নিউজিল্যান্ডকে শোচনীয়ভাবে হারিয়ে ওয়ান ডে সিরিজে সমতা ফিরিয়েছে পাকিস্তান। শুক্রবার আবু ধাবিতে অনুষ্ঠিত ম্যাচে পাকিস্তান জয় পায় ৫৭ বল হাতে রেখে ৬ উইকেটে। শাহিন শাহ আফ্রিদির দুর্ধর্ষ বোলিংয়ে নিউজিল্যান্ড প্রথমে করেছিল ৯ উইকেটে ২০৯ রান। জবাবে পাকিস্তান ৪০.৩ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে জয় তুলে নেয়।
নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের এই জয়টি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ ছিল। টি২০ ক্রিকেটে দলটির বিরুদ্ধে পাকিস্তান জিতে চললেও ওয়ানডে ক্রিকেটে তা পারছিল না। কিউইদের কাছে পাকিস্তান টানা ১২টি ম্যাচে পরাজিত হয়েছিল। এমন এক অবস্থায় শুক্রবার সহজ জয় তুলে নিলো পাকিস্তান। এর ফলে ৩ ম্যাচ সিরিজে ১-১ সমতা প্রতিষ্ঠিত হলো। এর আগে টি২০ সিরিজে নিউজিল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করেছিল পাকিস্তান।
২১০ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে হেসেখেলেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় পাকিস্তান। ফার্গুসনের বল হেলমেটে আঘাত করলে মাঠ ছেড়ে হাসপাতালে যেতে হয় পাকিস্তানের ওপেনার ইমাম উল হককে। খেলা শেষে পিসিবির তরফ থেকে জানানো হয় ইমাম শঙ্কামুক্ত আছেন। ইমাম হাসপাতালের বিছানায় গেলেও তার অসমাপ্ত কাজটা ঠিকঠাক করেছেন ফখর জামান ও বাবর আজমেরা। মূলত এই জুটির দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে পাকিস্তানের কাজ অনেকটাই সহজ হয়ে যায়।
২৯তম ওভারে ফার্গুসনের জোড়া আঘাতে খেলায় ফেরার আভাস দেয় নিউজিল্যান্ড। দলীয় ১৫৫ রানে ফার্গুসনের বলে ফখর জামান আউট হন ব্যক্তিগত ৮৮ রানে। স্কোরবোর্ডে আর ১ রান যোগ হতেই একই ওভারে আউট হন বাবর আজম। সাজঘরে ফেরার আগে ৪৬ রানের ইনিংস খেলেন পাকিস্তানের এই টপ অর্ডার।
ম্যাচসেরার পুরস্কার ওঠে ৩৮ রানের বিনিময়ে ৪ উইকেট নেয়া শাহিন আফ্রিদির হাতে।
এর আগে আরেক আফ্রিদি পাকিস্তানের জয়ের ভিত গড়ে দেন। অভিষেকের পর থেকেই একের পর এক নজরকাড়া পারফরম্যান্স উপহার দিয়ে চলছেন পাকিস্তানের নতুন পেস বোলার শাহিন শাহ আফ্রিদি। শুক্রবার আবুধাবিতে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে তার দারুণ বোলিংয়ে আগে ব্যাট করে ২০৯ রানের বেশি করেতে পারেনি নিউজিল্যান্ড। রস টেইলরের অপরাজিত ৮৬ রানের ইনিংসটি বাদ দিলে এই এদিন শাহিন আফ্রিদির সামনে রীতিমতো মুখথুবড়ে পড়েছে কিউইরা।
এদিন টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ২৫ রানের মধ্যেই ২ উইকেট হারায় নিউজিল্যান্ড। সেখান থেকে একপ্রান্ত আগলে দলকে বিপর্যয়ের হাত থেকে রক্ষা করতে লড়াই করেন রস টেলর। তবে অন্যপ্রান্তে আর কেউ দাঁড়াতে পারেনি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৩ রান এসেছে হেনরি নিকোলসের ব্যাট থেকে।
রস টেলর শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৮৬ রানে। তবে তিনিও যে খুব একটা স্বচ্ছন্দে খেলেছেন তা নয়, এই রান করতে বল খেলতে হয়েছে ১২০টি। তবে তার ব্যাট কথা না বললে হয়তো লজ্জাজন স্কোরের মুখোমুখি হতে হতো দলকে।
শাহিন আফ্রিদি ৩৬ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন। ২ উইকেট নিয়েছেন হাসান আলী।
সিরিজের প্রথম ম্যাচেও শাহিন নিয়েছিলেন ৩ উইকেট।