পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দীর্ঘ প্রত্যাশিত সংলাপ নিয়ে সবখানেই রাজনীতি বেশ সরগরম। শহর, বন্দর, গ্রাম, মাঠ-ঘাট, অলিতে-গলি, এমনকি ঘরের কোণে চলছে আলোচনা-সমালোচনা, পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ। সংলাপ ব্যর্থ কেউ বলছেন না, আবার সফলের কথাও উহ্য রাখা হচ্ছে-তাহলে হলোটা কী? শেষপর্যন্ত ফলাফলই কী দাঁড়াবে? নতুন কোন সঙ্কট কি বাসা বাঁধছে? রাজনীতিতে সুবাতাস কি বইবে? সুষ্ঠু নিরপেক্ষ অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন কি যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হবে? সংলাপে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট উত্থাপিত সাত দফা দাবিরই বা কী হবে?- সচেতন মানুষের মাঝে সংলাপ নিয়ে ঘুরপাক খাচ্ছে বহুমুখী প্রশ্ন। কেউ কোন উত্তর খুঁজে পাচ্ছেন না। এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে আরেক প্রশ্ন আসছে সামনে।
দেশের সামগ্রিক রাজনীতির মোড় শেষ পর্যন্ত কোনদিকে যাবে, আসলেই কি দেশ এগিয়ে যাচ্ছে অংশগ্রহণমূলক একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিকে, সার্বিক পরিবেশই বা কী দাঁড়াবে- এমন প্রশ্নও আছে। রাজনীতির কোন সঙ্কট রাজনীতিবিদদেরই সমাধান করতে হবে, দেশ, জাতি ও গণতন্ত্রের স্বার্থে সেটিই সঙ্গতিপূর্ণ হবে। সর্বোপরি রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার কোন বিকল্প নেই। সংলাপের ফলাফল, সফলতা ও ব্যর্থতার বিষয়টি জাতির কাছে দিবালোকের মতো পরিষ্কার হওয়া উচিত।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সঙ্গে গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সংলাপ হওয়ায় আশার আলো দেখা গিয়েছিল। বিরোধী রাজনৈতিক নেতা-কর্মীদের মাঝে ফিরে এসেছিল অনেকটা স্বস্তি। কিন্তু গত দু’দিনে রাজনীতির আকাশ মেঘাচ্ছন্ন হচ্ছে। স্বস্তি অনেকটা অস্বস্তিতে রূপ নিয়েছে। সংলাপের পরেও বিরোধী নেতা-কর্মীদের ধরপাকড় বন্ধ হয়নি। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা সদরের সর্বত্র সংলাপ নিয়ে চলছে নানা বিশ্লেষণ। নির্বাচন সরকার গঠন নিয়েও সবাই আছেন ঘোরের মধ্যে। এ অঞ্চলের দু’জন বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ বললেন, সংলাপের দরজা খুলেছে। আরো সংলাপ হতে পারে। এখনো আশাবাদী বৃহত্তর স্বার্থে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি হবে। সংলাপের সফলতা ও ব্যর্থতা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিরোধী দল চাপ সৃষ্টি করতে না পারলে সরকার কেনই বা চাইবে উত্থাপিত দাবিগুলো মেনে নিতে।
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের বিশিষ্ট সামাজিক নেতা বৃহত্তর খুলনা উন্নয়ন সংগ্রাম কমিটির সভাপতি শেখ আশরাফ উজ-জামান দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, একথা সত্য যে, বাংলাদেশে দীর্ঘদিনেও নির্বাচনী সংস্কৃতি গড়ে তোলা সম্ভব হয়নি। সংলাপ শুরু হয়েছে এটি গুড সাইন। ফলাফল অবশ্যই একটা আসতে হবে। তিনি বলেন, এর মাধ্যমে অনেক কিছুর পরিবর্তন সম্ভব। এ ধারা অব্যাহত রেখে জনআকাঙ্খা পূরণে সবাইকে আন্তরিকভাবে এগিয়ে আসতে হবে। এ অঞ্চলের একজন বিশিষ্ট রাজনৈতিক বলেন, সংলাপ সফল না হলে ঘোর অন্ধকার নেমে আসবে। অতএব, সফলতা আসতেই হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।