বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
যশোর পুলিশের উপস্থিতিতে স্ত্রীকে অপহরণ মামলায় অভিযুক্ত রমেশ দাস (৩৫) নামে এক যুবক গলাকেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। গতকাল সোমবার রাতে যশোর শহরের ষষ্টীতলা পিটিআই রোডে বাসার রান্নাঘরে এই ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ দ্রুত তাকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
রমেশের সঙ্গে চলতি বছর বিয়ে হয় যশোরের মণিরামপুর উপজেলার খানপুর এলাকার তাপস দাসের কলেজ পড়ুয়া মেয়ে তিথী দাসের সঙ্গে।
তাপস দাস জানান, গত ২ আগস্ট তার মেয়ে কলেজে যাওয়ার জন্যে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপর আর তাকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ বিষয়টি নিয়ে মেয়ে জামাই রমেশ বিভিন্ন সময় নানা ধরনের অজুহাত দেখাতো। অবশেষে গত ১১ অক্টোবর তিনি মণিরামপুর থানায় একটি মামলা করেন। মামলার তদন্তভার পান এসআই প্রশান্ত দাস।
এসআই প্রশান্ত দাস বলেন, ‘তিথী দাসের নিখোঁজ হওয়ার বিষয়টি যশোরের ডিবি পুলিশ সহায়তা করছে। আমরা জানতে পারি, তিথীর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের সিমটি তার স্বামী রমেশের সেল ফোনে ব্যবহৃত হয়েছে। বিষয়টির অধিকতর তদন্তের কারণে আজ তাকে গ্রেফতার করা হয়।’
জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে রমেশ জানায়, সিমটি তার শহরের ষষ্টীতলাস্থ ভাড়া বাসায় রয়েছে। পুলিশ সিমটি উদ্ধারে তাকে নিয়ে বাসায় যায়। প্রথমে সে সিমটি ঘরে এবং পরে তা রান্নাঘরে রয়েছে বলে জানায়। রান্নাঘরে ঢুকেই সে সেখানে থাকা ছুরি দিয়ে গলায় টান দেয়। এতে তার গলার কিছু অংশ কেটে যায়। দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ডাক্তার আব্দুর রশিদ সাংবাদিকদের জানান, ধারাল অস্ত্রের আঘাত শ্বাসনালিতে লেগেছে। ২৪ ঘণ্টা পার না হওয়া পর্যন্ত কিছুই বলা যাচ্ছে না।
রমেশ দাস শহরের ষষ্টীতলাপাড়া পিটিআই রোডের রণজিৎ দাসের ছেলে। তিনি পুলিশকে কখনও পল্লী বিদ্যুতের ম্যানেজার, কখনও এনজিওর মালিক আবার কখনও এক্সপোর্ট-ইমপোর্টের ব্যবসা করেন বলে জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।