Inqilab Logo

রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

প্রত্যাশার সংলাপ আজ

স্টালিন সরকার | প্রকাশের সময় : ১ নভেম্বর, ২০১৮, ১২:০১ এএম | আপডেট : ১২:১৯ এএম, ১ নভেম্বর, ২০১৮

সংলাপের ক্ষণ গণনা চলছে। অনেকটা কাউন্ট ডাউনের মতোই। ক’মাস আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আর উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের সংলাপের দিকে যেমন তাকিয়ে ছিল বিশ্ববাসী; তেমনই গণভবনে অনুষ্ঠেয় সংলাপের দিকে কোটি কোটি চোখ। দেশের ১৬ কোটি মানুষের মতোই সংলাপের দিকে তাকিয়ে রয়েছে বিশ্ব-রাজনীতির নিয়ন্ত্রক শক্তিখ্যাত প্রভাবশালী দাতাদেশ, সংস্থা ও আন্তর্জাতিক মহল। নির্বাচন ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ১৪ দলীয় জোট ও ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সংলাপ হবে আজ। দেশের ১০ কোটি সাধারণ ভোটারের মতোই ঢাকায় কর্মরত বিদেশী কূটনীতিকরা সংলাপের সাফল্য দেখতে মুখিয়ে আছেন। সবার প্রত্যাশা সংলাপ সফল হউক। নির্বাচন ইস্যুতে ‘সংলাপের বন্ধ কপাট’ খুলে যাওয়ায় প্রশাসনে লেগেছে নতুন ঢেউ, দলবাজ আমলাদের মধ্যে বাড়ছে অস্থিরতা। দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বইছে বাউলা বাতাস। সে বাতাসে উৎসাহ-উদ্দীপনা-প্রত্যাশা-উদ্বেগ-উৎকন্ঠা-শঙ্কা সবকিছুর মিশ্রণ।
দেশের আর দশজন নেতার চেয়ে বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটু ব্যাতিক্রম। ক্যারিশমাটিক রাজনীতির কারণে তাঁর প্রতি দেশের মানুষের প্রত্যাশা একটু বেশি। আমজনতা মনে করে তাঁর পক্ষ্যে সবই সম্ভব। কেবল তিনিই পারেন জনগণের ভোটের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রুপ দিতে। তিনি আমজনতার মন-মনন চিন্তা-চেতনা-প্রত্যাশা বিবেচনা করে ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়ে ইতিহাসের পাতায় নাম লেখাতে পারেন। রাষ্ট্রবিজ্ঞানী-রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে দীর্ঘদিন ধরে সংলাপের আহŸানে সাড়া না দিয়ে অনড় থাকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হঠাৎ করে সংলাপে সম্মতি আগামীর রাজনীতির জন্য ‘মাইলফলক’ বার্তা আনতে পারে। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর ঢাকায় কর্মরত বিদায়ী মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বøুম বার্নিকাট সংবাদ সম্মেলনে স্পষ্টই বলেছেন, সুষ্ঠু-নিরপেক্ষ-গ্রহণযোগ্য-অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের ‘প্রতিশ্রæতি’ সরকার বাস্তবায়ন করবে। তবে ‘চুন খেয়ে মুখ পুড়ে দই দেখলে ডরায়’ প্রবাদের মতোই (২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারী) রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মধ্যে শঙ্কারও রয়েছে যে, শেষ পর্যন্ত সংলাপ সফল-কার্যকর হবে তো? নাকি অতীতের অনুষ্ঠিত সংলাপগুলোর পরিণতির দিকে যাবে! হঠাৎ সংলাপে রাজী হওয়ার নেপথ্যে কী কোনো রহস্য রয়েছে? নাকি পর্দার আড়ালে কেউ কলকাঠি নাড়ছে? ১৯৯৪ সালে স্যার স্টিফেন নিনিয়ান, ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার, নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ আবদুল জলিল ও বিএনপির আব্দুল মান্নান ভূইয়া, ওয়ান-ইলেভেনের পর তত্ত¡াবধায়ক সরকারের চার উপদেষ্টার উদ্যোগে রাজনৈতিক দলগুলোর সংলাপ, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারী সংসদ নির্বাচনের আগে ২০১৩ সালে জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিবের সহকারী ফার্নান্দেজ তারানকোর নেওয়া উদ্যোগে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সংলাপ কোনোটিই সাফল্যের মুখ দেখেনি। মানুষ হয়েছে আশাহত। গতকালও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহবায়ক গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, জনগণের ঐক্যের ফলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে সংলাপের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এই সংলাপের সফলতা ঐক্যবদ্ধভাবে ধরে রাখতে হবে। যাতে কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর কাছে সংলাপের সফলতা জিম্মি হতে না পারে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সংলাপের মাধ্যমে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের একটি পথ তৈরি হবে। সংলাপের বিষয়টি আন্তর্জাতিক মহল বেশ ভালোভাবে নিয়েছে। তাই তারা অত্যান্ত আন্তরিকতার সঙ্গে সংলাপে বসার পরামর্শ দিচ্ছেন। কারো চাপে নয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তেই সংলাপ হচ্ছে। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগে প্রস্তাব এলে ঐক্যফ্রন্ট ও যুক্তফ্রন্টের পর প্রধানমন্ত্রী অন্যান্য দলের সঙ্গেও সংলাপে বসতে রাজি। সংলাপের সফলতা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার দুটি মামলার রায়ে বিষ্ময়করভাবে সাজা বাড়ানো হয়েছে। এ রায়কে কেন্দ্র করে অসংখ্য নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। এতে সংলাপের সফলতা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
সংলাপে যোগদানের আগে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট যথেষ্ট হোম ওয়ার্ক করেছে। চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, সংবিধান এবং নির্বাচনে জনগণের ভোটের অধিকার নিয়ে তৈরি ৭ দফা ও ১২ উদ্দেশ্য চুলচেরা বিশ্লেষণ করা হয়েছে। বিভিন্ন আলোচনা সভা, সমাবেশ, সেমিনার, সংবাদ সম্মেলনে দাবী-দফা নিয়ে বিস্তর সংশোধনী হয়েছে। গতকালও ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম নেতা ড. কামাল হোসেনের চেম্বারে ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতাদের রুদ্ধদ্বার বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, সংসদ বাতিল ও পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দেওয়াসহ জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট যে ৭ দফা দাবির ভিত্তিতেই সংলাপ হবে। সংলাপে লিখিত বক্তব্য তুলে ধরা হবে। এতে মূলত তাদের ৭দফা দাবি তুলে ধরা হচ্ছে। সরকার তফসিল ঘোষণার যে দিনক্ষণ ধার্য করতে যাচ্ছে, সংলাপে সে বিষয়ে আপত্তি জানানো হবে। যদিও সংলাপের এজেন্ডা তফসিল নয়। ৭ দফা দাবির কয়েকটি সংবিধান সম্পৃক্ত। এ কারণে এসব বিষয়ে সংলাপে জোর দেব। হয়তো সংবিধান পরিবর্তনও করতে হতে পারে। এজন্য অধিবেশনের প্রয়োজন পড়বে। মাহমুদুর রহমান মান্না এ প্রসঙ্গে বলেন, আগে সংলাপ পরে তফসিল। আমাদের দাবির সঙ্গে জনগণের সম্মতি রয়েছে। সংবিধান প্রণেতা ড. কামাল হোসেনের পরিচ্ছন্ন রাজনীতির ইমেজ তৈরি হয়েছে। ক্ষমতার মোহ তাকে স্পর্শ করতে না পারায় তিনি নিজেকে সুবিধাবাদের রাজনীতির উর্ধ্বে তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছেন। অন্যদিকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোট এখনো সংবিধানের মধ্যে থেকেই সংকট সমাধানের কথা ভাবছে। ১৪ দলীয় জোটের মুখপত্র মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, আগামী নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী। সংবিধানের বাইরের কিছু মেনে নেয়া হবে না। শেখ হাসিনা উদার গণতন্ত্র বিশ্বাস করেন বলেই সংলাপ ডেকেছেন। সংলাপ হলেও নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী।
সংলাপের সাফল্য-ব্যর্থতা নির্ভর করে কার্যত ক্ষমতাসীনদের ইচ্ছা-অনিচ্ছার উপর। ক্যালেন্ডারের দিকে তাকালে দেখি এদেশে সংলাপের মাধ্যমে রাজনৈতিক সংকটের সমাধান খুবই কম হয়েছে। ১৯৭৬ সালের ২২ জানুয়ারী রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে সংলাপ করেন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের বিশেষ সহকারী বিচারপতি আবদুস সাত্তার। ’৮২ সালে বিচারপতি সাত্তারকে হটিয়ে ক্ষমতা গ্রহণের পর এইচ এম এরশাদ ১৯৮৪ সালের ৯ এপ্রিল বঙ্গভবনে ৭ দলের সঙ্গে সংলাপ করেন; সেখানে ৩৩ দফা দাবি জানানো হয়। কোনো দাবিই মানা হয়নি। অতপর ১০ এপ্রিল জামায়াত ও ১১ এপ্রিল ১৫ দলের সঙ্গে বঙ্গভবনে সংলাপ করেন এরশাদ। ১২ এপ্রিল এরশাদের সঙ্গে খালেদা জিয়ার একান্ত সংলাপ হয়। আবার ১৪ এপ্রিল ১৫ দলের দ্বিতীয় পর্যায়ের সংলাপ, ২৮ এপ্রিল আরও ১০ দলের সঙ্গে সংলাপ হয় এরশাদের। কোনোটিই সফল হয়নি। আন্দোলনের মুখে ১৯৮৭ সালের ৭ সেপ্টেম্বর রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপের আহবান জানান এরশাদ। সেই সংলাপের আহবান প্রত্যাখ্যাত হয়। ওই বছরের ২৮ নভেম্বর এরশাদ আবারও সংলাপের প্রস্তাব দেন। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলো তা প্রত্যাখ্যান করেন। কারণ সংলাপের নামে এরশাদ বিভিন্ন দলের সঙ্গে পৃথক পৃথক ভাবে বসে ‘রাজনৈতিক চালাকি’ করেন। ’৯০ এর রাজনৈতিক পট-পরিবর্তন এবং সংসদীয় পদ্ধতির সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তনের পর ‘তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন’ ইস্যুতে ১৯৯৪ সালের ৩১ আগস্ট সংসদে সরকারি ও বিরোধী দলের দুই উপনেতার মধ্যে সংলাপ হয়। ওই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর একই ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বাম গণতান্ত্রিক ফ্রন্টের সংলাপ হয়। লাগাতার হরতালের মধ্যেই ওই বছরের ১৩ অক্টোবর কমনওয়েলথ মহাসচিব এমেকা এনিয়াওকুর ঢাকায় এসে শেখ হাসিনা ও বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। কমনওয়েলথ মহাসচিবের মধ্যস্থতায় রাজনৈতিক সংকট নিয়ে সংলাপে দুই নেত্রী আনুষ্ঠানিক সম্মতি দেন। পরে তিনি বিশেষ দূত স্যার নিনিয়ান ঢাকায় পাঠান। তিনি মাসব্যাপী সংলাপ করে একটি রাজনৈতিক ফর্মুলা দেন। অথচ সে প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয় আওয়ামী লীগ মেনে না নেয়ায়। ২০০৬ সালের অক্টোবরে তখনকার ক্ষমতাসীন বিএনপির মহাসচিব আবদুল মান্নান ভূঁইয়া ও বিরোধী দল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল জলিলের মধ্যে প্রায় তিন সপ্তাহে ৬টি বৈঠকে ‘সংলাপ’ হয়। আওয়ামী লীগ থেকে বিএনপির কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে ২৯ দফা তুলে ধরা হয়; সমঝোতা হয়নি। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ২০১৩ সালে নির্বাচনকালীন সরকার ইস্যুতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংলাপে বসে বিএনপি। সংকট নিরসনে জাতিসংঘের রাজনীতিবিষয়ক সহকারী মহাসচিব অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকো তিনবার ঢাকায় আসেন। পর্দার আড়ালের ওই সব সংলাপের ফলাফল শুন্য।
এবার মানুষ দারুণ আশাবাদী। সংলাপ সফল হবে এমন প্রত্যাশা সবার। ২৯ অক্টোবর ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ ৭ দফা দাবিতে আলোচনায় বসার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়া হয়। পরের দিনই সংলাপে বসার সম্মতি জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঐক্যফ্রন্ট নেতা ড. কামাল হোসেনকে চিঠি দেন। এতে আজ সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নেতাদের সংলাপে বসার আমন্ত্রণ জানানো হয়। ইতোমধ্যেই সংলাপে অংশ গ্রহণে ঐক্যফ্রন্টের ১৬ নেতার নাম পাঠিয়ে দেয়া হয়। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের ২১ নেতার তালিকাও প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু সংলাপ শুরু হওয়ার আগেই এর উদ্দেশ্য ও ফল নিয়ে নানা মহলে সরগরম আলোচনা চলছে। কেউ বলছেন সংলাপ লোক দেখানো। সরকার নিজের ছক মতোই নিয়ন্ত্রিত নির্বাচন করবে। কারও মতে সরকার বহির্বিশ্বকে দেখাতে চাইছে তাঁরা সুষ্ঠু-অংশগ্রহণমূলক একটি নির্বাচনে আগ্রহী। কেউ বলছেন ‘নেতৃত্বহীন’ বিএনপিকে বোকা বানাতে আওয়ামী লীগ সংলাপের মাধ্যমে ব্যাতিব্যস্ত রেখে দলটিকে নির্বাচনী প্রস্তুতি থেকে দূরে রাখার কৌশল নিয়েছে। কারণ সমঝোতা চাইলে বেগম জিয়াকে এভাবে কারারুদ্ধ এবং মামলার দ্রæত রায় দিতো না। ড. কামাল হোসেন ইতোমধ্যেই বলেছেন, জনগণের স্বার্থে সংবিধান সংশোধন এক মিনিটের ব্যাপার। রাষ্ট্রবিজ্ঞানীরা বলছেন, সংবিধানে প্রবিধান না থাকার পরও ’৯০ এ যেভাবে বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমদকে ক্ষমতায় বসিয়ে পরবর্তীতে সংবিধান সংশোধন করা হয়; সেভাবে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা যায়। তবে আওয়ামী নেতারা বরাবর বলে আসছেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। তবে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাত দফা নিয়েও আলোচনা হতে পারে।
তবে ২০০৬ সালে দুই আবদুলের (আবদুল জলিল, আবদুল মান্নান ভূঁইয়া) সংলাপ আর আজকে গণভবনে অনুষ্ঠেয় সংলাপে পার্থক্য রয়েছে। ওই সংলাপ ব্যর্থ হওয়ার দুই বছর পর আবদুল জলিল স্বীকার করেছিলেন সংলাপে দুই নেতা ঐক্যমত্যে পৌঁছেছিলেন। কিন্তু মূল নেতৃত্ব রাজী না হওয়ায় তারা সাফল্য পাননি। এবার দ্বিতীয় পর্যায়ের নেতা নয়; প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই সংলাপের নেতৃত্ব দেবেন। সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে তাকে ওপরের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে না। অন্যদিকে ড. কামাল হোসেনের অবস্থাও প্রায় অভিন্ন। বিএনপি তার নেতৃত্ব মেনে নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছে। অতএব এবারের সংলাপের সাফল্য দেখতে সবাই উন্মুখ।



 

Show all comments
  • তাঞ্জিল ১ নভেম্বর, ২০১৮, ২:১৩ এএম says : 0
    এতো সংলাপের পর ও ভালো কোন কিছুর আশা কি সত্যি করা যায়?
    Total Reply(0) Reply
  • Rasel ১ নভেম্বর, ২০১৮, ২:১৪ এএম says : 0
    আওয়ামীলীগ আর ঐক্য ফ্রন্ট দুয়ে মিলে আবার পাচ হবে না তো!
    Total Reply(0) Reply
  • মিজান ১ নভেম্বর, ২০১৮, ২:১৬ এএম says : 0
    সংলাপের সাফল্য কামনা করছি।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সংলাপ

২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
১০ জুন, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ