পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
স্টাফ রিপোর্টার ঃ নতুন উদ্যোক্তাদের জন্য আবারও নতুন সুযোগ আসছে। যারা ফান্ডের অভাবে কিংবা সঠিক মেন্টর না থাকায় টেক ব্যবসা এগিয়ে নিয়ে যেতে পারছেন না তাদের জন্য ২০১৫ সালে এসডি এশিয়া এবং গ্রামীণফোন চালু করেছিল ‘জিপি এক্সিলেরেটর’ প্রোগ্রাম। খুব শিগগিরই ‘জিপি এক্সিলেরেটর’ প্রোগ্রামের দ্বিতীয় পর্বের বাছাই শুরু হতে যাচ্ছে।
অনেক টেক উদ্যোক্তাই ব্যবসা শুরুর মাঝপথে এসে প্রয়োজনীয় ফান্ডের অভাবে পিছিয়ে যান। কেউবা সঠিক দিক-নির্দেশনার অভাবে ব্যবসা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন। তাদের জন্যই এসডি এশিয়া এবং গ্রামীণফোন নিয়ে এসেছে এক্সিলেরেটর প্রোগ্রাম।
এসডি এশিয়ার সহ-প্রতিষ্ঠাতা সামাদ মিরালি এই প্রোগ্রাম সম্পর্কে জানান, ‘চার মাস ধরে প্রথম ব্যাচের কাছ থেকে অনেক কিছুই শিখেছি। এখন জিপি এক্সিলেরেটর টিম নতুন পাঁচটি স্টার্টআপ নিয়ে কাজ শুরু করার জন্য মুখিয়ে আছে। আশা করছি নতুন ব্যাচ আরও সুন্দর করে শুরু করতে পারব। নতুন স্টার্টআপদের সাথে কাজ করতে এখন আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত। ‘জিপি এক্সিলেরেটর’ প্রোগ্রামের প্রোজেক্ট ডিরেক্টর ফয়সাল কবির জানান, ‘সেরা দলের চেয়ে উপযুক্ত দলই বেছে নেয়ার লক্ষ্য আমাদের। প্রোজেন্টেশন পর্ব থেকে নতুন প্রোডাক্ট তৈরি পর্যায়ে নিয়ে আসছে এসব স্টার্টআপ। অনেক ভালো আইডিয়া হয়েও কাস্টমারদের সেরা সেবা দিতে পারছে কিনা সেটাও আমরা চিন্তা করে দেখছি। নতুন ব্যাচের ক্ষেত্রে সেসব দিকও বিবেচনা করা হবে।’
নতুন সব টেক স্টার্টআপদের সুযোগ করে দেবে ‘জিপি এক্সিলেরেটর’ প্রোগ্রাম। দ্বিতীয় পর্বের ‘জিপি এক্সিলেরেটর’ প্রোগ্রামের জন্য সেরা ৫টি স্টার্টআপ বাছাই কর হবে। সেই প্রক্রিয়ার শেষে ডেমোডেতে তাদের প্রজেক্টগুলো বিনিয়োগকারীদের সামনে তুলে ধরা হবে। নির্বাচিত প্রকল্পগুলো প্রজেক্ট বাস্তবায়নের জন্য ১০ লক্ষ টাকা পাবেন। এছাড়াও তারা গ্রামীনফোনের প্রধান কার্যালয় ‘জিপি হাউজে’ তাদের প্রকল্প নিয়ে কাজ করার জন্য অফিস স্পেস পাবেন। এই প্রকল্পের প্রধান লক্ষ্য হবে সম্ভাবনাময় টেক স্টার্ট-আপগুলো সঠিক মেন্টরশিপ এবং ফান্ডের মাধ্যমে এগিয়ে নেয়া। টেক নিয়ে যেকোনো স্টার্টআপই এই প্রোগ্রামে অংশ নিতে পারবেন। অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে সবচেয়ে সম্ভাবনাময় সেরা ৫টি স্টার্ট আপ খুঁজে নেবার দায়িত্ব যৌথভাবে পালন করবে এসডি এশিয়া এবং গ্রামীণফোন। ‘জিপি এক্সিলেরেটর’ প্রোগ্রামের দ্বিতীয় পর্বের বাছাই প্রসঙ্গে এসডি এশিয়ার প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও মোস্তফিজুর রাহমান খান জানান, ‘এবারের ব্যাচে আমরা পুরো দল হিসেবে যেসব স্টার্টআপ কাজ করত পারছে তাদেরকেই বাচাই করতে চাই। যাদের সুগঠিত বিজনেস মডেল আছে এবং ব্যবসা সফল হওয়ার জন্য কঠোর পরিশ্রম করছে তারাই এগিয়ে থাকবে’। ২০১৩ সালে বাংলাদেশের স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম নিয়ে একটি ডকুমেন্টারি দিয়ে মুস্তাফিজুর রাহমান খানের হাত ধরে যাত্রা শুরু করেছিল এসডি এশিয়া। সেই ডকুমেন্টারি থেকেই সারা পৃথিবী থেকে নয় হাজার মার্কিন ডলার সমমানের ফান্ড সংগ্রহ করেছিল এসডি এশিয়া। সেখান থেকেই বাংলাদেশের টেক স্টার্টআপগুলোকে এগিয়ে নেয়ার জন্য কাজ শুরু করে এসডি এশিয়া। ২০১৫ সালে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় মোবাইল নেটওয়ার্ক গ্রামীণফোন যোগ দেয় এসডি এশিয়ার এই উদ্যোগের সাথে।
উল্লাপাড়ায় দুই ফার্মেসীকে জরিমানা
উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা : সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় মেয়াদ উর্ত্তীর্ণ ও ভেজাল ঔষধ বিক্রি ও রাখার অপরাধে পৌর শহরের দুটি ঔষধের দোকানে ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান চালিয়ে ১ লাখ ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করেছে। এ সময় ওই দোকান দুটি থেকে প্রায় ৫০ হাজার টাকা মূল্যের মেয়াদ উত্তীর্ণ ও ভেজাল ঔষধ উদ্ধার করে আগুনে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে উল্লাপাড়া উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আকরাম আলীর নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত উল্লাপাড়া পৌর শহরের এবি ম্যানশন মার্কেটের দোতালায় রিয়াম ড্রাগ হাউস ওবিএন মার্কেটের সাহা ঔষধালয়ে অভিযান চালায়। এ সময় রিয়াম ড্রাগ হাউস থেকে মেয়াদ উত্তীর্ণ ও ভেজাল ঔষধ উদ্ধার করে এবং ওই দোকানে ড্রাগ লাইসেন্স না থাকায় এক লাখ টাকা জরিমানা এবং সাহা ঔষধালয়কে মেয়াদ উত্তীর্ণ ও ভেজাল ঔষধ রাখা এবং বিক্রির দায়ে ৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে। ওই দুটি দোকান থেকে প্রায় ৫০ হাজার টাকা মূল্যের মেয়াদ উত্তীর্ণ ও ভেজাল ঔষধ উদ্ধার করে উপজেলা পরিষদ চত্বরে নিয়ে গিয়ে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।