বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
টেকনাফে বন্দুকযুদ্ধে সাদ্দাম হোসেন নামে দুই ইয়াবা ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। এসময় ঘটনাস্থল থেকে দুই লাশ, অস্ত্র, বুলেট ও ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। নিহতরা হলেন, টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের পূর্ব সিকদার পাড়ার এলাকার মৃত তোফাইল আহমদের ছেলে সাদ্দাম হোসেন (৩৫) ও অপরজন সাবরাং পূর্ব সিকদার পাড়ার সোলতান আহমদের ছেলে সাদ্দাম হোসেন (৩০)।
পুলিশ জানায়, ২নভেম্বর ভোররাতে উপজেলার সাবরাং সমুদ্র সৈকত এলাকায় বন্দুকযুদ্ধের খবর পেয়ে টেকনাফ মডেল থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশের নেতৃত্বে পুলিশের বিশেষ টিম ঘটনাস্থলে গেলে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলিবর্ষণ করলে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা পিছু হটে। এসময় টেকনাফ মডেল থানা পুলিশের এসআই আমির হোছন (২৯), কনস্টেবল আব্দু শুক্কুর (২১), মোহাম্মদ সিকান্দর আলী (২৪) ও মেহেদী হাসান (২১) আহত হয়। ঘটনাস্থল তল্লাশী করে দুইটি গুলিবিদ্ধ লাশ, ৩টি দেশীয় অস্ত্র, ২০ রাউন্ড বুলেট ও ২০ হাজার পিস ইয়াবা পাওয়া যায়।
টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের মেডিকেল অফিসার মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, হাসপাতালে আনার কিছুক্ষণের মধ্যে দুজনের মৃত্যু হয়। তাদের দুজনের দেহে গুলির চিহ্ন পাওয়া গেছে।
এই বিষয়ে টেকনাফ মডেল থানার অফিসার্স ইনচার্জ প্রদীপ কুমার দাশ জানান, মাদক ব্যবসায়ী দু’গ্রুপের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলিবর্ষণ করে। এতে পুলিশের চার সদস্য আহত হয়। নিহত দুই ব্যক্তি তালিকাভুক্ত ইয়াবা ব্যবসায়ী ছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসা, অবৈধ অস্ত্র রাখাসহ বিভিন্ন অপরাধের অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ তিনটি দেশীয় অস্ত্র (এলজি), ৩০টি গুলি ও ২০ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করেছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।