Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত ৭ জনের ডেথ রেফারেন্সে শুনানি শিগগির

হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার ছয় বছর

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১ জুলাই, ২০২২, ১২:১০ এএম

হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার মামলায় মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত সাত জনের দুই বছর আগেই প্রস্তুত করা হয়েছে পেপারবুক। শুনানির জন্য প্রস্তুত হয়েছে মামলাটি। হাইকোর্টের ডেথ রেফারেন্স বেঞ্চে মামলাটি পাঠালে সেখানেই শুনানি হবে। রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন বলেছেন, বিচারিক আদালতের রায়ের ডেথ রেফারেন্স (মৃত্যুদন্ড অনুমোদন) শুনানির জন্য পেপারবুক প্রস্তুত করা হয়েছে। চাঞ্চল্যকর এ মামলাটি যেন দ্রুত নিষ্পত্তি করা যায়, সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। হাইকোর্টে দ্রুত এই স্পর্শকাতর মামলাটির শুনানির উদ্যোগ নেওয়া হবে।
গুলশানের হলি আর্টিজানে সেই ভয়ঙ্কর জঙ্গি হামলার ঘটনার ছয় বছর পর জঙ্গিদের অবস্থান সম্পর্কে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, এরা অনলাইনে সক্রিয় থেকে বিভিন্ন সময়ে অপতৎপরতা চালানোর চেষ্টা করছে। এটাও আমাদের মনিটরিংয়ে ধরা পড়ে। মাঝে মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ওদের বিচরণ ধরা পড়ে। সেটাও আমরা নজরদারির মধ্যে এনে গ্রেফতার করছি।
গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলছেন, হলি আর্টিজানের মত বড় ধরনের হামলার সক্ষমতা জঙ্গি দলগুলোর নেই। তবে তারা চোরাগোপ্তা বা ‘লোন উলফ’ (একক ব্যক্তি বা জঙ্গিদের কোন ছোট দল) এর মত হামলা চালাতে পারে। সর্বশেষ ২০১৯ সালের ২৯ এপ্রিল গুলিস্তানে কর্তব্যরত পুলিশ সদস্যদের ওপর বোমা হামলা চালানো হয়। এতে দুই পুলিশ আহত হন।
২০১৬ সালের ১ জুলাই রাজধানীর গুলশান ২ নম্বরের ৭৯ নম্বর সড়কের ৫ নম্বর প্ল¬টের হলি আর্টিজান ও ওকিচেন রেস্তোরায় জঙ্গি হামলার ঘটনায় ৯ জন ইটালির নাগরিক, ৭ জন জাপানি নাগরিক, ১ জন ভারতের নাগরিক, ৩ জন বাংলাদেশি নাগরিক ও দুই জন পুলিশ কর্মকর্তাসহ ২৩ জন নিহত হন। পরবর্তীতে সেনাবাহিনীর অপরাশেন থান্ডার বোল্ড অভিযানে ৫ জঙ্গি নিহত হয়। হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার ঘটনার জের ধরে পরবর্তীতে সারাদেশে পুলিশ ও র‌্যাব ২৭ টি জঙ্গি বিরোধী অভিযান চালায়। এতে ৭৩ জন জঙ্গি (পুরুষ ও নারী) নিহত হয়। অভিযান চালাতে গিয়ে র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখার পরিচালক লে.কর্নেল আবুল কালাম আজাদসহ দুই পুলিশ কর্মকর্তা এবং চার জন উৎসুক জনতা নিহত হন।
ওই হামলায় তামিম ও সরোয়ার জাহান মানিকসহ ২১ জঙ্গির জড়িত থাকার প্রমাণ উল্লেখ করে ২০১৮ সালের ২৩ জুলাই আদালতে চার্জশিট দাখিল করে মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট সংস্থা সিটিটিসি (কাউন্টার টেরোরিজম এ্যান্ড ট্রান্স ন্যাশনাল ক্রাইম) ইউনিট। যাদের নামে চার্জশিট দেয়া হয়েছে তারা হলো-জাহাঙ্গীর আলম ওরফে রাজীব গান্ধী, রাকিবুল হাসান রিগান, রাশেদুল ইসলাম ওরফে র‌্যাশ, সোহেল মাহফুজ, মিজানুর রহমান ওরফে বড় মিজান এবং হাদিসুর রহমান সাগর। শহীদুল ইসলাম খালেদ ও মামুনুর রশিদ রিপন। এদের মধ্যে খালেদ ও রিপনকে পলাতক দেখানো হয়। বাকিদেরকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। যাদের নামে চার্জশিট দেয়া হয় তাদের মধ্যে বড় মিজানকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেন আদালত। বাকি সাত জনের বিরুদ্ধে গত বছরের ২৭ নভেম্বর ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত ৭ জনের ডেথ রেফারেন্সে শুনানি শিগগির
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ