পবিত্র লাইলাতুল বরাত
আজ দিবাগত রাত পবিত্র লাইলাতুল বরাত। পরম করুণাময় আল্লাহতায়ালা তার বান্দাদের গুনাহ মাফ, বিপদমুক্তি ও
চরম অবক্ষয়ের চিত্র ব্যাপ্ত হয়ে আছে আমাদের সমাজ জীবনে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাঙ্গন, অফিস-আদালত থেকে শুরু করে দেশের সর্বোচ্চ পর্যায়ে এ অবক্ষয় বিদ্যমান। অবক্ষয় ধীরে ধীরে প্রভাবিত করছে সমাজকে, কলুষিত করছে মানুষের মন ঐ মানসিকতাকে। সন্ত্রাস, হত্যা, নারী নির্যাতন, ছিনতাই, ধর্ষণ, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, অপহরণ, এসিড নিক্ষেপ, ভীতি প্রদর্শন এখন নিত্য নৈমিত্তিক ঘটনা। বিশেষ করে রাজধানী ঢাকা এবং আত্মাত্মিক রাজধানী সিলেট, বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রাম এখন এসব অপরাধ-অপকর্মের কেন্দ্রস্থল হিসাবে পরিগণিত। দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে আজ নিম্ন মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্তের জীবন প্রদীপ নিভে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। চতুর্দিকে অরাজক পরিস্থিতি শান্তি প্রিয় মানুষগুলোর জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। আমরা এখন পরিষ্কার দেখতে পাচ্ছি, পশুত্বের চর্চা হচ্ছে মানবিকতার পরিবর্তে। উদ্বেগাকুল সচেতন নাগরিকদের মনে আজ প্রশ্ন, কতদিন চলবে এ অরাজকতা?
এহেন পরিস্থিতির মধ্যেও কিছু মানুষ স্বস্থিতে থাকতে চায়, কিছু মানুষ শান্তিতে থাকার আপ্রাণ চেষ্টা করে কিন্তু এ শান্তিকে বিনষ্ট করে দিচ্ছে সমাজের কোন্দলপ্রিয় লোকেরা। এদের চরিত্র বিশ্লেষণ করলে পরিষ্কার বুঝা যায় যে, এর মূলত ঝগড়াটে। ঝগড়ার মাধ্যমে এরা অন্যকে অপদস্থ ও ক্ষতিগ্রস্ত করে নিজেরা লাভবান হতে চায়। এসব কোন্দলপ্রিয় লোকদের অনেক বদস্বভাব রয়েছে এবং এসব বদস্বভাব ও অসততার মাধ্যমে এরা সমাজ তথা পরিবারে কোন্দল সৃষ্টি করে। যেমন এরা কোন কিছু না বুঝে বা তদন্ত না করে যখন তখন মিথ্যা কথা বলে। আবু হুরাইয়া (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুল্লাহ (স.) বলেছেন, একজন লোকের জন্য মিথ্যা বলা যথেষ্ট হবে এভাবে যে, সে যা শুনলো তা লোককে বলে বেড়ালো (মুসলিম, মিশকাত)’। এ হাদীসটি ব্যাখ্যা করলে আমরা বুঝতে পারি কেউ যদি কোন কথা শোনার পর সেটা সত্য কিনা যাচাই না করে অন্যলোককে বলে, তাহলে তার বলা সম্পূর্ণ কথাগুলো মিথ্যা হবে। এজন্যে প্রত্যেক মানুষের উচিত যে কোনো বিষয়েই সত্য মিথ্যা তদন্ত করে কথা বলা। অন্য একটি হাদীসে মহানবী (স.) বলেন, ‘নিশ্চয়ই শয়তান কোনো ব্যক্তির রূপধারণ করে কোনো সম্প্রদায়ের নিকট আসে, অতঃপর সে তাদের সামনে কিছু মিথ্যা কথা বর্ণনা করে, তারপর তারা সবাই ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। অতঃপর তাদের মধ্যে থেকে এক ব্যক্তি বলে, আমি একজন লোককে এ কথা বর্ণনা করতে শুনেছি কিন্তু আমি তার নাম জানি না তবে তার চেহারা চিনি (মুসলিম, মিশকাত)’। এভাবে শয়তান মানুষের রূপে এসে মিথ্যা রটায় এবং জনগণের মধ্যে ঝগড়া বাঁধিয়ে দেয়। তাই কোনো কথা শোনামাত্র বলা এবং মিথ্যা বলা উভয়ই সমান এবং এজন্যে কানপাতলা লোকদের সাবধান হওয়া উচিত নতুবা শয়তানের প্রতারণায় পড়ে তাদেরকে অনুতপ্ত হতে হবে। হযরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই আল্লাহর নিকট সবচেয়ে অপ্রিয় লোক হচ্ছে ঝগড়াটে ব্যক্তি (বোখারী, মুসলিম, মিশকাত)’। এ হাদীস দ্বারা আমরা বুঝতে পারি আল্লাহ ভক্ত লোকেরা কোনদিন পাষাণ হৃদয়ের এবং কোন্দলপ্রিয় হতে পারে না। তারা শান্তিপ্রিয় হবে এবং প্রয়োজনবোধে শান্তি ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা করার জন্যে তাদেরকে কিছুটা নমনীয়ও হতে হবে। যেমন একটি হাদীসে রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি হক পথে থেকেও শান্তি রক্ষার জন্যে তর্ক-বিতর্ক ও ঝগড়া ত্যাগ করে, তার জন্যে জান্নাতের মাঝখানে ঘর বাঁধা হয় (তিরমীযি, শারহুম সুন্নাহ)’। অতএব কোন মুসলমানই যেন ঝগড়াটে হয়ে আল্লাহ ও তার বান্দাদের অপ্রিয় না হয় বরং সে যেন সর্বদা খোশ মেজাজ ও হাসিমুখে থাকে। যেমন একটি হাদীসে হযরত আবু যর (রা.) কে আমাদের প্রিয় রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন, ‘তুমি কোন ভালো জিনিষকে কখনও তুচ্ছ ভেবো না, যদিও তা তোমার কোন ভাইয়ের সাথে হাসিমুখে সাক্ষাতও হয় (মুসলিম, মিশকাত)’।
কোন্দল প্রিয় লোকদের মধ্যে সবচেয়ে ঘৃণ্যতম হলো দু’মুখোব্যক্তি। হযরত আ¤মার (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেছেন, ‘দুনিয়াতে যে ব্যক্তির দুটি মুখ থাকবে, কিয়ামতের দিন তার আগুনের দু’টি জিহবা হবে (আবু দাউদ)’। এ হাদীস দ্বারা এটাই প্রমাণিত হয় যে, পৃথিবীতে যারা দু’মুখো চাল চালিয়ে সমাজের মধ্যে ভাঙ্গনের সৃষ্টি করে, সেসব মুনাফিক। কিয়ামতের দিনে আগুনের জিহবা দ্বারা নিজেকেই ধ্বংস করবে। আর এক বর্ণনায় রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন, ‘তোমরা কিয়ামতের দিন দু’মুখো লোককে আল্লাহর নিকট সবচেয়ে দুস্কৃতিপরায়ণদের মধ্যে পাবে। সে এদের নিকটে আসে এক মুখে এবং ওদের নিকটে যায় অন্যমুখে (বুখারী, মুসলিম)’। এরূপে দু’মুখো চরিত্রের লোকেরা একজনের কথা আরেকজনকে লাগিয়ে চলে সমাজের মধ্যে ভাঙ্গনের সৃষ্টি করে। চুগোলখোরের পরিণতি সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন, ‘বিরূপ সমালোচনাকারী এবং একের কথা অপরকে লাগিয়ে সমাজ কলুষিতকারী ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে না (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত)’। কোন্দলপ্রিয় লোকদের আরেকটি স^ভাব হচ্ছে পরনিন্দা করা। এরা পরনিন্দা করে আপনজনদের শত্রু বানিয়ে নিজেদের বন্ধুরূপে প্রমাণ করার অভিনয় করে যদিওবা এমন বন্ধুত্ব বা সম্পর্ক কোনদিনই স্থায়ীত্ব লাভ করে না। হযরত আবু সায়িদ ও জাবের (রা.) হতে বর্ণিত, তাঁরা দু’জন বলেছেন, রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন, ‘গীবত বা পরনিন্দা ব্যভিচারের চেয়েও ঘৃণ্য অপরাধ কেন, এ প্রশ্নের উত্তরে রাসুলুল্লাহ (স.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি ব্যভিচার করে, তারপর সে আল্লাহর নিকট তওবা করে, আল্লাহ তার তওবা কবুল করেন কিন্তু পরনিন্দাকারীর ক্ষমা ততক্ষণ হয় না, যতক্ষণ নিন্দিত ব্যক্তিটি তাকে ক্ষমা করে না দেয়’। একদা রাসুলুল্লাহ (স.) সাহাবায়ে কিরামদের জিজ্ঞেস করলেন, তোমরা জান গীবত কি? তাঁরা বললেন, আল্লাহ্ এবং তাঁর রাসুল (স.) ভালো জানেন তখন তিনি বল্লেন, তোমার ভাই সম্পর্কে এমন কিছু আলোচনা করা যা শুনলে সে অপছন্দ করবে। সাহাবায়ে কেরামদের একজন প্রশ্ন করলেন, আমি আমার ভাই সম্পর্কে যা বলছি তা যদি সত্যি হয়ে থাকে? রাসুলুল্লাহ (স.) বললেন, ‘তুমি যা বললে তা যদি তার মধ্যে থাকে, তাহলেও তুমি তার গীবত করলে। আর তা যদি তার মধ্যে না থাকে, তাহলে তুমি তার নামে মিথ্যা অপবাদ দিলে (মুসলিম ও আবু দাউদ)’। কোন্দলপ্রিয় জঘন্য চরিত্রের লোকদের কাছ থেকে শান্তিকামী মানুষ পরিত্রাণ পেতে চায়। শান্তিপ্রিয় মানুষের মনের ইচ্ছাটি মনিষী এন. হেনরি বলছেন এভাবে ‘শান্তি এমনি মূল্যবান মণিমানিক্য বিশেষ যে, একমাত্র সত্য ছাড়া আমি সবকিছু এর পরিবর্তে দিয়ে দিতে পারি।’ আজ নৈতিক অবক্ষয়ের চরম সন্ধিক্ষনে শান্তিকামী মানুষ এ দু’দিনের দুনিয়ায় কিছুটা শান্তিতে জীবন যাপন করার জন্যে তৃর্ষাত চাতকের মত ছটফট করছে। লর্ড পামার স্টোন-এর ভাষায়, ‘শান্তির জন্যে তখনই মানুষ চিৎকার করে যখন কোথাও শান্তি থাকে না বা শান্তি খুঁজে পায় না।’ সমাজের কোন্দলপ্রিয় বা ঝগড়াটে লোকগুলো অন্যান্য পরিবারের ব্যক্তিগত বিষয়গুলোর উপর হস্তক্ষেপ করার প্রয়াস চালায়। কারো পরিবারের কোনো ধরনের গন্ডগোল হলে, ভাই, ভাইদের মধ্যে পরপরের ভুল বুঝাবুঝি বা ঝগড়া হলে, কোনো ভাই তার কৃত অপরাধের জন্যে শাস্তি ভোগ করলে অপরাধী ভাইটি এসব কোন্দলপ্রিয় লোকদের সান্নিধ্যে এলেই এরা সহযোগিতা প্রদানের জন্যে তৎপর হয়ে উঠে। এদের উদ্দেশ্য আসলে কোনো উপকার নয় শান্তিপ্রিয় ভদ্র পরিবারকে নাজেহাল বা অপদস্থ করা। এসব কোন্দলপ্রিয় বা ঝগড়াটে লোকদের অনেকেই নিজেদের সমাজ সেবকহিসাবে পরিচয় দেওয়ার চেষ্টা করে। একটু ভালোভাবে অনুসন্ধান চালালে দেখা যাবে এসব কোন্দলপ্রিয় লোকদের ভদ্রসমাজের কেউ দু’চোখে দেখতে পারে না। এদের মূল পরিচয় এরা ঝগড়াটে, কোন্দলপ্রিয়। এরা নিজেদের পরিবারকে বাজারে পরিণত করেছে তাই অন্যের পরিবারকেও বাজারে পরিণত করার প্রয়াস চালায়। মনিষী ক্রিস্টোফার এর ভাষায় ‘যারা ঝগড়াটে তারা নাক দিয়ে শুকে ঝগড়ার গন্ধ নেয়।’ সমাজের এসব ঘৃণিত লোকদের সম্পর্কে টমাস হুড বলছেন, ‘কলহপ্রিয়তা এক ধরনের মানুষের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য’। এসব কোন্দলপ্রিয় লোকগুলো অনেক সময় এলাকায় কোনো ঘটনায় বিচারকের আসন অলংকৃত করতে চাইলে শান্তিকামী, শিক্ষিত, ভদ্রলোকেরা তা কোনো অবস্থাতেই মেনে নেয়না। শান্তি প্রিয় লোকদের বক্তব্য একটাই: এসব কোন্দলপ্রিয় লোকগুলো প্রতিদিন এতো অন্যায়, অবিচার, অপকর্ম করছে আগে এদের বিচার হওয়া দরকার, প্রতিদিন কত অভিযোগ এদের সম্পর্কে শুনি, আগে এদের শাস্তি হওয়া উচিৎ। এরা আবার কি করে অন্যের বিচার করবে? বিচারককে অবশ্যই সৎ, সৎকর্মপরায়ন, সত্যবাদী, সৎচরিত্রবান ও নিরপেক্ষ হতে হবে। কোন্দলপ্রিয় লোকগুলো যখন বুঝতে পারে এলাকার ভদ্র, শান্ত ও শিক্ষিত পরিবারগুলো কোনদিন তাদের বিচার মেনে নেবেনা তখন তারা ভদ্র ও শিক্ষিত পরিবারটির বিপদগামী সদস্যকে সুমন্ত্রণা দান করে। আমি নিশ্চিত জানি প্রতিটি এলাকায় শান্তিকে বিনষ্ট করছে সমাজের এসব কোন্দলপ্রিয় লোকদের এড়িয়ে চলার চেষ্টা করে শান্তিগামী মানুষ। তারা টমাস গ্রে এর এ বাণীটিকেই যেন প্রাধান্য দেবার চেষ্টা করে। তিনি বলছেন, ‘ঝগড়ার পথ হতে সরে থাকাই সম্মান রক্ষার প্রকৃষ্ট পন্থা, মূর্খরাই সাধারণতঃ বিবাদ তালাশ করে।’
সমাজসেবক পদবীর এসব কোন্দলপ্রিয় বা ঝগড়াটে লোক থেকে শান্তিকামীরা নিরাপদ অবস্থানে থাকার আপ্রাণ চেষ্টা করে। তারা হযরত সোলায়মান (আ.) এর বাণীটিকে অনুসরণ করতে চায়। তিনি বলেছেন ‘ঝগড়া চরমে পোঁছার আগেই ক্ষান্ত হও’। মনিষী ইমারসনের বাণীটিও তাদের অজানা নয় তাই ঝগড়া থেকে তারা সরে থাকতে চায়। ইমারসন বলছেন, ‘যখন আমরা ঝগড়া করি, তখন ক্রোধে অন্ধ হয়ে যাই।’ তাই ভদ্র, শিক্ষিত, শান্তিকামীরা সব সময় তাদের মনটাকে, হৃদয়টাকে শান্ত রাখার চেষ্টা করে। আর, গুইটারম্যানের ভাষায় ‘একমাত্র মনের শান্তিই পারে জীবনকে পরিপূর্ণ করে তুলতে।’ মনিষী ওয়াল্ট হুইটম্যান আমাদের জানিয়ে দিচ্ছেন ‘শান্তির প্রকাশ সবসময়েই সুন্দর ও সহজ হয়।’ আমাদের আশার বাণী শুনাচ্ছেন মনিষী কার্ভেন্টিস এ কথাটি বলে, ‘যার গৃহে শান্তি বজায় থাকে বিধাতা তাকে ভালোবাসেন।’ মনিষী গোল্ডস্মিথ তার অভিজ্ঞতা থেকেই বলেছেন, ‘গৃহের শান্তি স্বর্গের শান্তির চেয়ে কম নয়।’
কোন্দলপ্রিয় বা ঝগড়াটে লোকদের চরিত্র তাদের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে ধর্মীয়ভাবে আমি পূর্বেই বলেছি, আমার লেখার শেষ প্রান্তেও বলতে চাই কোন্দলপ্রিয় বা ঝগড়াটে অথবা অশান্তিকারী যেই হোকনা কেন তার কর্মের প্রতিফল সে পাবেই। আমাদের ধর্ম আমাকে তাই বলে এবং আমি তা মনে প্রাণে বিশ্বাস করি। মনিষী স্যামুয়েল দানিয়েল বলছেন, ‘কর্মফল প্রত্যেককেই ভোগ করতে হবে।’ আরেকজন মনিষী কার্লাইল বলেছেন এভাবে ‘অনেক মানুষ ভাবে এক, হয় আর এক, এর জন্য ভাগ্য দায়ী নয়, দায়ী তার কর্মফল।’
লেখক : সাংবাদিক ও কলামিস্ট
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।