পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
মহাজোটের শরিকদের সাথে সংলাপ করে সরকার সংলাপকে ‘গুরুত্বহীন’ করে ফেলেছে বলে অভিযোগ করেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন, ৮ নভেম্বর পর্যন্ত সংলাপ। সংলাপটা কী, সঙ এর সাথে আলাপ। আপনারই উপদেষ্টা দিনের মধ্যে চার বার বোধ হয় কথা হয়। তার সঙ্গে সংলাপ কী? আপনারই বিরোধী দলের নেতা সংসদে দেখা হয়, সংসদের বাইরে কথা হয়। তার সাথে সংলাপ কী? আপনারই ক্যাবিনেটের মন্ত্রী তার একটা দল আছে তার সাথে আলাদাভাবে সংলাপ কী? গতকাল (শনিবার) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে ‘মাটির ডাক’ নামক সামাজিক- সাংস্কৃতিক সংগঠনের উদ্যোগে ‘নির্বাচন ভাবনা’ শীর্ষক এই আলোচনা সভায় তিনি নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক এসব কথা বলেন। মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আমরা যেহেতু সংলাপ চেয়েছি, সংলাপ করতে হয়েছে আপনাকে (প্রধানমন্ত্রী)। অতত্রব এই সংলাপকে যতভাবে ম্যালাইন করা যায়, এই সংলাপকে যতভাবে ছোট করা যায়, এই সংলাপকে যতভাবে ফালতু বানিয়ে দেয়া যায় তার জন্য একটার পর একটা কাকে কাকে ডেকে কথা বলছেন আর তাকে সংলাপ করছেন। মান্না বলেন, খোদ হোসেইন মুহাম্মদ এরশাদ বলেছেন, না আমার সাথে আবার সংলাপ কী? আমি একটা সৌজন্য সাক্ষাৎ করবো। তিনি বলেন, সমস্ত রঙ তামাশা করার জন্য ক্ষমতায় বসে আছেন। আর মনে করছেন এই রঙ তামাশা করে খ্বুই একটা বুদ্ধিমানে কাজ করছেন। দেশের মানুষ আপনাকে বুঝতে পারছে, আপনার ওজন কতখানি। অতত্রব ছাড়েন, না যদি ছাড়ের পথ একটাই আছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে জানিয়ে ঐক্যফ্রন্টের এই নেতা বলেন, আমরা এবার ঘরে ঢোকার লোক না। আমরা আন্দোলনই করব। এমন কায়দায় আন্দোলন করবো, যখন আপনার গুলি ফুটবে না, যারা গুলি চালায় সেই লোকগুলো গুলি করবে না। এমন পরিস্থিতি তৈরি হবে যখন আপনার হাতে কিছুই থাকবে না।
মান্না বলেন, আপনার পতন অনিবার্য। আপনি ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না। আপনি চেষ্টা করবেন কিন্তু পারবেন না। তিনি জানান, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ৬ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এবং ৯ নভেম্বর রাজশাহীতে জনসভা করবে। সারাদেশে আমরা জনসভা করে জনগণের সাথে কথা বলছি। কী? এই সরকার জবর দখলকারী তাকে সরাতে হবে। কোন পথে সরাবেন? আন্দোলনের যে কর্মসূচি দিচ্ছি সেই পথে। এটা করতে করতে যদি তফসিল ঘোষণা করে দেয়, মানুষের মধ্যে নির্বাচনের বাতাস আসে। শেখ হাসিনার সরকারের জেনে রাখা উচিৎ নির্বাচনকে আমরা লড়াই হিসেবে আমরা ভোট করতে পারি। মানুষের কাছে গিয়ে বলতে পারি ৬ দফা ভিত্তিতে নির্বাচন যদি আগামীদিনের মুক্তিযুদ্ধের লড়াইয়ের ম্যান্ডেট হতে পারে তাহলে এই নির্বাচনও আপনার পতনের পুরো ঘণ্টা বাজিয়ে দেবে।
গণভবনের রুদ্ধদ্বার সংলাপের ছবি ফেইসবুকে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য সরকারকে অভিযুক্ত করে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক বলেন, এই সরকারটা কত খারাপ। কী অদ্ভুত বিষয় দেখেন। আমরা গণভবনে সংলাপ করছি। ওটার মধ্যে কোনো সাংবাদিক নাই। ছবি গেলো কি রকম করে? ফেইসবুকে ফেইসবুকে ছবি গেলো কি করে? ওদের মতলবই খারাপ। এটা একটা মতলবী সরকার। নির্বাচনের জন্য সংলাপ ডেকেছে। তার সাথে বিভ্রান্ত করবার জন্যে সেই যে একবার আপনাদের মনে আছে মাওলানার ভাসানীর বাসায় গিয়েছিলেন তাকে খাইয়ে টাইয়ে ছবি বানিয়ে দেখিয়েছে। কীরকম ন্যাক্কারজনক অবস্থা। তখনকার অশতিপর বৃদ্ধ একজন নেতা তার নামে এটা করেছেন। এখন এটা বুঝাবার চেষ্টা করছেন।
মান্না বলেন, আমাদের দাওয়াত করা হয়েছিলো নৈশভোজে। আমরা বলেছিলাম, ভোজসভার জন্য তো আমরা যাচ্ছি না, আমরা যাচ্ছি সংলাপ করতে, ৭ দফা দিয়েছি। একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দরকার, না হলে দেশ ধ্বংস হয়ে যাবে। এটা কোনো উৎসব নয়। অতত্রব নৈশভোজ নয়। উনারা মেনেছেন। আমরা বলেনি যে, তোকে দেখতে পারি না, তোর বাসায় জল পানও করবো না-এরকম কথা বলিনি। অতত্রব পানি খাবে, চা খাওয়াবে, চায়ের সাথে বিস্কুট খাওয়াবে, স্ন্যাক দেবে কে মানা করেছে। কিন্তু তারা স্ন্যাস্কের সাথে স্যুপের ছবি দিয়ে ছড়াবে- কী বুঝাতে চাইছে। এই নেতারা জীবনে খাইনি, খেতে গিয়েছিলো সেখানে। এই সরকার একটা ছোট লোকের সরকার। না হলে এগুলো করতে পারে না। খাওয়ার ছবি দিয়ে বাইরে জনগণকে কী বুঝাতে চায়, কী তথ্য দিতে চায়?”
সংগঠনের সভানেত্রী তাসনিম রানার উদ্যোগে আলোচনা সভায় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, শওকত মাহমুদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ফজলুর রহমান, সহ প্রচার সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম, নির্বাহী কমিটির সদস্য ইসমাইল হোসেন বেঙ্গল প্রমূখ বক্তব্য রাখেন।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।