পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজনৈতিক সংলাপ বসছে ঢাকায়। তবে তার প্রভাব পুরোদমে পড়েছে গ্রাম-গঞ্জ শহর-বন্দর পাড়া-মহল্লাসহ সমগ্র দেশে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের চিঠি পাওয়ার পরই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে আওয়ামী লীগের সঙ্গে ড. কামাল হোসেন, মির্জা ফখরুল প্রমুখের নেতৃত্বে ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতাদের মধ্যকার এই সংলাপকে ঘিরে গণমানুষের আলোচনা-পর্যালোচনা আর গুঞ্জনের যেন শেষ নেই। যা চলবে আজ (বৃহস্পতিবার) রাতে সংলাপ শেষ হওয়া অবধি এমনকি তার পরবর্তী সময়েও।
এ অবস্থায় সারাদেশের চোখ এ মুহূর্তে রাজধানী ঢাকায় প্রধানমন্ত্রীর গণভবনে সংলাপের টেবিলের দিকেই নিবদ্ধ রয়েছে। দেশের চলমান সঙ্কট, রাজনীতি-অর্থনীতি, অর্থবহ জাতীয় নির্বাচন এবং সার্বিক স্থিতিশীলতার ভবিষ্যৎ কী দাঁড়াবে তা নির্ভর করছে এই সংলাপের ওপর। এ কারণেই সংলাপের দিকে সবার কৌত‚হল। সবাই একবাক্যে আশা করেন সংলাপ হোক ফলপ্রসূ। গত ২৭ অক্টোবর শনিবার চট্টগ্রামে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের জনসভায় যে অভূতপূর্ব গণজাগরণ দৃশ্যমান হয়েছিল তারপরই অনুষ্ঠিত হচ্ছে সরকার ও ঐক্যফ্রন্টের এ সংলাপ। যার ফলে বন্দরনগরীসহ বৃহত্তর চট্টগ্রামে সংলাপ নিয়ে রাজনীতি সচেতন মানুষের মাঝে নতুন মাত্রা এনে দিয়েছে। গতকাল (বুধবার) চট্টগ্রাম মহানগরীর এখানে-সেখানে আলাপচারিতা খোশগল্প থেকে বেরিয়ে আসে সংলাপ নিয়ে সাধারণ জনগণ আশা-নিরাশার দোলাচলে রয়েছে।
অনেকেরই কথা হলো সংলাপের মাধ্যমে দেশে সমঝোতার রাজনীতির সুবাতাস বইবে নাকি ঘুরেফিরে রাজনৈতিক সঙ্কট যেই তিমিরে ছিল সেই তিমিরেই রয়ে যাবে। তাছাড়া নিকট অতীতে রাজনৈতিক সঙ্কট নিরসনের লক্ষ্যে বহুল আলোচিত কমনওয়েলথ মিশন নিনিয়ান মিশন, আবদুল জলিল-মান্নান ভূঁইয়ার মধ্যকার নিষ্ফল সংলাপের তিক্ত অভিজ্ঞতা রয়েছে। এরফলে রাজনীতি সচেতন মানুষ এতো তাড়াতাড়ি বেশীমাত্রায় আশাবাদী কিংবা উচ্ছ¡সিত হতে পারেছেন না। তবে সংলাপের উদ্যোগ আয়োজনে সবাই ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখছেন। দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী খ্যাত এবং প্রধান সমুদ্রবন্দর ও শিল্পাঞ্চল হিসেবে চট্টগ্রামের মানুষজন গভীর তাৎপর্যপূর্ণ হিসেবে বিচার-বিবেচনা করছেন এ সংলাপকে। তার চান দৃশ্যমান সুফল।
কেননা এমনিতেই দেশে বিশেষ করে শিল্পায়ন ও বিনিয়োগের আদর্শস্থান হিসেবে বিবেচিত চট্টগ্রাম অঞ্চলে দেশী-বিদেশী বিনিয়োগ, শিল্পায়নে খরা বিরাজ করছে দীর্ঘদিন ধরে। কর্মসংস্থান বলতে গেলে রুদ্ধ। লাখ লাখ তরুণ শিক্ষিত অর্ধ-শিক্ষিত জনগোষ্ঠি বেকারত্বের অভিশাপে জর্জরিত। এর পেছনে মূল কারণটি হচ্ছে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে এক ধরনের অনিশ্চয়তা। দক্ষিণ কোরিয়ার ‘সামসাং’-এর মতো বিশ্বের নামিদামি শিল্প প্রতিষ্ঠান ও বাণিজ্যিক সংস্থাগুলো চট্টগ্রামে বিশাল অঙ্কের বিনিয়োগের মাধ্যমে শিল্পায়নের আগ্রহ ব্যক্ত করেও দফায় দফায় পিছু হটে গেছে। দেশীয় উদ্যোক্তাদের কপালেও চিন্তার ভাঁজ। রাজনৈতিক সঙ্কট ও অস্থিতিশীলতার কারণ দেখিয়ে তারা দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগের ঝুঁকি নিতে তেমন আগ্রহ দেখাচ্ছে না। আবার দেশে ব্যাপক আকারে বিদেশী বিনিয়োগ ও শিল্পায়নের সম্ভাবনা এখনও শেষ হয়েও যায়নি।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের সাথে সরকারী দল আওয়ামী লীগের সংলাপের বিষয়ে অভিমত ব্যক্ত করে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ শিক্ষাবিদ প্রফেসর ড. আবুল কালাম আযাদ গতকাল দৈনিক ইনকিলাবকে বলেছেন, আমি মনে করি সংলাপ একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। এরজন্য খোলা মন নিয়ে গঠনমূলক আলোচনা প্রয়োজন। জনগণ আশা করছেন সংলাপ ও সমঝোতার মাধ্যমে দেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, শান্তিপূর্ণ এবং সকলের কাছে গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমেই শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়ায় ক্ষমতা হস্তান্তর হোক। তিনি বলেন, আশা করি সংলাপ ফলপ্রসূ হবে। একগুঁয়েমি কিংবা প্রহসনের কারণে সংলাপ যদি ব্যর্থ হয় জাতির জন্য তা হবে দুর্ভাগ্যজনক।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।