মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
গোটা বিশ্বের উপর মার্কিন সামরিক আধিপত্যের দিন কি এ বার শেষ হতে চলেছে? শক্তিধর হিসাবে উঠে আসতে পারে রাশিয়া বা চিন? সম্প্রতি এমন সতর্কবার্তা দিয়েছে খোদ মার্কিন কংগ্রেসেরই একটি প্যানেল। যে প্যানেলে শুধু বিরোধী ডেমোক্র্যাট নয়, রয়েছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নিজের দলের প্রতিনিধি তথা রিপাবলিকানরাও। অবিলম্বে প্রতিরক্ষায় বরাদ্দ না বাড়ালে বিপদ আরও বাড়তে পারে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছে ওই প্যানেল।
ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকানদের ডজনখানেক প্রাক্তন শীর্ষ কর্মকর্তাকে নিয়ে গঠিত মার্কিন কংগ্রেসের এই প্যানেল সরকারের প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় খতিয়ে দেখে পরামর্শ দিয়ে থাকে। ২০১৮-’১৯ অর্থবছরে ট্রাম্প প্রশাসন প্রতিরক্ষাখাতে অর্থবরাদ্দ আরও কমানোর চিন্তা করছে বলে জানা গেলে, প্যানেলের সদস্যরা সম্প্রতি একটি রিপোর্টে ট্রাম্পের জাতীয় প্রতিরক্ষা নীতির তীব্র সমালোচনা করেছেন। প্রশ্ন তুলেছেন, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে দেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তায় ভয়ঙ্কর ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে। ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছে মস্কো এবং বেইজিং। এমনকি, ওয়াশিংটনকে যুদ্ধে হারিয়ে দেওয়ার ক্ষমতাও অর্জন করে ফেলেছে রাশিয়া ও চিন।
এ বছর পেন্টাগনের প্রতিরক্ষা খাতে বাজেট বরাদ্দ ৭০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা রাশিয়া এবং চিনের প্রতিরক্ষা বাজেটের যোগফলের চেয়েও বেশি। কিন্তু চিন-রাশিয়ার মতো শক্তির সঙ্গে যুদ্ধে গেলে এই পরিমাণও যথেষ্ট নয় বলেও উল্লেখ করা হয়েছে প্যানেলের রিপোর্টে। আরও অন্তত তিন থেকে পাঁচ শতাংশ বরাদ্দ বৃদ্ধির সুপারিশও করেছেন সদস্যরা।
প্যানেলের রিপোর্টে বলা হয়েছে, একবিংশ শতাব্দীতে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গিয়ে মিসাইল, সাইবার, আকাশসীমা, ডুবোজাহাজের মতো সামরিক ক্ষেত্রে কার্যত নজরই দেওয়া হয়নি। ফলে দুর্বল হয়ে গিয়েছে এই সব ক্ষেত্রগুলি। ‘প্রায় সমশক্তির শত্রু, বিশেষ করে রাশিয়া এবং চিনের মতো দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হলে যে দক্ষতা, পরিকল্পনা ও সামরিক শক্তির প্রয়োজন হয়, তার সব ক্ষেত্রেই দুর্বল হয়ে পড়েছে ওয়াশিংটন। আর এই দুই দেশ এবং তার ‘কূটনৈতিক বন্ধু’রা তো সব সময়ই পেন্টাগনের দিকে লক্ষ্য করেই আছে।
ডেমোক্র্যাট-রিপাবলিকান দুই সরকারেরই ২০১১ সাল থেকে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে বাজেট বরাদ্দ কমানো, সেনা বাহিনীর সুযোগ সুবিধা কমানের তুমুল সমালোচনা করেছেন প্যানেলের সদস্যরা। বলেছেন, ‘একাধিক প্রতিকূল সিদ্ধান্ত অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তায় ব্যাপক সংকট তৈরি করছে। ওয়াশিংটনের প্রভাব কমছে এশিয়া-ইওরোপে। ভারসাম্য হারাচ্ছে মার্কিন প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম ও বাহিনী। দূর্বল হচ্ছে ভূমি, আকাশ ও জলসীমা সুরক্ষা।’
প্যানেলের রিপোর্টে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে, পরিস্থিতি যে দিকে এগোচ্ছে, তাতে মার্কিন সেনাবাহিনীতে অভাবনীয় প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারে। ক্ষতি হতে পারে জাতীয় সম্পত্তির।’ প্যানেল সদস্যদের সতর্কবার্তা, রাশিয়া বা চিনের সঙ্গে যুদ্ধে জয়ের জন্য প্রচুর কাঠখড় পোড়াতে হতে পারে, এমনকি হারও হতে পারে। আবার এমন সম্ভাবনাও তৈরি হতে পারে যে, মার্কিন সেনাকে রাশিয়া, চিনের মতো একাধিক শক্তির বিরুদ্ধে এক সঙ্গে সমান্তরাল ভাবে লড়তে হতে পারে। সূত্র: সিএনএন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।