম রাখাইন রাজ্য থেকে সাত লাখ রোহিঙ্গার দেশত্যাগ আন্তর্জাতিক মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। কিন্তু অনেক এলাকায় দীর্ঘ দিন ধরে সঙ্ঘাত চলছে, ব্যাপক নির্যাতন হলেও তা নিয়ে তেমন আলোচনা হচ্ছে না। থাইল্যান্ড সীমান্তবর্তী দক্ষিণ-পূর্ব মিয়ানমারে বিপুলসংখ্যক অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুহারা লোক রয়েছে। সা¤প্রতিক সরেজমিন সমীক্ষায় দেখা গেছে, তারা মারাত্মক খাদ্য নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী প্রায় এক লাখ ৬২ হাজার লোক উদ্বাস্তু হয়েছে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর অভিযানের কারণে। এসব এলাকায় প্রতি ছয়টি শিশুর একটি মারাত্মক অপুষ্টিতে ভুগছে। থাইল্যান্ডভিত্তিক এনজিও দি বর্ডার কনসোর্টিয়াম ১৯৮৪ সাল থেকে সীমান্ত এলাকায় উদ্বাস্তুদের সহায়তা দিয়ে আসছে। বুধবার টিবিসির হিসাব অনুযায়ী দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্তে আড়াই লাখ উদ্বাস্তু রয়েছে। টিবিসির নির্বাহী পরিচালক স্যালি টমসন বলেন, আরো ৮৭ লাখ উদ্বাস্তু এখনো থাইল্যান্ডের ৯টি শিবিরে অবস্থান করছে। তিনি বলেন, এখনো সৈন্যরা অবস্থান করায় এসব লোক তাদের বাড়িঘরে ফিরে যেতে ভয় পাচ্ছে। মিয়ানমারে ২০১৬ সাল থেকে আং সান সু চির নেতৃত্বে বেসামরিক সরকার থাকলেও তারা সামরিক বাহিনীর নির্যাতন থেকে দেশবাসীকে রক্ষা করার কাজে খুব সামান্যই নজর দিচ্ছে। আবার প্রতিরক্ষা, স্বরাষ্ট্র ও সীমান্ত বিষয়ক মন্ত্রণালয়গুলো সামরিক বাহিনীর হাতে থাকায় বেসামরিক প্রশাসন খুব বেশি কিছু করতেও পারে না। জাতিগত গ্রুপগুলোকে নিয়ে যে শান্তিপ্রক্রিয়ার আয়োজন করা হয়েছিল, সেটিও থমকে রয়েছে। কাক্সিক্ষত অগ্রগতি না হওয়ায় অনেক গ্রুপ এখন শান্তিপ্রক্রিয়া থেকে নিজেদের সরিয়ে নেয়ার কথাও ভাবছে। এদিকে সামরিক বাহিনীর ওপর আস্থা খুবই কম। বিশেষ করে সামরিক বাহিনীর নৃশংসতার কারণে উদ্বাস্তুরা তাদের বাড়িঘরে ফিরে যেতে খুবই ভয় পাচ্ছে। এএফপি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মিয়ানমার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ