নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
নারী অলিম্পিক ফুটবল টুর্নামেন্টের বাছাইপর্বে আজ মাঠে নামছে বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা ফুটবল দল। টুর্নামেন্টের ‘সি’ গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ স্বাগতিক মিয়ানমার। ইয়াংগুনের থুয়ান্না স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় শুরু হবে ম্যাচটি। প্রথমবারের মতো মিয়ানমারের বিপক্ষে খেলছে লাল-সবুজের মেয়েরা। তাই অচেনা প্রতিপক্ষের বিপক্ষে খুব বেশি চাওয়া নেই বাংলাদেশ কোচ গোলাম রব্বানী ছোটনের। অভিজ্ঞতা অর্জনই তার দলের লক্ষ্য বলে জানান তিনি।
বয়সভিত্তিক দল যেখানে ঘরে-বাইরে ব্যস্ত সময় পার করছে। একের পর এক সাফল্য বয়ে আনছে, সেখানে দীর্ঘদিন ধরে মাঠের বাইরে জাতীয় দলের মেয়েরা। গত বছর ফেব্রুয়ারিতে সবশেষ জাতীয় দল সিঙ্গাপুরে একটি আমন্ত্রণমূলক টুর্নামেন্টে অংশ নিয়েছিল। মিয়ানমারে বাছাইপর্বে খেলতে নামার মধ্য দিয়ে প্রায় দুই বছর পর আবারো মাঠে নামছেন সাবিনা খাতুনরা।
কাগজে-কলমে জাতীয় দল বলা হলেও মূলত বাংলাদেশের এটি বয়সভিত্তিক দলই। ক’দিন আগে বাংলাদেশের যে দলটি তাজিকিস্তানে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৯ টুর্নামেন্ট খেলেছে সেই দলের বেশীরভাগ সদস্যই রয়েছে জাতীয় দলে। আছেন অনূর্ধ্ব-১৬ দলের খেলোয়াড়ও। জাতীয় দলের খেলোয়াড় বলতে কেবল অধিনায়ক সাবিনা খাতুন।
ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের চেয়ে অনেক উপরে মিয়ানমারের অবস্থান। ৮৭তম স্থানে রয়েছে দলটি। সেখানে ফিফার অফিসিয়াল র্যাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের কোনো স্থান নেই। এমন একটি দলের বিপক্ষে মাঠে নামার আগে সতর্ক বাংলাদেশ কোচ ছোটন। তাই গতকাল ম্যাচপূর্ব সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘আমাদের গ্রুপটি খুবই শক্তিশালী। আমাদের দলটি একবারেই নবীন। তবে নিজেদের প্রমাণের জন্য এটা তাদের বিরাট সুযোগ। আমার বিশ্বাস এই টুর্নামেন্টে মেয়েরা ভালো করবে। মায়ানমার অচেনা প্রতিপক্ষ হলেও তাদের ছেড়ে কথা বলবে না আমার দল। ’
কোচ আরো বলেন, ‘আমরা এই টুর্নামেন্টে খেলতে এসেছি অভিজ্ঞতা অর্জনের জন্যই। আমাদের প্রস্তুতি ভালো। আমরা চেষ্টা করব নিজেদের সর্বোচ্চটা দিয়ে টুর্নামেন্টে ভালো খেলতে।’
জাতীয় দলের জার্সিতে অনিয়মিত থাকলেও বিদেশী লিগ এবং বয়সভিত্তিক দলের সঙ্গে অনুশীলনের অভিজ্ঞতা রয়েছে বাংলাদেশ অধিনায়ক সাবিনা খাতুনের। মিয়ানমারের বিপক্ষে ম্যাচকে সামনে রেখে তিনি বলেন, ‘আসরের সব ম্যাচেই আমরা নিজেদের সেরাটা দেয়ার চেষ্টা করব। মিয়ানমার খুবই শক্তিশালী দল। প্রথমবারের মতো এই দলটির বিপক্ষে খেলব আমরা। ম্যাচে ভালো খেলার চেষ্টা করবো।’
বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ সামনে রেখে মিয়ানমারের প্রধান কোচ উইন থু মো বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ নারী ফুটবলে ভালো করছে। কিন্তু এই দলটি আমাদের চেয়ে অভিজ্ঞতায় পিছিয়ে। তাদেরও সুযোগ আছে টুর্নামেন্টে ভালো করার এবং বাছাইপর্ব থেকে কোয়ালিফাইং করার।’
টুর্নামেন্টে অংশ নেয়ার আগে চীন ও জাপানের সঙ্গে কয়েকটি প্রীতি ম্যাচ খেলেছে মায়ানমার জানান তাদের কোচ। আজকের ম্যাচের পর ১১ নভেম্বর ভারত এবং ১৩ নভেম্বর নেপালের বিপক্ষে খেলবে লাল-সবুজের মেয়েরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।