বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
ভাল বেতনে চাকরী দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ভারতে বিক্রি ও পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় খুলনায় স্বামী স্ত্রী দু’জনকে মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন আদালত।
খুলনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ৩ এর বিচারক আঃ সালাম খান আজ বুধবার (১৮ মে) দুপুরে এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় আসামিরা পলাতক ছিলেন। এ মামলায় অপর তিন আসামির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ কোন অভিযোগ প্রমাণ করতে ব্যর্থ হওয়ায় তাদের খালাস দিয়েছেন আদালত। সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হল মোঃ শাহীন খান ও তার স্ত্রী আসমা বেগম ওরফে সালমা।
রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের বেঞ্চ সহকারী মোঃ রুবেল খান। তিনি জানান, সাথী বেগম নগরীর বিআইটি রোডের খানবাড়ি এলাকার শওকাত ডাক্তারের ভাড়াটিয়া লাকী বেগমের কন্যা। ২০০৯ সালের অক্টোবর মাসে সাথী বেগমকে ভারতে ভাল চাকরির প্রলোভন দেখায় ওই এলাকার শাহীন ও তার স্ত্রী আসমা বেগম ওরফে সালমা। বিষয়টি প্রথমে সে তার মাকে জানায়। লাকী বেগম পরবর্তীতে এলাকার মানুষকে জানালে তারা নিষেধ করে। ওই বছরের অক্টেবর মাসের ১৯ তারিখ সকাল থেকে সাথী বেগমের সন্ধান না পেয়ে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করে তার মা। এর কিছুদিন পরে তিনি জানতে পারেন তার মেয়ে ভারতে রয়েছে। তাকে বিক্রি করে চৌহাটি কানাডা ব্রীজ গনেশের বাড়িতে রেখে জোর পূর্বক পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করা হচ্ছে।
পরবর্তীতে শাহীন খানের সাথে যোগযোগ করা হলে জানানো হয় ২০ হাজার টাকা দিলে সাথীকে মুক্তি দেওয়া হবে। এ ঘটনায় দুইজনের নাম উল্লেখ করে লাকী বেগম খানজাহান আলী থানায় মামলা দায়ের করেন। ২০১০ সালের ২০ জানৃয়ারি মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই অসীম কুমার ঘোষ আসামি শাহীন খান ও তার স্ত্রীসহ আরও ৫ জনের নামে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন ওই আদালতের স্পেশাল পিপি ফরিদ আহমেদ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।