বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
জামায়াত, হেফাজত এবং তাদের পরিবারের কেউ স্বতন্ত্রভাবেও যেন নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে সেই ব্যবস্থা নিতে নির্বাচন কমিশনের প্রতি দাবি জানিয়েছে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি। তবে এর জবাবে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে জামায়াত- হেফাজতদে নির্বাচনের বাইরে রাখার প্রয়োজনীয় কোনও আইন নেই। ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবিরের নেতৃত্বে ৮ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। বৈঠকে ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
সিইসি কে এম নুরুল হুদার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে শাহরিয়ার কবির বলেন, জামায়াতের অনুসারী বা নেতাকর্মী কিংবা যুদ্ধাপরাধীদের উত্তরাধিকারীরা যেন কোনোভাবেই নির্বাচনের প্রার্থী হতে না পারে, সে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছি। সিইসি এ বিষয়ে জানিয়েছেন এজন্য প্রয়োজনীয় আইন বাংলাদেশে নেই। পরবর্তীতে বিবেচনা করতে হবে। কেননা, এ বিষয়ে অন্য নির্বাচন কমিশনারদের সঙ্গেও আলোচনা করতে হবে। গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ সংশোধনের বিষয় আছে। সরকারের অন্য আইনের বিষয়ও আছে।
শাহরিয়ার কবির বলেন, শুধু জামায়াতে ইসলামী নয়, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী, জঙ্গি, সন্ত্রাসী সংগঠনও যাতে নির্বাচনে অংশ নিতে না পারে সে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছি। এক্ষেত্রে হেফাজতে ইসলামও যদি নির্বাচনে অংশ নেয়, তারা যে সন্ত্রাসী সংগঠন তা আমরা চ্যালেঞ্জ করতে পারবো। প্রতিনিধি দলের সদস্য বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক জামায়াতের নিবন্ধন নিয়ে রায়ের ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, যেহেতু আমি বিষয়টি জানি তাই ব্যাখ্যা দিয়েছি যে জামায়াতকে নির্বাচনের অযোগ্য ঘোষণা করেছেন আদালত। তাই জামায়াতের কোনও সদস্য কোনও নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। একই সঙ্গে এ দলটির সঙ্গে জোটগতভাবে কেউ নির্বাচনে অংশ নিলে সে দলও নির্বাচনের অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে। এই ব্যাখ্যার পর নির্বাচন কমিশন বিষয়টি খতিয়ে দেখবে বলে জানিয়েছে।
ইসি’র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে সিইসি কেএম নূরুল হুদা বলেছেন-সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সকল ব্যবস্থা নেবে নির্বাচন কমিশন। তারা আরো দাবি জানিয়েছেন, জামায়াতের অনুসারী বা নেতাকর্মী কিংবা যুদ্ধাপরাদীদের উত্তরাধীকারী যেন নির্বাচনে কোনোভাবে নির্বাচন করতে না পারে, সে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য। সিইসি এ বিষয়ে বলেছেন বর্তমানে আইন নেই, পরবর্তীতে বিবেচনা করতে হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।