মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। আলাবামা, ভার্জিনিয়াসহ ভোট শুরু হয়েছে এমন রাজ্যগুলোতে কেন্দ্রের বাইরে দীর্ঘ সারি দেখা যাচ্ছে। অধিকাংশ রাজ্যে স্থানীয় সময় সকাল সাতটা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। তবে অনেক রাজ্যে ভোট গ্রহণ শুরু হয় এর এক ঘণ্টা পর সকাল ৮টায়। নির্বাচনে ৩৬টি সিনেট এবং সবকটি (৪৩৫টি) প্রতিনিধি পরিষদের আসনে ভোট গ্রহণ হচ্ছে। সবশেষ পূর্বাভাষে বলা হয়েছে প্রতিনিধি পরিষদের নিয়ন্ত্রণ হারাতে পারে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের রিপাবলিকান পার্টি। ডেমোক্র্যাটরা মার্কিন পার্লামেন্ট কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে। আর রিপাবলিকানরা উচ্চকক্ষ সিনেটে তাদের আধিপত্য আগের চেয়ে বাড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয় প্রতি চার বছর পরপর। তবে কংগ্রেসের দুই কক্ষে ভোট হয় প্রেসিডেন্টের মেয়াদের মধ্যবর্তী সময়ে। প্রতিটি মধ্যবর্তী নির্বাচনে প্রতিনিধি পরিষদের (৪৩৫টি) সবগুলো আসনে ভোট হয়। কারণ প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য বা কংগ্রেসম্যানদের মেয়াদ দুই বছর। সিনেটের ১০০ আসনের মধ্যে এবার ৩৫টিতে ভোট হচ্ছে। সিনেটরদের মেয়াদ ৬ বছর। ৩৬টি রাজ্যের গভর্নর পদে নির্বাচন হবে। নতুন কংগ্রেসের অধিবেশন বসবে আগামী জানুয়ারিতে।
নিম্নকক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে ডেমোক্র্যাটদের প্রয়োজন মাত্র ২০টি আসন। কিন্তু সিনেটে রিপাবলিকানরা নিজেদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখবে এবং তা আরও সুসংহত করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ ৩৫টির মধ্যে ডেমোক্র্যাটদের রয়েছে ২৬টি (২ জন স্বতন্ত্র) এবং রিপাবলিকানদের ৯টি। ফলে ডেমোক্র্যাটদের সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে সবগুলো আসনে জিততেই হবে এবং রিপাবলিকানদের কাছ থেকে আরও দুটি আসন কেড়ে নিতে হবে। ২০১৬ সালের নির্বাচনে এসব সিনেট আসনের দশটিতে ট্রাম্প জিতেছিলেন এবং ৫টি আসনে বিরাট ব্যবধানে জয়ী হয়েছিলেন রিপাবলিকান প্রার্থীরা।
হাউসে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার ক্ষেত্রে ডেমোক্র্যাটদের পক্ষে কথা বলছে ইতিহাস। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সমাপ্তির পর থেকে সবগুলো মধ্যবর্তী নির্বাচনে ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্টের দল গড়ে ন্যূনতম ২৫টি আসন হারিয়েছে। আর প্রেসিডেন্টের জনপ্রিয়তা সূচক যখন ৫০-এর নীচে নেমে যায় তখন ৩৭টি আসন হারাতে হয়েছে।
এছাড়া বিশ্লেষকরা এবারের মধ্যবর্তী নির্বাচনকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জন্য গণভোট হিসেবে দেখছেন। এই নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বেশ কিছু ইস্যু সামনে উঠে এসেছে। সূত্র : বিবিসি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।