Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

ব্রহ্মপুত্র বিষয়ে ভারতকে সতর্ক করল চীন

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৯ অক্টোবর, ২০১৮, ৮:৪৯ পিএম

তিব্বতে নদীর উপরে বিশাল পাহাড়ি ধস নামায় হড়পা বন্যায় ভেসে যেতে পারে ভারতের অরুণাচল প্রদেশের একটি বিস্তীর্ণ এলাকা। চিনের সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশনের কাছ থেকে এই ধসের খবর পাওয়ার পরই সতর্কতা জারি করেছে অরুণাচল প্রদেশের পূর্ব সিয়াং জেলা প্রশাসন।
জেলা প্রশাসন জানায়, অরুণাচল প্রদেশের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত সিয়াং নদীর পানিস্তর গত কয়েক দিনে দুই মিটারেরও বেশি কমে গিয়েছে। আপার সিয়াং-এর জেলাশাসক ডুলি কামডুক বলেন, “টুটিং-এর কাছে পানিস্তর ২ মিটারের বেশি নেমে যায়। তখনই আমরা সন্দেহ করেছিলাম, নদীর উজান পথে কোথাও বাধার সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার চিনের সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশনের কাছ থেকে রিপোর্ট এসেছে, ধসে নদীর গতিপথ আটকে গিয়েছে।”
চিনের পাঠানো ওই রিপোর্টে বলা হয়েছে, তিব্বতে ইয়ারলুং সাংপো নদীর গতিপথ বিশাল পাহাড়ি ধসে আটকে গিয়েছে। তার ফলে আচমকা তৈরি হয়ে গিয়েছে বিশাল এক হ্রদ। প্রায় ১৩০ ফুট উঁচু হয়ে পানি জমে রয়েছে সেখানে। প্রতি মুহূর্তেই বাড়ছে পানিস্তর। যে কোনও সময় সেই বাঁধ ভেঙে ভাসিয়ে দিতে পারে অরুণাচল প্রদেশের বিস্তীর্ণ এলাকা!
তিব্বতের এই ইয়ারলুং সাংপোই অরুণাচল প্রদেশে সিয়াং নামে প্রবাহিত। সিয়াং আরও নীচে নেমে এসে আসামে নাম নিয়েছে ব্রহ্মপুত্র। অরুণাচল প্রদেশের বিধায়ক নিনং এরিং বলেন, “নদীর দু’পারে গ্রামগুলোকে সতর্ক করা হয়েছে, তারা যেন নদীর কাছে না আসেন। টুটিং, ইঙকিয়ং এবং পাসিঘাটের মতো শহরগুলিকেও সতর্ক করা হয়েছে। বন্যার আশঙ্কার পাশাপাশি পরিস্থিতি সঙ্গীন হয়েছে নদী দ্রুত শুকিয়ে যাওয়ায়।”
ঘটনার সূত্রপাত বুধবার সকালে। ভারত-চিন সীমান্ত থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে লিংজি বলে একটি জায়গায় ইয়ারলুং সাংপোর গতিপথে হঠাৎ করেই ধস নামে। পাহাড়ি উপত্যকার মধ্যে দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীর মাঝখানে ধসে পড়ে পাহাড়ের একাংশ। সেই ধসে নদীর গতিপথে কার্যত একটা বাঁধের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়। ফলে নদীর পানি পুরোপুরি আটকে নীচের দিকে নামা বন্ধ হয়ে যায়। গতিপথের পিছন দিকটা সুবিশাল হ্রদের আকার নিয়ে নেয়। আর হ্রদের নীচের দিকে অর্থাৎ যেখানে ধস নেমেছে তার পরবর্তী অংশে শুকিয়ে গিয়েছে নদী।
চিনের এমার্জেন্সি সার্ভিসেস জানিয়েছে, উপর থেকে পানি নামছে। অথচ সেই পানি নদীপথ ধরে নীচে নামতে পারছে না। ফলে ক্রমেই বাড়ছে ওই হ্রদের পানিস্তর। শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই লেকের পানিস্তর দাঁড়িয়েছে ৪০ মিটার বা ১৩০ ফুটেরও বেশি। কিন্তু ধসের ওই আলগা দেওয়াল যে কোনও সময় ভেঙে যেতে পারে। সেই সময় বিশাল পানিরাশি ধেয়ে আসবে নীচের দিকে। সেই বিপদের আশঙ্কাতেই ইয়ারলুং ছাংপো নদীর দুই তীর এবং আশপাশের প্রায় ৬ হাজার বাসিন্দাকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নিয়ে গিয়েছে তিব্বতের স্থানীয় প্রশাসন। নদী সংলগ্ন এলাকায় যাতায়াতের উপর জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা। সূত্র: টিওআই।

 

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ভারত-চীন

২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ