Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ০২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০৭ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিজরী

মিয়ানমারে গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণে চুক্তি

টাইমস অব ইন্ডিয়া : | প্রকাশের সময় : ১১ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম | আপডেট : ১২:২৩ এএম, ১১ নভেম্বর, ২০১৮

চীন বঙ্গোপসাগরের তীরে মিয়ানমারের একটি কৌশলগত শহরে বহু শত কোটি ডলার ব্যয়ে একটি বন্দর নির্মাণের চুক্তি করেছে। শ্রীলংকা ও পাকিস্তানের পর ভারতের প্রতিবেশী দেশে এটি তার তৃতীয় বন্দর প্রকল্প।
চীনের রাষ্ট্র পরিচালিত গ্লোবাল টাইমস পত্রিকায় শুক্রবার বলা হয়, আর্থিক ও অন্যান্য বিষয় নিয়ে কয়েক বছর ধরে আলোচনার পর কিয়াওকিপু শহরে গভীর পানির সমুদ্র বন্দর নির্মাণের জন্য বৃহস্পতিবার চীন ও মিয়ানমারের মধ্যে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
মুম্বাই উপক‚লের দিকে মুখ করা পাকিস্তানের গোয়াদর গভীর পানির কৌশলগত সমুদ্র বন্দর নির্মাণ করছে চীন। তাছাড়া ভারত মহাসাগরে শ্রীলংকার হাম্বানটোটা বন্দর ৯৯ বছরের জন্য লিজ নিয়ে চীন তার ব্যাপক উন্নয়ন করেছে। চীন ভারতকে ঘিরে ফেলার ‘স্ট্রিং অব পার্লস’ মুক্তোর মালা তৈরির তত্তে¡র কথা অবিরত অস্বীকার করে আসছে।
গ্লোবাল টাইমসের খবরে বলা হয়, চীনের রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বৃহৎ কোম্পানি সাইটিক গ্রুপের নেতৃত্বে চীনা কনসোর্টিয়াম মিয়ানমারের রাজধানী নেপিদোতেএক অনুষ্ঠানে কিয়াওকিপু গভীর পানির সমুদ্র বন্দর নির্মাণের লক্ষ্যে কিয়াওকিপু বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল কমিটির সাথে কাঠামো চুক্তি স্বাক্ষর করে। এ কাঠামো চুিক্তর অধীনে চীন এ প্রকল্পের জন্য ৭০ শতাংশ অর্থ দেবে ও বাকি ৩০ শতাংশ অর্থ দেবে মিয়ানমার। চুক্তি অনুযায়ী প্রকল্পের প্রাথমিক পর্যায়ে ১৩০ কোটি মার্কিন ডলার ব্যয়ে দুটি বার্থ নির্মাণ করা হবে। বন্দর নির্মাণ ও পরিচলনার জন্য যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
কাঠামো চুক্তি স্বাক্ষর বন্দর প্রকল্প এবং চীন প্রস্তাবিত বেল্ট অ্যান্ড রোড উদ্যোগের (বিআরআই) অব্যাহত বাস্তবায়নের জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। কিয়াওকিপু বন্দর প্রকল্পের মত বিষয়ের জন্য বিআরআই ক্রমবর্ধমান যাচাইয়ের মুখে পড়েছে। এ বন্দর নির্মাণের ব্যাপারে ২০১৫ সাল থেকে চীন ও মিয়ানমারের মধ্যে আলোচনা স্থগিত ছিল। চীনা কনসোর্টিয়ামটি প্রথমে আনুমানিক ৭শ’ কোটি ডলার ব্যয়ে ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে বন্দর নির্মাণের চুক্তি লাভ করে। কিন্তু পরে প্রকল্পের অর্থায়ন নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে মতবিরোধের কারণে নির্মাণ কাজ স্থগিত হয়ে যায়।
মিয়ানমারে দীর্ঘদিনের চীনপন্থী সামরিক সরকারের বদলে গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সু চির সরকার ক্ষমতায় আসার পর এটাই মিয়ানমারে লাভ করা চীনের বড় প্রকল্প।
দীর্ঘায়িত আলোচনা বিআরআই সম্পর্কে সমালোচনার জন্ম দেয় যে, এর ফলে মিয়ানমার ঋণজালে জড়িয়ে যেতে পারে ও দেশটির সার্বভৌমত্ব হুমকির মুখে পড়তে পারে।
কিয়াওকিপু প্রকল্প স্থানীয় সম্প্রদায়ের ১ লাখ লোকের কর্মসংস্থান করবে বলে ধারণা এবং তা মিয়ানমারকে কর রাজস্ব হিসেবে ১৫ বিলিয়ন ডলার যোগাবে। নির্মাণ শেষে চালু হওয়ার পর বন্দরটির মোট বার্ষিক উৎপাদন দাঁড়াবে ৩২০ কোটি ডলার।



 

Show all comments
  • ash ১১ নভেম্বর, ২০১৮, ৩:৫৩ এএম says : 0
    BNAGLADESH AKHON TUMI HAY HAY KORO !! CHINE KE KHEPIE BANGLADESH MOTE E VALO KORE NAI !!
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মিয়ানমার


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ