পশ্চিম তীরে সহিংসতা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকিস্বরূপ
জর্ডানের বাদশাহ আবদুল্লাহ মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এই বৈঠকে তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনের
খাশোগির ঘটনায় অবশেষে নিজস্ব তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সউদী আরব। প্রাথমিক একটি তদন্তের বরাত দিয়ে দেশটির রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত টেলিভিশনের খবরে বলা হয়েছে, ইস্তাম্বুলের সউদী কনস্যুলেটে বেশ কয়েক জনের সঙ্গে লড়াইয়ের ঘটনায় জামাল খাশোগি নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে সউদীর উপ-গোয়েন্দা প্রধান আহমাদ আল-আসিরি এবং ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মাদ বিন সালমানের শীর্ষ সহকারী সৌদ আল কাহতানিকে তাদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে ও তদন্তের অংশ হিসেবে ১৮ জন সউদী নাগরিককে আটক করা হয়েছে।
এ খবরে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। সউদীর প্রতি সমর্থন দিয়ে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সউদীর এই স্বীকারোক্তি বিশ্বাসযোগ্য। তবে তিনি বলেছেন, কিছু বিষয়ে ক্রাউন প্রিন্স মুহাম্মাদ বিন সালমানের সঙ্গে কথা বলার প্রয়োজন রয়েছে। একটি গোল টেবিল বৈঠকে তিনি বলেন, ওই ঘটনায় জড়িতদের গ্রেফতার করাটাই ছিল প্রথম গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। সউদী আরব এ ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করায় তিনি দেশটির প্রশংসা করেছেন।
এদিকে, তুরস্কের ক্ষমতাসীন দল একে পার্টির মুখপাত্র ওমর সেলিক জানিয়েছেন, “তুরস্ক জামাল খাশোগির নিহতের ঘটনার আসল রহস্য উন্মোচন করবে। এ বিষয়ে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই। প্রেসিডেন্ট এরদোগান যে কোন মূল্যে এই রহস্যের সমাধান করতে চান।” তিনি আরও বলেন, “তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তুরস্ক কাইকে দোষারোপ করবে না। তবে কোন কিছু গোপনও রাখা হবে না।”
এ ঘটনায় বাদশাহ সালমান দেশটির গোয়েন্দা বিভাগকে ঢেলে সাজাতে ক্রাউন প্রিন্স সালমানের নেতৃত্বে একটি মন্ত্রিপরিষদীয় কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন।
বিবৃতিতে সউদী পাবলিক প্রসিকিউটর দাবি করেন, স্বেচ্ছায় নির্বাসনে থাকা খাশোগিকে সউদী আরবে ফিরিয়ে আনার জন্য সাধারণ নির্দেশনা জারি ছিল। যখন খবর আসে ২ অক্টোবর খাশোগি ইস্তানবুল কনস্যুলেটে যাবেন বিয়ের জন্য কিছু কাগজ পত্র নিতে তখন জেনারেল আসিরি ১৫ সদস্যের একটি দল পাঠান এ ব্যাপারে তার সঙ্গে আলোচনা করতে। সউদী কনস্যুলেটে দেখা করতে যাওয়া কয়েকজনের সঙ্গে খাশোগির লড়াই হয়। আর তাতেই খাশোগির মৃত্যু হয়।
এর আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইরানের সঙ্গে ভারসাম্য রক্ষাকারী শক্তি হিসেবে কাজ করছে সউদী আরব। সে কারণে ইরানকে মোকাবেলায় সউদী আরবকে প্রয়োজন রয়েছে। শুক্রবার এক বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে তারা আমাদের মহান মিত্র। ইরানের সঙ্গে ভারসাম্য রক্ষার জন্য তাদের প্রয়োজন রয়েছে। ফলে এটা কোনো সহজ সমাধান হবে না। সূত্র: বিবিসি, পার্স ট্যুডে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।