মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ তামিলনাড়ুর এক অজপাড়া গাঁয়ে হাজার হাজার (অন্তত ৫ হাজার) নারীকে লাইন ধরিয়ে চাবুকপেটা করার একটি ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা গেছে, বিজয়া দশমীর উৎসবের সময় হাজার হাজার নারী ও কিশোরী লাইন ধরে ধর্মগুরুর চাবুকের বাড়ি খাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে। এরপর তাদেরকে একে একে চাবুক দিয়ে পিটানো হয় যতক্ষণ না তারা বেদনায় কুঁকড়ে যাচ্ছে।
এই অমানবিক উৎসব অনুষ্ঠিত হয় তিরুচি এবং নামাক্কাল জেলার সীমান্তে অবস্থিত বাভিথ্রাম ভেল্লালাপাত্তি গ্রামের শ্রী আচাপ্পান নামক মন্দিরে।
ওই নারীরা স্বেচ্ছায়ই চাবুকের বাড়ি খাচ্ছিল। তাদের ধারণা, এতে তাদের ওপর থেকে ভুত-প্রেত বা শয়তানের আছর কেটে যাবে। অনেকে আবার বিশ্বাস করে, এর মধ্য দিয়ে রোগমুক্তি ঘটবে। চেল্লি নামের এক ৬০ বছর বয়সী বৃদ্ধা দাবি করেন, একটি মাত্র চাবুকের বাড়িতে তাদের অসুস্থতা ভালো হয়ে যাবে; বেদনা এবং শয়তানের আছর থেকে মুক্তি ঘটবে।
১৪ বছর বয়সী এক বালিকা জানায়, সে চাবুকের বাড়ি খেতে এসেছে তার অনিয়মিত ঋতুস্রাবের সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে। তার বিশ্বাস ধর্মীয় উৎসবের চাবুকের বাড়ি খেলে তার সমস্যা কেটে যাবে।
আরেক নববিবাহিতা নারী জানান, তিনি চাবুকের বাড়ি খেতে এসেছেন, কেননা তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন মনে করে তার ওপর অশুভ আত্মা বা শয়তানের আছর আছে। যে কারণে তার শ্বশুর বাড়িতে কোনো সৌভাগ্য বয়ে আসবে না।
নারীদেরকে চাবুক দিয়ে প্রহারকারী ধর্মগুরুকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল এই ধরনের কাজ কি অপরাধ নয়? উত্তরে তিনি বলেন, জনগণ তাদের বিশ্বাসের কারণে স্বেচ্ছায়ই চাবুকের বাড়ি খেতে মন্দিরে এসেছে। কেউ যদি স্বেচ্ছায় না আসতো তাহলে আমরা তাদের বাড়িতে গিয়ে চাবুকের বাড়ি খাওয়ার জন্য তাদেরকে মন্দিরে আসতে বলতাম না। সূত্র : ডেইলি মেইল
#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।