Inqilab Logo

মঙ্গলবার, ০২ জুলাই ২০২৪, ১৮ আষাঢ় ১৪৩১, ২৫ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

রাখাইনে মানবতাবিরোধীদের বিচারের মুখোমুখি করার দাবি

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ২৩ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

রাখাইনে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে জড়িতদের বিচারের মুখোমুখি করার আহ্বান জানিয়েছেন জাতিসংঘের বিশেষ দূত ক্রিস্টাইন শ্রেনার বার্গেনার। ১০ দিনের মিয়ানমার সফর শেষে এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, নিরাপদ প্রত্যাবাসন ও মিয়ানমারে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে অপরাধীদের দোষী সাব্যস্ত করা জরুরি। এদিকে, ২০১২ সালে সহিংসতার শিকার হয়ে রাখাইনের বিভিন্ন আশ্রয় শিবিরে অন্তত দেড় লাখ রোহিঙ্গা বন্দিজীবন যাপন করছে বলে খবর প্রকাশ করেছে মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন। এ রকম স্যাঁতস্যাঁতে আর ঘনবসতিপূর্ণ শিবিরে গত ছয় বছর ধরে বসবাস করে আসছে এখানকার রোহিঙ্গারা। ২০১২ সালে রাখাইনে সাম্প্রদায়িক সহিংসতা শুরুর পর রাজ্যটির বিভিন্ন শিবিরে আশ্রয় নেয় অন্তত দেড় লাখ রোহিঙ্গা। মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএনে রোববার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পরিবেশগত ঝুঁকির পাশাপাশি খোলা আকাশের নিচে এক ধরনের বন্দি জীবন যাপনে বাধ্য হচ্ছে তারা। শুধু বন্দি জীবন যাপনই নয় প্রতিনিয়ত স্থানীয় উগ্রপন্থী বৌদ্ধ ও সেনাবাহিনীর অত্যাচার নির্যাতনের আতঙ্কে থাকতে হয় বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। এ অবস্থায় বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সেখানকার বাসিন্দারা। তারা বলেন, আমরা যেখানে আছি এটাকে একরকম কয়েদখানাই বলা চলে। কয়েদিরা অন্তত এটা জানে যে তাদের কতদিন কারাগারে থাকতে হবে। কিন্তু আমরা তাও জানিনা। জাতিসংঘ স্বাধীন তদন্ত কমিশনের প্রকাশিত প্রতিবেদনে গত বছরের আগস্টে রাখাইনে রোহিঙ্গাদের ওপর অত্যাচার নির্যাতনের জন্য মিয়ানমার সেনাবাহিনীকে দায়ী করা হলেও তা মানতে নারাজ দেশটির সরকার। তবে মিয়ানমারের স্বার্থেই রাখাইন সহিংসতায় জড়িতদের দোষী সাব্যস্ত করা প্রয়োজন বলে মনে করেন জাতিসংঘের বিশেষ দূত ক্রিস্টাইন শ্রেনার বার্গেনার। সিএনএন।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রাখাইন

১৮ অক্টোবর, ২০২০

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ