Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

আ.লীগে রেলমন্ত্রী কৌশলে জাপা ও ২০ দলীয় জোট

কুমিল্লা-১১ চৌদ্দগ্রামে বইছে নির্বাচনী হাওয়া

চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) থেকে মো. আকতারুজ্জামান | প্রকাশের সময় : ২৪ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে সম্ভাব্য প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছেন। নির্বাচনে কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম) আসন থেকে আওয়ামী লীগ, জাতীয় পাটি, বিএনপি, জামায়াত প্রার্থীরা পৃথকভাবে কৌশলে চালিয়ে যাচ্ছেন প্রচারণা। এ আসনে আ.লীগ থেকে রেলপথ মন্ত্রী মো. মুজিবুল হক এমপি একক প্রার্থী। নেতা-কর্মীরা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতি করে আসা কুমিল্লা দক্ষিণ জেলার আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মুজিবুল হক এ আসনে ব্যাপক উন্নয়ন ও সাধারণ মানুষসহ তৃণমুলের নেতাকর্মীদের আস্থা ও ভালোবাসা অর্জন করেছেন। ফলে এ আসনে তিনি আবারও প্রার্থী হলে অন্যদলের প্রার্থীরা তেমন সুবিধা করতে পারবে না বলে জানান আওয়ামী নেতা-কর্মীরা।

মো. মুজিবুল হক কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি নিজ এলাকা চৌদ্দগ্রাম থেকে ১৯৯৬, ২০০৮ ও ২০১৪ সালে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। এক সময়ের অবহেলিত চৌদ্দগ্রামকে আলোকিত করেছেন। চৌদ্দগ্রামের ৪২৯টি গ্রামের সর্বত্র উন্নয়ন করেছেন। উপজেলার প্রায় সকল রাস্তা তিনি পাকা করেছেন। এছাড়াও জাতীয় পার্টি (এরশাদ) আইসিএল’র এমডি এইচ এন এম শফিকুর রহমান, উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি শিল্পপতি সমাজ সেবক আলহাজ খায়েজ আহমেদ ভূইয়া, জামায়াত নেতা ডা. সৈয়দ আবদুল্লা মো. তাহের ও বিএনপির কামরুল হুদা এবং জাতীয় পার্টির কাজী জাফরের মেয়ে জয়া নির্বাচন করবেন বলে শোনা যাচ্ছে।

নির্বাচনকে সামনে রেখে চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার মেয়র মিজানুর রহমান বলেন, রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক চৌদ্দগ্রাম মানুষের হৃদয়ে তাদের আপনজন হিসেনে স্থান করে নিয়েছেন। প্রতিনিয়ত নেতা-কর্মীদের পাশাপাশি এলাকার মানুষের খোজ-খবর নিচ্ছেন এবং বিপদগ্রস্ত মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন। চৌদ্দগ্রামের সকল মানুষের হৃদয়ে জয় করে নিয়েছেন বলে চৌদ্দগ্রামের মানুষ বার বার উনাকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত করেছেন। তিনি বলেন মুজিবুল হকের হাত ধরে চৌদ্দগ্রামের অনেক উন্নয়ন হয়েছে। উনিই একমাত্র লোক যিনি উন্নয়নের মাধ্যমে চৌদ্দগ্রামের চিত্র পাল্টিয়ে দিয়েছেন।
চৌদ্দগ্রাম পৌর বিএনপির সদস্য সচিব হরুন অর রশিদ মজুমদার বলেন, বিএনপি সব সময় নির্বাচনমুখী দল। যে দলটি মাঠ পর্যায়েসহ ইউনিয়ন ও গ্রাম পর্যায়ে এমন একটা অবস্থা তৈরী করেছি, যা নির্বাচনের জন্য সর্বাঙ্গনে প্রস্তুত। তবে বিএনপি যদি নির্বাচন করে, তবে শত ভাগ আশাবাদি আমরা কামরুল হুদাকে নিয়ে নির্বাচনে যাবো।

চৌদ্দগ্রাম উপজেলার জাতীয় পার্টির সভাপতি খায়েজ আহমেদ ভূইয়া ও খোরশেদ আলম বলেন, আগামী সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে চৌদ্দগ্রাম সকল ইউনিয়নে জাতীয় পার্টি ও অন্যান্য অঙ্গসংঘটনগুলো সক্রিয়। নির্বাচনকে সামনে রেখে আমরা প্রত্যেকটি ইউনিয়নে ও গ্রামে জাতীয় পার্টির কমিটি গঠন করেছি। আমাদের ছাত্র সমাজ, যুব সমাজ সবাই সক্রিয়। আগের তুলনায় আমাদের অবস্থা অনেক ভালো। নির্বাচন হলে আমরা আশাবাদি জয় লাভ করবো।
কথা হয় মরহুম কাজী জাফরের মেয়ে কাজী জয় আহমেদের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমার বাবার একান্ত প্রচেষ্টায় চৌদ্দগ্রামে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। আমৃত্যু বাবা এ জনপদের তৃণমূল পর্যায়ে সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করে গেছেন। বাবার আদর্শ বাস্তবায়ন এবং চৌদ্দগ্রামের উন্নয়নের লক্ষ্যে সবার সহযোগিতা নিয়ে আমি কাজ করতে চাই। আমার বিশ্বাস চৌদ্দগ্রামরে মানুষ বাবার অবদানের কথা চিন্তা করে আমি প্রার্থী হলে চৌদ্দগ্রামের মানুষ আমাকে ভোট দিবে।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলার জাতীয় পার্টি জানায়, যদি কোন কারণে এইচ এন এম শফিকুর রহমান নির্বাচনে না আসেন, সেক্ষেত্রে উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি বিশিষ্ট শিল্পপতি আলহাজ খায়েজ আহমেদ ভূঁইয়া নির্বাচন করবেন।



 

Show all comments
  • yousuf ২৪ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:২৪ এএম says : 0
    আমাদের প্রিয় নেতা আমাদের অহংকার মাননীয় রেলপথ মন্ত্রী মুজিবুল হক এমপি সম্পর্কে সঠিক তথ্য তুলে ধরার জন্য আমি দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক, বার্তা সম্পাদক, চৌদ্দগ্রাম উপজেলা প্রতিনিধি সহ সকলকে আন্তরিক ভাবে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। দৈনিক ইনকিলাব তাদের নিজস্ব ঐতিহ্য নিয়ে এগিয়ে যাবে আরো বহুদূর এই প্রত্যশা কামনায় । এস এন ইউসুফ, ব্যক্তিগত কর্মকর্তা, মাননীয় রেলপথ মন্ত্রী।
    Total Reply(0) Reply
  • ইয়াসমিন ২৪ অক্টোবর, ২০১৮, ৫:৩৮ এএম says : 0
    ২০ দল বা জাতীয় ঐক্য থেকে জামায়াত নেতা ডা. সৈয়দ আবদুল্লা মো. তাহেরকে দিলে ভালো হবে
    Total Reply(0) Reply
  • ২৪ অক্টোবর, ২০১৮, ৮:১৭ এএম says : 0
    এইচ এন শফিক সাহেব ভালো লোক দলমত নির্বিষেশে তাকে ভোট দেয়ার দরকার কারন ষড়যন্ত্রের শিকার।
    Total Reply(0) Reply
  • Asif Bhuiyan ২৪ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:৩২ পিএম says : 0
    আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের ভাই সম্পর্কে কিছুই লিখলেন্না। অথচ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের এ আসনের সফল এমপি ছিলেন। এখনো জনসমর্থন সবার চাইতে বেশি।
    Total Reply(0) Reply
  • Ahmed ২৪ অক্টোবর, ২০১৮, ৩:৫০ পিএম says : 0
    Thanks for the article. But it is not impartial. Ex MP Abdullah Md Taher is ignored. But he is the most successful, honest and popular leader in the area.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নির্বাচন

২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ