মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
সউদী আরবের কিছু নারী বিশেষ পোশাক আবায়া বা বোরকার বিরুদ্ধে অভিনব প্রতিবাদ শুরু করেছেন। ইনসাইড-আউট আবায়া-হ্যাশট্যাগ দিয়ে তারা সামাজিক নেটওয়ার্কে ছবি পোস্ট করছেন। সউদী নারীরা তাদের এই অভিনব প্রতিবাদে আবায়া বা বোরকা উল্টো করে পরে সেই ছবি পোস্ট করছেন। প্রায় পাঁচ হাজার নারী এই হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে টুইট করেছেন। তাদের বেশিরভাগই সউদী আরবেই বসবাস করেন। খবর দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
দশকের পর দশক ধরে কঠোর বিধিনিষেধ মেনে সউদী নারীদের পোশাক পরতে হয়। ঘরের বাইরে বেরুতে হলেই আপাদমস্তক ঢাকা কালো রঙের বিশেষ পোশাক আবায়া বা বোরকা পরতে হয়। কিন্তু গত মার্চ মাসে সউদী যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বলেছিলেন, “নারীরা মার্জিত এবং সম্মানজনক পোশাক পরবেন। এর মানে এই নয় যে, নারীরা আপাদমস্তক ঢাকা কালো রঙের পোশাক বা আবায়া পরবেন।” তিনি আরও বলেছিলেন, ইসলামে আপাদমস্তক ঢাকা কালো পোশাক পরা বাধ্যতামূলক নয়। এ ব্যাপারে শরীয়া আইনটি স্পষ্ট বলেও তিনি উল্লেখ করেছিলেন। তবে, তার এই বক্তব্যের পরও নারীদের পোশাকের ওপর বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়নি এবং আনুষ্ঠানিক কোন নির্দেশ দেয়া হয়নি।
হাওরা নামের একজন সউদী নারী টুইটারে লিখেছেন, আপাদমস্তক ঢাকার কালো রঙের পোশাক আবায়া উল্টো করে পরে সেই ছবি পোস্ট করে তারা রাষ্ট্রের বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছেন। তারা নিজের চেহারা প্রকাশ করছেন না। কারণ তাদের পরিচয় প্রকাশ করলে, সেটা তাদের জন্য হুমকি হতে পারে। তিনি আরও লিখেছেন, “আমাদের সব সময় মুখ ঢাকার নিকাব এবং আবায়া পরে কাজ করতে হবে। এটা একজন মানুষের জন্য অনেক বড় বোঝা।”
আরেকজন নারী লিখেছেন, “একজন সউদী নারী হিসেবে এই পোশাকে আমি স্বাধীনতা অনুভব করিনা। আমি আইনের চাপে সব জায়গায় আবায়া পরতে বাধ্য হই। কিন্তু আমি আমার বাড়ির ভিতরে এটি আর নিতে পারি না।”
গত বছরে সউদী বাদশাহ এক ডিক্রি জারি করে নারীদের গাড়ি চালানোর অনুমতি দেন। গাড়ি চালানোর পাশাপাশি নারীরা স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখারও অনুমতি পেয়েছেন। তিন বছর আগে নারীরা সেখানে ভোটও দিতে পেরেছেন। কিন্তু এখনও তাদের অনেক কাজে বাঁধা রয়েছে।
সউদী নারীরা তাদের পুরুষ অভিভাবক সাধারণত স্বামী, বাবা, ভাই বা পুত্রের কাছ থেকে অনুমতি ছাড়া অনেক কাজ করতে পারেন না। এসব কাজের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে,
একজন সউদী নারী তার পুরুষ অভিভাবকের অনুমতি ছাড়া পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে পারেন না।
পুরুষ অভিভাবকে অনুমতি ছাড়া কোন সউদী নারী বাইরে ভ্রমণে যেতে পারেন না।
সউদী নারীর বিয়ে করার ক্ষেত্রে পুরুষ অভিভাবকের অনুমতি নেয়া বাধ্যতামূলক।
কোন সউদী নারী নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে চাইলেও তাকে পুরুষ অভিভাবকের অনুমতি নিতে হবে।
একজন সউদী নারীর ব্যবসা শুরু করার ক্ষেত্রেও পুরুষ অভিভাবকের অনুমতি প্রয়োজন।
কোন সউদী নারীর কারাগার থেকে বের হওয়ার ক্ষেত্রেও পুরুষ অভিভাবকের অনুমতি নিতে হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।