Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

১৪ সন্ত্রাসীর মৃত্যুদন্ড অনুমোদন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৮ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

পাকিস্তানের সামরিক আদালতের দেয়া ১৪ সন্ত্রাসীর মৃত্যুদন্ডের রায় অনুমোদন করেছেন সেনা প্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া। সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে ১৯ নিরাপত্তা সদস্য ও ৩ জন বেসামরিক নাগরিককে হত্যার দায়ে ‘চরম উগ্রবাদী’ হিসেবে তাদেরকে এই মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়। খবর নিউ ইয়র্ক টাইমস।
ভয়াবহ সন্ত্রাসবাদের শিকার পাকিস্তানে গত কয়েক বছর ধরে একের পর এক হামলার ঘটনায় অসংখ্য মানুষ নিহত হয়েছেন। সংবাদ মাধ্যম সূত্র মতে, শুধু ২০১৮ সালেই জুলাই পর্যন্ত সাতটি হামলায় অন্তত ২১২ জন নিহত হয়। এসব ঘটনায় আর্ন্তজাতিকভাবে সমালোচিত হচ্ছে পাকিস্তান। তারা সন্ত্রাসবাদকে প্রশয় দিচ্ছে বলে নিয়মিত অভিযোগ করে আসছে ভারত। এর মধ্যেই সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে দেশটির নেয়া এই কঠোর পদক্ষেপ সেই অভিযোগের জবাব বলেই মনে করা হচ্ছে।
শুক্রবার দেশটির সেনাবাহিনীর দেয়া এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করে জানানো হয়, ১৪ জনের মৃত্যুদন্ডের পাশাপাশি জেনারেল বাজওয়া ৮ সেনাসদস্যকে দেয়া কারাদন্ডের রায়ও অনুমোদন করেছেন। অভিযুক্ত আসামিরা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত সদস্য ও বেসামরিক নাগরিকদের উপর হামলা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ধ্বংসসহ সোয়াত উপত্যকার বিখ্যাত স্কি রিসোর্টে হামলায় জড়িত ছিল। তবে মৃত্যুদন্ড কবে কার্যকর করা হবে এ বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।
ওই বিবৃতিতে আরো বলা হয়, বিশেষ সামরিক আদালতে শাস্তি পাওয়া সকল আসামি নিষিদ্ধ ঘোষিত বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের সদস্য। আদালতে বিচার চলাকালে তারা দোষ স্বীকার করেন।
পাকিস্তানের সামরিক আদালতের বিচার কার্যক্রম জনসম্মুখে করা হয় না। তবে অভিযুক্তরা নিজস্ব আইনজীবি নিয়োগ করতে পারেন।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে পেশোয়ারে সামরিকবাহিনী পরিচালিত একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সন্ত্রাসী হামলায় দেড়শতাধিক মানুষ নিহত হয় যাদের বেশিরভাগই ছিল শিশু শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় পাকিস্তান মৃত্যুদন্ডের বিরুদ্ধে দেয়া নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মৃত্যুদন্ড

১৮ নভেম্বর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ