মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মালদ্বীপের সাবেক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এবং বর্তমান সংসদ সদস্য ইব্রাহিম মোহাম্মদ দিদি বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বলেছেন যে, সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদ আদ্দু নগরীর সঙ্গে ভারতের আগের সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার যে ঘোষণা দিয়েছেন তাতে এটা মনে করা ঠিক হবে না যে, আদ্দু বা মালদ্বীপের অন্য কোন ভূখন্ড ভারতের সামরিক উদ্দেশ্য হাসিলের কাজে ব্যবহার করা যাবে।
নাশিদ এখন আদ্দু এটল সফর করছেন। তিনি সেখানে গিয়ে বলেন যে, আদ্দু নগরবাসী মালদ্বীপের সঙ্গে সংযুক্ত হতে যতটা না আগ্রহী তার চেয়ে বেশি আগ্রহী ভারতের সঙ্গে জড়িত হতে। নাশিদের এই মন্তব্যে উদ্বেগ প্রকাশ করে ক্ষমতাসীন প্রগ্রেসিভ পার্টি অব মালদিভস (পিপিএম) বলেছে, এটা সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে মালদ্বীপের জন্য একটি হুমকি।
নাশিদের বক্তব্যকে নানাভাবে ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। অনেকে বলছেন মালদ্বীপ যে, ভারতের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে এটা তার ইংগিত। অন্যরা বলছেন, এটা মালদ্বীপকে ভারতের সামরিক উদ্দেশ্যে ব্যবহারের জন্য খুলে দেয়ার একটি বার্তা।
ভারতের ডিফেন্স কলেজ থেকে মাস্টার্স ডিগ্রিধারী দিদি বলেন, আমরা বিশ্বাস করি এই দেশ কোনভাবেই ভারতের সামরিক উদ্দেশ্য পূরণের কাজে ব্যবহৃত হবে না। আমাদের দেশের এ ধরনের কোন পদক্ষেপ গ্রহণের সম্ভাবনা রয়েছে বলেও আমি বিশ্বাস করি না।
সলিহ’র প্রতিরক্ষা নীতি অনুযায়ী মালদ্বীপ তার মিত্র ও প্রতিবেশী দেশগুলো স্বাধীনতা সুরক্ষাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেবে। পররাষ্ট্র নীতির ক্ষেত্রে নিরপেক্ষতা প্রমাণ করে যে এর মাধ্যমে একটি দেশের ‘ফার্স্ট লাইন অব ডিফেন্স’ অর্জন করা যায়।
দিদি ঘোষণা করেন যে, ভবিষ্যৎ সরকারের নীতি নিশ্চিতভাবে আরেক দেশের উপর নির্ভর করা এড়িয়ে চলবে। মালদ্বীপ তার মিত্রদের জন্য বোঝা হবে না। ভৌগলিকভাবে কৌশলগত অবস্থানে রয়েছে মালদ্বীপ। বিশেষ করে ভারত মহাসাগরে আদ্দু এটলের অবস্থান এমন জায়গায় যা খুব সহজেই প্রতিরক্ষা উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যায়।
বিদেশী অনেক দেশ মালদ্বীপকে সামরিক ঘাঁটি গড়ে তোলার জন্য প্ররোচিত করলেও সাংবিধানিকভাবে সে ধরনের কোন ব্যবস্থা গ্রহণ সহজ নয়।
সংবিধানের ২৫১ ধারায় বলা হয়েছে, পার্লামেন্টের সকল সদস্য একমত হয়ে প্রস্তাব পাস না করলে মালদ্বীপে কোন বিদেশী সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করা যাবে না। সূত্র : সাউথ এশিয়ার মনিটর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।