চরিত্র মানুষের শ্রেষ্ঠতম অলঙ্কার
সৃষ্টির সেরা জীব আশরাফুল মাখলুকাত- মানবজাতি। এ শ্রেষ্ঠত্ব মানুষ তার চরিত্র দিয়ে অর্জন করে নেয়।
প্রশ্ন: এক লোক ৪৮ মাইল পথ পাড়ি দেওয়ার পর নিয়ত করে বাড়ী থেকে বের হয়ে ৪০ মাইল চলার পর বাড়ী ফিরে এল। তার ওপর কী হুকুম?
উঃ তার ওপর মুসাফিরের হুকুম ওই সময় পর্যন্ত প্রযোজ্য হবে যতক্ষণ সে ৪৮ মাইল বা এর বেশি দূর যাওয়ার ইচ্ছা পোষণ করছিল। নিয়ত পরিবর্তন করার সাথে সাথে মুসাফিরের হুকুম আর থাকবে না।
প্রশ্ন: যে সরকারী কর্মচারী বা বিশেষ বাহিনীর লোককে সর্বদা বিভিন্ন এলাকা ভ্রমণ করতে হয় সে কি মুসাফির?
উঃ শরীয়ত নির্ধারিত পরিমাণ দূরত্বে ভ্রমণ কালে সে মুসাফির। আর আবাসস্থলে ফিরে এলে সে মুকীম।
প্রশ্ন: আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কোনো সদস্য যদি অপরাধীকে গ্রেফতার করা বা অন্য কোনো দায়িত্ব নিয়ে বাড়ী থেকে বের হয় এবং কোথায় অপরাধী ধরা পড়বে বা তার দায়িত্ব শেষ হবে জানা না থাকে, তাহলে এই লোক যাত্রাপথে কিভাবে নামায আদায় করবে?
উঃ এই লোকের মনে যদি প্রবল ধারণা হয় যে, ৪৮ মাইল যাওয়ার পর তার কাজ শেষ হবে এবং সে ফিরে আসতে পারবে, তাহলে সে কসর করবে। আর যদি সফরের শুরুতে তার ওইরকম ধারণা না থাকে; অনিশ্চিতভাবেই যাত্রা শুরু করে, তাহলে সারাপথেই সে মুকীম হিসাবে পূর্ণ নামায আদায় করবে।
প্রশ্ন: মুসাফির যদি দুই রকাত ফরযের স্থলে চার রাকাত পড়ে ফেলে, তাহলে কী হবে?
উঃ যদি ভুলবশতঃ পড়ে, তাহলে নামায শেষে সিজদায়ে সাহু করলে দুই রাকাত ফরয আর দুই রাকাত নফল হিাসবে গণ্য হবে। আর যদি ইচ্ছকৃতভাবে পড়ে, তাহলে নিঃসন্দেহে গোনাহগার হবে।
প্রশ্ন: মুসাফির ইমামের পেছনে মুকীম (মুকতাদী) কিভাবে নামায পড়বে?
উঃ মুসাফির ইমাম তার দুই রাকাত শেষ করে সালাম ফিরাবে। মুকতাদী সালাম না ফিরিয়ে অবশিষ্ট দুই রাকাত নামায কেরাত ছাড়া আদায় করবে।
প্রশ্ন: কোনো স্থানে যাওয়ার যদি দু’টি রাস্তা থাকে, একটিতে গেলে ৪৮ মাইল সফর হয়, আর অপরটিতে গেলে সফর হয় ৪৮ মাইলের কম, এরূপ স্থানের জন্যে কোন হুকুম?
উঃ ৪৮ মাইলের পথে গেলে মুসাফিরের হুকুম, আর ৪৮ মাইলের কম পথে গেলে মুকীমের হুকুম প্রযোজ্য হবে। -মুফতী ওয়ালীয়ুর রহমান খান
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।