মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
রাফাল চুক্তি নিয়ে দেশ জুড়ে চলমান রাজনৈতিক বিতর্কের মধ্যেই সোমবার শীর্ষ আদালতে গোপন নথি জমা দিল মোদী সরকার। মুখবন্দি ওই খামে ফরাসি সংস্থা দাসোর থেকে ৩৬টি যুদ্ধবিমান কেনার সিদ্ধান্ত ও চুক্তি সংক্রান্ত বিশদ তথ্য রয়েছে। প্রতিটি যুদ্ধবিমান কিনতে কত খরচ হয়েছে তা-ও রয়েছে ওই নথিতে। বুধবার এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে শুনানি।
বিতর্কিত রাফাল চুক্তির সবিস্তার তথ্য জানতে চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে একাধিক আবেদন জমা পড়েছিল। দাবি উঠেছিল, আদালতের তত্ত্বাবধানে সিবিআই তদন্তেরও। এর পরেই গত ৩১ অক্টোবর কেন্দ্রের কাছে রাফালের দাম সংক্রান্ত তথ্য জানতে চায় সুপ্রিম কোর্ট। ১০ দিনের মধ্যে বিশদ তথ্য জমা দিতে নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। সেই সময়সীমা পেরিয়ে গিয়েছে ইতোমধ্যে।
সরকারি একটি সূত্রের দাবি, রাফাল বিমান কেনার প্রস্তুতি শুরু হয়েছিল কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারের আমলে। ২০১৩ সালে বিমান কেনার প্রক্রিয়া শুরু হয়। তাদের স্থির করা নিয়ম মেনেই চুক্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।
চুক্তির বিশদ তথ্য সামনে এলে বিমান ও তার সরঞ্জামের খুঁটিনাটি প্রকাশ হয়ে যাবে, তাতে দেশের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হতে পারে বলে এর আগে রাফাল নিয়ে মুখ খুলতে চায়নি কেন্দ্রীয় সরকার। তবে সুপ্রিম কোর্টের যুক্তি ছিল, দেশের নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে কেন্দ্র যদি কিছু প্রকাশ করতে না চায়, তাহলে সেইমতো হলফনামা জমা দেওয়া উচিত।
রাফাল চুক্তি নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত গত বছরের শেষে। ইউপিএ সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে তিনগুণ বেশি দামে বিমান কেনা হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলে কংগ্রেস। কোনও বিমান নির্মাণ সংস্থার বদলে, অনিল অম্বানীর ‘অনভিজ্ঞ’ ভারতীয় সংস্থা রিলায়্যান্সকে ফ্রান্সের সাথে কাজ করার দায়িত্ব দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। যার যথোপযুক্ত জবাব দিতে পারেনি মোদী সরকার।
শুধুমাত্র বিরোধী দলগুলিই নয়, রাফাল চুক্তিতে তদন্ত চেয়ে সম্প্রতি ব্যক্তিগত স্তরেও অনেকে সরব হয়েছেন। এ নিয়ে প্রথম আবেদনটি জমা দেন আইনজীবী মনোহরলাল শর্মা এবং বিনীত ধান্দা। আম আদমি পার্টির সাংসদ সঞ্জয় সিংহও আদালতে আবেদন জমা দেন। পরে যৌথ আবেদন দাখিল করেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী যশবন্ত সিংহ, অরুণ শৌরী এবং সমাজকর্মী-আইনজীবী প্রশান্ত ভূষণ। সূত্র: ইন্ডিয়া টুডে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।