Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ইনকিলাবের সংবাদে গতি হলো সেই বৃদ্ধার

দেলদুয়ার (টাঙ্গাইল) উপজেলা সংবাদদাতা : | প্রকাশের সময় : ৩ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকায় বৃহস্পতিবার ‘পলিথিনের তাবুতে জীবন!’ শিরোনামে একটি মানবিক প্রতিবেদন প্রকাশ হওয়ার পর আলোচনায় উঠে আসে অসহায় স্বামীহারা বৃদ্ধা রেহেনা বেগম (কুলসুম)। দু’দিন আগেও পলিথিনের তাবুতে থাকা কুলসুম বেগমের খবর অনেকেরই জানা ছিলনা। বিষয়টি না জানায় তার প্রতি কারও সহানুভুতিও ছিলনা। ইনকিলাবে সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পর এখন প্রধান তিন কর্তা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান, উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নজর পড়েছে কুলসুম বেগমের প্রতি। সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন তিন কর্তাই।

প্রতিবেদনটি প্রকাশ হওয়ার পর কুলসুম বেগমের পলিথিনের ঘরটি পরিদর্শনে যান দেউলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. কামরুল ইসলাম সাচ্চু। তিনি তাৎক্ষণিক ৫ হজার টাকা কুলসুম বেগমের হাতে তুলে দেন। ভিজিডি কার্ডেরও নিশ্চয়তা দিয়ে আসেন ইউপি চেয়ারম্যান।

এরপর কুলসুম বেগমের তাবুটি পরিদর্শনে যান দেলদুয়ার উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম ফেরদৌস আহমেদ। তিনি কুলসুমের নাতি আসলামকে স্কুলে যাওয়া নিশ্চিত করেন। স্কুল ড্রেস কেনার টাকা দেন এবং উপবৃত্তি পাওয়ার নিশ্চয়তা দেন। কুলসুম বেগমের জন্য বিনামূল্যে সরকারি ঘরের ব্যবস্থারও নিশ্চয়তা দেন উপজেলা চেয়ারম্যান। চেয়ারম্যান জানান, আমি কুলসুম বেগমের বাড়ি পরিদর্শন করেছি। সত্যিই করুণ পরিস্থিতি। এ পরিস্থিতি নিরসনে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। এছাড়া বৃহস্পতিবার বিকেলে কুলসুম বেগমকে ডাকা হয়েছে। তার উপস্থিতিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা চেয়ারম্যানের সমন্বয়ে আলোচনার মাধ্যমে তাকে ঘরসহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা দেওয়ার কথাও জানান উপজেলা চেয়ারম্যান।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ নাদিরা আখতার জানান, আমরা খোজ খবর নিয়েছি। যেখানে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন দেশের একটি মানুষও না খেয়ে থাকবে না, একটি মানুষ ঘরবিহীন থাকবেনা সেখান এমনটা দুঃখজনক। বৃহস্পতিবার বিকেলে কুলসুম বেগমকে ডেকে আনা হয়। তার সমস্যা শুনে তার ভিটে বাড়িতে একটি ঘরের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
কুলসুম বেগম বলেন, আপনি ছবি তুলে কি করছেন জানিনা। আপনি আসার পর থেকে বড় বড় মানুষ আমাগো বাড়িতে আসতেছে। অনেকে সহযোগিতার কথাও বলছে। এই মহুর্তে আমার একটি থাকার ঘরের প্রয়োজন। ঘরের ব্যবস্থা করে দিলেই আমি খুশি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সংবাদ


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ