মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মন্দিরের পুরোহিত ও অন্য ভক্তদের প্রতিরোধ, প্রতিবাদে শুক্রবার আটকে দেওয়া হয়েছিল তিন মহিলাকে। তাদের প্রত্যেকেরই বয়স ছিল ১০ থেকে ৫০-এর মধ্যে। শনিবারও চরম নাটকীয়তার মুখোমুখি হল শবরীমালা মন্দির চত্বর। এ দিনও আটকানো হল এক মহিলা ভক্তকে। পরিচয়পত্র দেখিয়ে বয়সের প্রমাণ দেওয়ার পরেই তাকে মন্দিরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়।
শনিবার ছিল সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক রায়ের পর মন্দিরে বিগ্রহ দর্শনের চতুর্থ দিন। মন্দিরের প্রথা অনুযায়ী, ১০ থেকে ৫০ বছর বয়সী কোনও মহিলার মন্দিরে প্রবেশাধিকার নেই। কারণ, মন্দির পরিচালকদের বিশ্বাস আয়াপ্পাস্বামী চিরকুমার। মহিলাদের প্রবেশে সেই কৌমার্য নষ্ট হবে এই বিশ্বাস থেকেই এই প্রথা। আজ পর্যন্ত এই মন্দিরে কোনও মহিলা ভক্ত ঢুকতে পারেননি।
তিরুচিরাপল্লির এক মহিলা ভক্ত গর্ভগৃহের সামনে শনিবার আসতেই শুরু হয় উত্তেজনা। এর পরেই ছিল আঠারো ধাপের সোনার সিঁড়ি। সেই সিঁড়ি পেরোলেই আয়াপ্পাস্বামীর বিগ্রহ। হঠাৎ করেই ওই মহিলা ভক্তকে ঘিরে ধরেন মন্দিরের সেবায়েতরা। তার সামনে তৈরি করা হয় অবরোধের প্রাচীর। পুরোহিতদের দাবি ছিল, ওই মহিলা ভক্তের বয়স ৫০-এর কম, তাই তাকে মন্দিরে ঢুকতে দেওয়া হবে না। এর পরই কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। শেষ পর্যন্ত নিজের ব্যাগ থেকে বের করেন তার পরিচয়পত্র। তা পরীক্ষা করে দেখা যায় তার বয়স ৫২। এর পরই আয়াপ্পা স্বামীকে দর্শনের অনুমতি পান তিনি। বিগ্রহ দর্শনের পর তিনি জানান, “শবরীমালা মন্দিরে এই আমার দ্বিতীয় তীর্থযাত্রা। আমি গত বছরও আয়াপ্পাস্বামীকে দর্শন করেছিলাম।”
গত চার দিন ধরে শুরু হয়েছে শবরীমালার তীর্থযাত্রা। পাহাড়ি রাস্তা এখন রীতিমতো দুর্গের চেহারা নিয়েছে। প্রচুর পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে ট্রেকিং রাস্তার দুই ধারে। সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর ১০ থেকে ৫০ বছর বয়সী মহিলা ভক্তদের আটকাতে অসংখ্য ভক্তও ব্যারিকেড করে আছেন রাস্তার দুই ধারে।
যদিও তীর্থযাত্রা শুরুর চতুর্থ দিনে ১০ থেকে ৫০ বছর বয়সী আর কোনও মহিলা ভক্তকে মন্দিরের পথে দেখা যায়নি। যদিও শুক্রবার দুই মহিলা আয়াপ্পাস্বামীর গর্ভগৃহের একদম সামনে পৌছে গিয়েছিলেন। শেষ পর্যন্ত পুরোহিতদের অবরোধের মুখে পড়ে তাদেরকে ফিরে আসতে হয়।
শনিবার যদিও তীর্থযাত্রার বেসক্যাম্পে পৌছেছেন কেরলেরই এক মহিলা। ৩৮ বছরের এই মহিলা কেরল দলিত মহিলা ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক। কড়া পুলিশি নিরাপত্তায় রাখা হয়েছে তাঁকে। এরই মধ্যে শুরু হয়েছে টানা বৃষ্টি। মঞ্জু নামের এই মহিলা গর্ভগৃহে ঢুকে আয়াপ্পাস্বামীকে দর্শনের সিদ্ধান্তে বদ্ধপরিকর। সমস্ত নজর এখন তাঁর দিকেই। পুরোহিত, ভক্ত আর সেবাইতদের অবরোধ ভেঙে ভেতরে ঢুকতে পারলে শবরীমালায় তৈরি হবে নতুন ইতিহাস। সূত্র: এনডিটিভি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।