মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
নতুন নাগরিকত্ব আইন নিয়ে ভারতে পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হচ্ছে। এর অনিবার্য ফল হিসাবে সেকানে প্রায় দু’কোটি মানুষ এখন রাষ্ট্রবিহীন হয়ে ভাসমান জনগোষ্ঠীতে পরিণত হওয়ার বিড়ম্বনার সম্মুখীন। অসমিয়া গণমাধ্যমের এক খবরে জানানো হয়েছে, বিরোধীদের ক্ষোভ সামাল দিতে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলে এবার বাঙ্গালী হিন্দুদেরকেও বাদ দেওয়ার সুপারিশ করবে যৌথ সংসদীয় কমিটি (জেপিসি) বলে অনুমান করা হচ্ছে। খবর টাইমএইট।
জেপিসির সদস্য ভুবনেশ্বর কলিতার জানিয়েছে, বাংলাদেশিদের বাদ দিয়ে শুধু পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে আসা হিন্দুদেরই নাগরিকত্ব দেওয়ার সুপারিশ করা হতে পারে। আগামী ২০ নভেম্বর দিল্লিতে বসছে জেপিসির বৈঠক। জানা গেছে, বৈঠকের আগে সদস্যদের বক্তব্য লিখিতভাবে পেশ করতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ভারতের সংবিধানের দ্বিতীয় অধ্যায়ে ৫ নম্বর থেকে ১১ নম্বর, অর্থাৎ মোট সাতটি ধারায় নাগরিকত্বের প্রশ্নে স্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে। ৫ ও ৬ ধারার তিনটে করে উপধারা আছে।
৫(এ) ধারায় বলা হয়েছে, যারা ভারতীয় ভূখণ্ডে জন্মগ্রহণ করবেন, তারা জন্মসূত্রে ভারতীয় নাগরিক হিসাবে গণ্য হবেন। ৬(বি) ধারায় বলা হয়েছে, পাকিস্তান (পাকিস্তান ও বাংলাদেশ) থেকে ভারতে আগত মানুষকে ভারতের সংবিধান কার্যকর হওয়ার দিন থেকে ভারতের নাগরিক হিসাবে গণ্য করা হবে, যদি তিনি ১৯৪৮ সালের ১৯ জুলাই বা তার আগে ভারতে চলে এসে থাকেন। স্পষ্টত, রাষ্ট্রনায়করা বুঝেছিলেন যে দেশভাগ ও উদ্বাস্তু সমস্যা সমার্থক, এবং যেহেতু এই সমস্যা সমাধানে সার্বিক জনবিনিময় বাস্তবসম্মত নয়, ঈপ্সিতও নয়, তাই উভয় দেশের সরকারই নিজ নিজ দেশের সংখ্যালঘুদের স্থানান্তরণের ইচ্ছাকে মর্যাদা দানের কথা ঘোষণা করে উদ্বাস্তুদের দায়িত্ব নিতে অঙ্গীকার করেছিলেন।
সম্প্রতি বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও আফগানিস্তান থেকে আসা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ও শিখদের নাগরিকত্ব দিতে ভারতের পার্লামেন্টে একটি বিল আনেন নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন বিজেপি সরকার। বিলটি বর্তমানে রাজেন্দ্র আগরওয়ালের নেতৃত্বাধীন জেপিসির বিবেচনাধীন। বিলটিকে ঘিরে আসামে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের পাশাপাশি চলছে উগ্রপন্থীদের হুংকার। এর মধ্যে পাঁচ বাঙালি হিন্দু খুনও হয়েছেন।
নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়ে দিল্লিতে আন্দোলনের ডাক দিয়েছে আসামের ৭০টি সংগঠন। এ মাসের শেষে তারা ‘হিন্দু বাংলাদেশি’দের বিরুদ্ধে দিল্লিতে ‘সত্যাগ্রহ’ করবে বলে জানিয়েছে। অহম ছাত্র সংস্থার (আটাসু) সভাপতি বসন্ত গগৈ গতকাল শনিবার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, আসামে বাংলাদেশিদের কোনো স্থান নেই।
আরেক ধাপ এগিয়ে কৃষক মুক্তি সংগ্রাম সমিতির নেতা অখিল গগৈ বলেছেন, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাসের চেষ্টা হলে আসামের বিজেপি সরকারকে ব্রহ্মপুত্রের পানিতে নিক্ষেপ করা হবে।
অখিলের অভিযোগ, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলটি পাস হলে অন্তত ১ কোটি ৯০ লাখ বাংলাদেশি হিন্দু আসামে চলে আসবে। এ কারণে অসমিয়ারা হারাবেন নিজেদের ভিটেমাটি। অখিলের এই তথ্য মানতে নারাজ বিজেপির বিধায়ক শিলাদিত্য দেব। তিনি হিন্দুদের ভারতে আসাকে স্বাগত জানিয়েছেন। বিরোধিতা করেছেন মুসলিম অনুপ্রবেশের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।