Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সংলাপ ফলপ্রসূ হলে আন্দোলনে যাবে না বিরোধীদল

সংবাদ সম্মেলনে রিজভী

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৫ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

সংলাপ ফলপ্রসূ হলে বিরোধীদল আন্দোলনের পথে হাঁটবে না বলে জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘একদিকে আলোচনা অন্যদিকে আন্দোলন, এটি আমার বোধগম্য নয়’। প্রধানমন্ত্রী, এখনও তো সেই অর্থে জোরালো আন্দোলন শুরু হয়নি, আপনি সংলাপের মাধ্যমে সংকট নিরসন করতে পারলে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো তো আন্দোলনের পথে যাবে না। গতকাল (রোববার) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
দেশের চলমান রাজনৈতিক সঙ্কটের চাবি প্রধানমন্ত্রীর হাতেই জানিয়ে রিজভী বলেন, সংকট নিরসনের চাবিকাঠি আপনার (প্রধানমন্ত্রী) হাতে। আলোচনার আহবান তো জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে অব্যাহত আছে। তবে আপনাকে ‘কালের যাত্রার ধ্বনি’ শুনতে হবে। ‘কালের যাত্রার ধ্বনি’ হচ্ছে বর্তমানে জনগণের দাবি, যা জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট সাত দফা দাবির মাধ্যমে উত্থাপন করেছে। আপনি সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ নেন তাহলে তো কোন সংকট থাকার কথা নয়। সংলাপ ফলপ্রসূ করুন, তখন বিরোধীদল আন্দোলনের পথে হাঁটবে না।
সংলাপের মাধ্যমে সমাধান না হওয়া পর্যন্ত তফসিল না দিতে ইসির প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে যে সংলাপ চলছে, সেই সংলাপে সংকটের সুরাহা না হওয়ার আগেই নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার তোড়জোড় করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। যা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এমনকি ইসি সদস্যদের মতামতকেও অগ্রাহ্য করা হচ্ছে। তিনি ইসির উদ্দেশ্যে বলেন, আইনসঙ্গত ক্ষমতাবলে জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দিন। রাজনৈতিক সংকট সমাধান না হওয়া পর্যন্ত তফসিল ঘোষণা থেকে বিরত থাকুন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, সারাদেশে নির্বাচনি কর্মকর্তা অর্থাৎ প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার বাছাই করছে পুলিশ। বিভিন্ন থানা নির্বাচন কর্মকর্তারা নির্বাচনী কর্মকর্তাদের তালিকা তৈরি করে পুলিশের হাতে তুলে দিচ্ছে। পুলিশ তালিকা ধরে ধরে কারা সরকার দলীয় সমর্থক তাদের নাম বাছাই করছে নির্বাচন কর্মকর্তা হিসেবে। এমনকি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে গিয়ে যাচাই করছে, ফোন করে জিজ্ঞাসা করছে আপনি কোন রাজনৈতিক দলের সদস্য। যদি কোন শিক্ষক বিএনপি সমর্থক হয়ে থাকে তাকে বলা হচ্ছে আপনার নির্বাচনের দায়িত্ব পালনের দরকার নেই। জনগণ এমন কর্মকান্ডকে ভোট কারচুপির পূর্ব প্রস্তুতি বলেই মনে করছে। সরকারের হুকুমেই এমন নজিরবিহীন কর্মকান্ড চলছে বলে জনগণ বিশ্বাস করে।
সারাদেশে পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের গণগ্রেফতার বাড়িয়ে দিয়েছে অভিযোগ করে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, সর্বব্যাপী নিপীড়ণের ধারায় বিভিন্ন জেলা, উপজেলায় বিএনপির সক্রিয় নেতা-কর্মীদের বেছে বেছে গ্রেফতার করা হচ্ছে। গণগ্রেফতারের সঙ্গে চলছে রমরমা অর্থ-আদায় বাণিজ্য। পুলিশ বিএনপি নেতা-কর্মী ও সমর্থকদের আটক করে অথবা মিথ্যা মামলায় নাম জড়িয়ে গ্রেফতারের হুমকি দিয়ে টাকা আদায়ের ঘৃণ্য পথ বেছে নিয়েছে। পুলিশ গায়েবী মামলার তালিকা ধরে ধরে এলাকায় এলাকায় গিয়ে বিএনপিবিএনপির সমর্থকদের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা আদায় করছে। অনেককে গ্রেফতার করে পরিবারের সদস্যদের বলা হচ্ছে মোটা অংকের টাকা নিয়ে আসেন, আটককৃতদের মামলায় নরমাল ধারা দিয়ে চালান করে দিব যাতে সহজে জামিন পেয়ে যায়। এছাড়াও বাড়িতে বাড়িতে হানা দিয়ে তল্লাশীর নামে চলছে পুলিশী তান্ডব।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, সহ-দপ্তর সম্পাদক মুনির হোসেন, টাঙ্গাইল জেলা বিএনপির সভাপতি কৃষিবিদ শামসুল আলম তোফা, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফরহাদ ইকবাল প্রমূখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সংলাপ

২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
১০ জুন, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ