পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ফেনীতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশে রামপুরে পৌরসভার ১৭ নং ওয়ার্ডে সরকারের জমি দখল করে অবৈধ ভাবে সম্রাট অটো ডাল মিল নির্মাণ করা হচ্ছে। সরকারি আইন ও নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে শহরের ইসলামপুর রোডের চাল ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত হাজী ওবায়দুল হক ও তার ছেলে হাজী তাজ উদ্দীন সম্রাট সরকারি জায়গায় মিল নির্মাণের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশনা অমান্য করে গত ১ বছর ধরে সরকারি ও ব্যক্তিমালিকানার প্রায় ১৪০ শতক ভূমিতে মিলের বহুতল ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। এ বিষয়ে গত বছরের শুরুতে ফেনী সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) নুরেরজ্জামান চৌধুরী নির্মাণাধীন ডাল কারখানায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন। এ সময় সরকারি জায়গায় ভবন নির্মাণের অভিযোগে জনতা রাইস এজেন্সী ও সম্রাট অটো ফ্লাওয়ার মিলের মালিক ওবায়দুল হকের ১ লাখ টাকা জরিমানা করেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে সরকারি জায়গা শনাক্ত করে তা লাল কালি দিয়ে চিহ্নিত করা হয়। সরকারি জমিতে স্থায়ীভাবে নির্মিত ডাল মিলের ভবনটি ভেঙ্গে ফেলার নির্দেশনা দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। এ সময় ফেনী জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে ৩৩ শতক জায়গা ১ নং খাস খতিয়ানের উল্লেখ করে, যা রামপুর, মৌজা নং: ৯৩, দাগ নং- ৪৭২১ “এটি সরকারি সম্পত্তি, এখানে বে-আইনি অনুপ্রবেশ আইনতঃ দন্ডনীয় অপরাধ” লিখে একটি সাইনবোর্ড টানিয়ে দেয়া হয়। কিন্তু প্রভাবশালী পিতা পুত্র জেলা প্রশাসকের সাইনবোর্ডটি উপড়ে ফেলে দিয়ে ভবন নির্মাণের কাজ চালিয়ে যেতে থাকেন।
ফেনী পৌর ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মাঈন উদ্দীন, সদর উপজেলা ভূমি অফিসের সার্ভেয়ার মাছুম বিল্লাহ ও অফিস সহকারি প্রদীপ সরকারি জায়গা জবর দখলের বিরুদ্ধে সাবেক এসিল্যান্ডের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার কথা নিশ্চিত করে জানান, সরকারিভাবে প্রয়োজনীয় মাপজোকের পর ওবায়দুল হকের নির্মাণাধীন ডাল মিল ও পুকুর পাড় মিলিয়ে ৩৩ শতক খাস খতিয়ানের জায়গা চিহ্নিত করা হয়। এর মধ্যে ১৭ শতক জায়গা জবর দখল করে মিলের ভবন নির্মাণ করা হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে কথা হয় হাজী ওবায়দুল হকের সাথে। তিনি বলেন সাবেক এসিল্যান্ড নুরেরজ্জামান চৌধুরীর এসব জায়গা সম্পত্তি সম্পর্কে কোন অভিজ্ঞতা ছিল না। তাই সে ভুল করে জরিমানা করেছে। মিল ও দখলে থাকা জায়গায় কোন খাস জমি নেই বলে দাবি করেন ওবায়দুল হক।
তিনি আরো বলেন, তার দখলকৃত খাস জমির ব্যাপারে কোন সরকারি প্রতিষ্ঠান বা কর্মকর্তার সাথে কথা বলতেও নিষেধ করেন। ডিসি, ইউএনও বা এসিল্যান্ড অফিসের সবাই ভুল কথা বলে শুধু তার তথ্যই সঠিক বলে মন্তব্য করেন।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে ফেনী সদর এসিল্যান্ড মৌমিতা দাশ বলেন, সরকারি জায়গায় কারখানা করার কোন নিয়ম নেই। জেলা প্রশাসকের সাথে কথা বলে অবৈধ স্থাপনা ভেঙ্গে ফেলার উদ্যোগ নেয়া হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।