Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

‘দিল্লির বাতাস মৃত্যুদন্ডের মত’

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৬ নভেম্বর, ২০১৮, ৪:৩৭ পিএম

যোগেশ কুমারের জীবন বাঁচাতে তার রোগাক্রান্ত ফুসফুসে অস্ত্রোপচার করতে হয়েছে। তবে বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বায়ুতে তিনি কিভাবে এতোদিন নিঃশ্বাস নিচ্ছিলেন তা ভেবে চিকিৎসকরা অবাক হয়েছেন। প্রতি বছর নভেম্বর মাসে দিল্লির হাসপাতালগুলোতে গুরুতর শ্বাসকষ্টের রোগী ভর্তি হয়। শহরটিতে দুই কোটি লোকের বাস।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ভারতে প্রতিবছর ১০ লাখেরও বেশি লোক ধোঁয়ার কারণে মারা যায়। দেশটির রাজধানী নয়াদিল্লি বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত বাতাসের নগরী। খবর এএফপির।
দিল্লির শ্রী গঙ্গারাম হাসপাতালের শল্য চিকিৎসক শ্রীনিবাশ কে গোপিনাথ বলেন, ‘তার জন্য দিল্লির বাতাস মৃত্যুদণ্ডের মতো।’ এই হাসপাতালেই ২৯ বছর বয়সী যোগেশ কুমারের চিকিৎসা হয়েছে।
শীতল বাতাস দূষণকে ভূমির কাছাকাছি নিয়ে আসে। দিল্লির বাতাসে পিএম এর মাত্রা ২.৫।
হিন্দুদের ধর্মীয় উৎসব দিওয়ালির সময় বাতাসে দূষণের মাত্রা সবচেয়ে বেশি থাকে। পটকা ও বাজির ধোঁয়া বাতাসকে আচ্ছন্ন করে ফেলে। পাশাপাশি গাড়ির কালোধোঁয়া, কারখানার ধোঁয়া, নির্মাণাধীন ভবনের ধুলা ও শস্য পোড়ানোর ধোঁয়া বাতাসকে দূষিত করে। নগরিতে বায়ু দূষণের মাত্রা এতোটাই বেড়ে যায় যে বৈজ্ঞানিক পরিমাপ যন্ত্রে তা মাপা সম্ভব হয় না।
দিল্লি এই অতিঝুঁকিপূর্ণ ধোঁয়ায় শিশু, বয়স্ক ও হাঁপানির মতো শ্বাসকষ্ট রোগীদের ফেব্রুয়ারির শেষ পর্যন্ত বাইরে বের হওয়া উচিত নয়। অক্টোবর মাসে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দূষিত বায়ুর কারণে প্রতি বছর হাজার হাজার শিশু মারা যায়। চিকিৎসকরা জানান, দিল্লির বাতাস শিশুদের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ