বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলসমূহের নির্বাচনী ইশতেহারে অন্তর্ভুক্তির জন্য বাংলাদেশ ক্লাইমেট অ্যাকশন ফোরাম জলবায়ু পরিবর্তন সম্পকৃত ৮ দফা দাবী পেশ করেছে। গতকাল সোমবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে এই দাবীসমূহ তুলে ধরা হয়।
বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কর্মরত ৪০টি স্বেচ্ছাসেবীসংস্থা, সংগঠন, প্রতিষ্ঠান ও নাগরিক সমাজের সম্মিলিত দাবীসমূহ তুলে ধরেন নেটওয়ার্ক অন ক্লাইমেট চেঞ্জ, বাংলাদেশে’র (এনসিসি’বি) কোঅর্ডিনেটর মিজানুর রহমান বিজয়। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ পরিবেশ সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি কামরুল ইসলাম চৌধুরি, কোস্টাল ডেভেলপমেন্ট পার্টনারশিপ (সিডিপি)’র নির্বাহী পরিচালক জাহাঙ্গীর হাসান মাসুম এবং বাংলাদেশ ক্লাইমেট জার্নালিস্ট ফোরামের (বিসিজেএফ) সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হেসেন।
সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে সক্রিয় জাতীয় রাজনৈতিক অঙ্গীকার এবং জলবায়ু ন্যায্যতা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের নাগরিক সমাজের সূদৃঢ় অবস্থান থাকা স্বত্তে¡ও জলবায়ু পরিবর্তনে সর্বাপেক্ষা বিপন্ন জনগোষ্ঠীদের জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অর্থ বরাদ্দের পাশপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের মুখে ঝুঁকিতে থাকা জনগোষ্ঠীদের জলবায়ু তহবিলে কার্যকরি অংশগ্রহণের বিষয়গুলি এখনো অমীমাংসিত রয়েছে। এ কারণে অভিযোজন ও প্রশমন কার্যক্রম ও অর্থায়ন প্রক্রিয়াকে সমন্বিত করতে একটি ‘জাতীয় জলবায়ু নীতিমালা’ প্রণয়ন এবং একটি সমন্বিত কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে (একটি স্বতন্ত্র কমিশন বা কাউন্সিল) জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলার কার্যক্রমসমূহ বাস্তবায়ন ও তদারকি অত্যন্ত জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বাংলাদেশে জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে কর্মরত ৪০টি স্বেচ্ছাসেবীসংস্থা, সংগঠন, প্রতিষ্ঠান ও নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে উত্থাপিত দাবিগুলো হচ্ছে, অবিলম্বে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় একটি ‘জাতীয় জলবায়ু নীতিমালা’ প্রণয়ন; জলবায়ু অর্থায়নকে একটি তহবিল থেকে পরিচালনা এবং জলবায়ু অর্থায়নে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও কার্যকারিতা বৃদ্ধিতে ‘জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট আইন, ২০১০’ কে সংশোধন করে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি জলবায়ু কমিশন গঠন; গণ অংশগ্রহণ ও স্বচ্ছতার মাধ্যমে অবিলম্বে জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা (ন্যাপ) ও স্থানীয় অভিযোজন পরিকল্পনা প্রণয়ন; ন্যাপ এর আওতায় ‘জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটি’ গঠনকালে কমপক্ষে ২৫ শতাংশ আসন এনজিও ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের জন্য বরাদ্দ রাখা; ন্যাপ বাস্তবায়নে স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা; ‘সামজিক সুরক্ষা বেষ্টনী’ গড়ে তোলার মাধ্যমে বাস্তুচ্যুতদের পূর্নবাসনের উদ্যোগ গ্রহণ; লস এন্ড ড্যামেজ মোকাবেলায় অবিলম্বে একটি জাতীয় কাঠামো প্রণয়ন করে একটি পৃথক তহবিল গঠন করা এবং জলবায়ু অর্থায়নে উন্নয়ন বাজেটের কমপক্ষে ২৫ শতাংশ বরাদ্দ নিশ্চিত করার আট দফা দাবীসমূহ তুলে ধরা হয়।
একই সঙ্গে এই দাবীসমূহ আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী রাজনৈতিক দলসমূহের নির্বাচনী ইশতেহারে অন্তর্ভুক্ত করা এবং পরবর্তী সময়ে এসব দাবী বাস্তবায়নের অঙ্গীকার গ্রহণের আহ্বান জানানো হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।