মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মিয়ানমারেরর একটি শরণার্থী শিবিরে অভিযান চলাকালে রোহিঙ্গাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়েছে পুলিশ। এতে অন্তত ৪ রোহিঙ্গা মুসলিম গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। পশ্চিমাঞ্চলের রাখাইনে বাস্ত্যুচুত রোহিঙ্গাদের জন্য নির্মিত একটি শরণার্থী শিবির থেকে মানবপাচারের অভিযোগে দু’জনকে গ্রেফতারের পর এ ঘটনা ঘটে। খবর রয়টার্স।
রোববার প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সকালের দিকে রাখাইনের রাজধানী সিত্তে থেকে পূর্বাঞ্চলের ১৫ কিলোমিটার দূরের এএইচ নওক ইয়ে শরণার্থী শিবিরে পুলিশের ২০ সদস্যের একটি দল অভিযান চালিয়ে দু’জনকে গ্রেফতার করে। ১০৬ জন রোহিঙ্গাকে মিয়ানমার থেকে পাচারের অভিযোগে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। গত শুক্রবার নৌকায় করে তারা ওই রোহিঙ্গাদের দেশের বাইরে পাচারের চেষ্টা করেছিল বলে জানায় পুলিশ।
রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী রোহিঙ্গা যুবক (২৭) মং মং আয়ে রয়টার্সকে বলেছেন, পুলিশের গুলিতে চারজন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। টেলিফোনে তিনি বলেন, বাইরে কী ঘটছে তা জানার জন্য লোকজন শিবির থেকে বাইরে বেরিয়ে এসেছিল। এ সময় তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায় পুলিশ।
তবে পুলিশ বলছে, রোহিঙ্গারা ছুরি হাতে পুলিশ সদস্যদের চারদিক থেকে ঘিরে ফেলে এবং পাথর নিক্ষেপ করে। এতে বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা আহত হয়েছেন।
পার্শ্ববর্তী পুলিশ স্টেশনের পরিদর্শক থ্যান হতেই বলেন, ‘আমি শুনেছি, শরণার্থী শিবিরের বাঙালিরা গ্রেফতারকৃত দু’জনকে পুলিশের হাত থেকে ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করেছে। এসময় পুলিশ সতর্কতা হিসেবে ফাঁকা গুলি ছুড়েছে। এতে কয়েকজন বাঙালি আহত হয়েছে বলেও আমি শুনেছি। তবে আমি বিস্তারিত জানি না।’
মিয়ানমারের অনেক মানুষ রোহিঙ্গাদের বাঙালি বলে ডাকে। এমনকি তাদেরকে বাংলাদেশ থেকে সেদেশে পাড়ি জমানো অবৈধ অভিবাসী হিসেবেও মনে করে।
চলতি বছরের অক্টোবরে বাংলাদেশ-মিয়ানমারের স্বাক্ষরিত চুক্তি অনুযায়ী, প্রথম দফায় দুই হাজারের বেশি রোহিঙ্গাকে রাখাইনে প্রত্যাবাসন শুরুর কথা ছিল গত বৃহস্পতিবার। কিন্তু এই প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার শুরু হওয়া নিয়ে ব্যাপক সন্দেহ দেখা দেয়; শেষ পর্যন্ত রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া আলোর মুখ দেখেনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।