মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মালদ্বীপের নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে শনিবার শপথ গ্রহণ করেছেন ইবরাহিম মোহামেদ সলিহ। শপথ গ্রহণের পর তিনি দুর্নীতি দমন ও বিগত সরকারের মানবাধিকার হরণের বিষয়ে বিচারের আশ্বাস দিয়েছেন। তার শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কয়েক হাজার মালদ্বীপবাসী। সেখানে যে তিনশ বিদেশি উপস্থিত ছিলেন তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য একজন হচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একদিকে সলিহ যেমন পররাষ্ট্র নীতিতে ভারতকে অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা খোলাখুলি বলেছেন, অন্যদিকে তেমনি মালদ্বীপকে বিভিন্ন খাতে সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ভারত।
গত সেপ্টেম্বর মাসের নির্বাচনে বিজয়ী হন সলিহ। তার বিজয় অনেকের কাছেই বিস্ময়কর। নির্বাচনের আগের পাঁচ বছর ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট ইয়ামিন দেশটিতে প্রায় সব বিরোধী মতের নেতাকে জেলে পুরেছিলেন। বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করে দিয়েছিলেন। গ্রেফতার করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারকদের। তিনি সংসদও খারিজ করে রেখেছিলেন দীর্ঘ সময় ধরে। এমন পরিস্থিতিতে মধ্যে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচিত হয়ে আসেন ইবরাহিম মোহামেদ সলিহ। সাবেক প্রেসিডেন্ট ইয়েমিনের সময় যাদেরকে গ্রেফতার করে রাখা হয়েছিল, সলিহর বিজয়ের পর তাদের প্রায় সবাইকেই মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে।
শপথ অনুষ্ঠানে সলিহকে গান স্যালুট দেওয়া হয়। তিনি মালদ্বীপের সপ্তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দ্বায়িত্ব গ্রহণ করেন। শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানটি আয়োজন করা হয়েছিল রাজধানী মালেতে অবস্থিত জাতীয় ফুটবল স্টেডিয়ামে। প্রায় ১২ হাজার মানুষের সামনে শপথ গ্রহণের পর সলিহ বলেন, ‘আমাদেরকে সামনের দিকে তাকাতে হবে যাতে আমাদেরকে যেসব অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছিল সেগুলোর প্রাপ্তি আমরা নিশ্চিত করতে পারি এবং বিপর্যস্ত অবস্থা থেকে দেশকে বাঁচাতে পারি।’
তিনি আরও বলেছেন, ‘যাদেরকে নিপীড়ন করা হয়েছে তাদেরকে ন্যায় বিচার পাইয়ে দিতে আমাদের চেষ্টা করতে হবে। আর্থিক অবস্থাকে শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে হবে। হত্যা এবং গুমের ঘটনার তদন্ত করা হবে এবং তার ফলাফল প্রকাশ করা হবে। ঐক্যবদ্ধ জাতি হিসেবে এগিয়ে যাওয়ার জন্য আমাদের এই বিষয়গুলোর ফয়সালা করা দরকার।’
সলিহর শপথ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সাবেক প্রেসিডেন্ট ইয়েমিন চীনের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ছিলেন। ইয়েমিনের সময়কালে চীন মালদ্বীপের অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য ১৫০ কোটি ডলারের ঋণ দিয়েছিল। বর্তমান প্রেসিডেন্ট সলিহ মনে করেন, দেশটি এতে অর্থনৈতিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। যেসব প্রকল্পের জন্য চীনা ঋণ নেওয়া হয়েছিল, সেগুলো তার দৃষ্টিতে নিছক রাজনৈতিক উদ্দেশে গ্রহণ করা প্রকল্প। সলিহ সোজাসুজি জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি ‘ইন্ডিয়া ফার্স্ট’ নীতিতে পররাষ্ট্র সংক্রান্ত বিষয়গুলোর ফয়সালা করবেন। আর মোদি শুক্রবার এক ফেসবুক পোস্টে ইতোমধ্যেই মালদ্বীপকে অবকাঠামো, স্বাস্থ্য খাত, যোগাযোগ এবং মানব উন্নয়নের বিষয়ে সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
ইয়েমিনের সময় কারাবন্দি থাকা মোহামেদ নাশিদ ও মামুন আব্দুল গাইউম শপথ গ্রহণ উপস্থিত ছিলেন। আদালতে অভিযোগ করার মাধ্যমে ভোটের ফলাফল বাতিলের চেষ্টা করা ইয়ামিন ও তার দলের সংসদ সদস্যরা ছিলেন অনুপস্থিত। রয়টার্স
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।