বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
গাজীপুুুর মহানগরীর কাশিমপুর কোনাপাড়া মৌজার লস্কর চালায় আবারো সরকারি জমি দখল করে ঘর বাড়ি নির্মাণ অব্যাহত রেখেছে স্থানীয় ভূমি দস্যুরা। এর আগে সরকারি জমি দখল করে ঘর বাড়ি নির্মাণের বিষয়টি একাধিকবার কাশিমপুর ভ‚মি অফিসে অবহিত করেও কোন লাভ হয়নি বলে এলাকার লোকজন অভিযোগ করেছেন। কাশিমপুর ভ‚মি অফিস কর্মকর্তাদের রহস্যজনক এ নীরবতা স্থানীয় সচেতন মহলে সৃষ্টি হয়েছে চরম ক্ষোভ।
স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন ধরে লস্কর চালার এলাকার ভ‚মিদস্যু মিজান, শহিদুল্যাহ, রিপন কাশিমপুর ভূমি অফিসের সরকারি কর্মকর্তাদের টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে সরকারি জমি দখল করে বাড়ি ঘর নির্মাণ কাজ অব্যাহত রেখেছে। দখলকারীরা এর আগে বাস কাঠ দিয়ে ঘর নির্মাণ করেছে এখন ওই ঘরের পাশেই সরকারি জমিতে ইট বালি দিয়ে ঘর নির্মাণ করছেন। প্রথমেই যদি তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হতো তাহলে এখন আর ঘর নির্মাণ করার সাহস পেত না।
জনমনে প্রশ্ন ওই সময় কাশিমপুর ভূমি অফিসের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে আসার পরও কিভাবে কাজ বন্ধ না করে পরবর্তীতে নতুন করে ঘর নির্মাণের সাহস পেল? উল্লেখিত দখলকারীদের বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক মামলা।
সরেজমিন গিয়ে দেখা গেছে, প্রথমে বাস কাঠ ও লোহার খুঁটি দিয়ে ঘর নির্মাণ করলেও এখন ওই ঘরের পাশে সরকারি খালি জমিতে ইট বালি দিয়ে ঘর নির্মাণ করছে। গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ড. দেওয়ান মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীরকে সরকারি জমি দখলের বিষয়টি অবহিত করলে তিনি তাৎক্ষণিক কাশিমপুর ভূমি অফিসের নায়েব আকতার হোসেনকে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন।
অভিযোগ রয়েছে কাশিমপুর ভূমি অফিসের কয়েকজন কর্মকর্তা ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ করতে বললে তাদের সাথে সরকারি জমি দখলকারী ভ‚মি দস্যু মিজান ও শহীদুল্যাহর সাথে বাকবিতন্ডা হয় এবং তারা চলে আসার পর পরই কাজ বন্ধ না করে দ্রুত নির্মাণ কাজ করে ফেলেন।
এ ব্যাপারে গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ড: দেওয়ান মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর জানান, সরকারি জমি দখলকারী ভূমি দস্যুরা যত শক্তিশালীই হোক না কেন তাদেরকে কোন প্রকার ছাড় দেয়া হবে না। প্রয়োজনে ফৌজদারী আইন প্রয়োগ করে ভূমি দস্যুদের দখলে থাকা সরকারি জমি উদ্ধার করা হবে।
এলাকার সচেতন মহল মনে করছেন যাদের ছত্রছায়ায় সরকারি জমি দখল করে ঘর বাড়ি নির্মাণ করা হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে এবং ওই সকল ভূমি দস্যুদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া না হলে এরা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠবে। একের পর এক সরকারি জমি দখল করতে থাকবে। তাই এখনই এদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ ও সরকারি জমি উদ্ধারে প্রশাসনের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।