নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
চোটের সঙ্গে লড়াইটা বাংলাদেশ ক্রিকেটে দীর্ঘ দিনের। সেই ঝড়টা সবচেয়ে বেশি গেছে মাশরাফি বিন মুর্তজার উপর দিয়ে। সম্প্রতি শেষ হওয়া এশিয়া কাপেও চোট পেয়েছেন দেশসেরা এই পেসার। আশার খবর, ধীরে ধীরে সেরে উঠছেন ওয়ানডে অধিনায়ক। জিম্বাবুয়ে সিরিজের আগে গতকাল মাঝ উইকেটে পূর্ণ রানআপে বোলিং করেছেন মাশরাফি। পুরোপুরি ফিট মাশরাফিকেই তাহলে পাওয়া যাচ্ছে মাসাকাদজাদের বিপক্ষে। তবু স্টিভ রোডস ঝুঁকি নিতে চান না। হোম সিরিজ বা বিশ্বকাপের আগে মাশরাফি যদি ফের চোটে পড়েন তার বিকল্প একজন খেলোয়াড় তৈরি রাখছেন। বিকল্প খেলোয়াড় হচ্ছেন সাইফউদ্দিন।
মাশরাফির ‘বিকল্প’ বলতে আক্ষরিক অর্থেই নয়। সাইফউদ্দিনের পক্ষে রাতারাতি মাশরাফি হওয়া সম্ভবও নয়। তবে খেলার ধরনের কারণেই রোডসের ভাবনায় সাইফউদ্দিন আসছেন, যিনি পেস বোলিংয়ে দলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবেন, আবার সাত-আটে নেমে ঝড় তুলে দলকে একটা ভালো স্কোর এনে দেবেন। বাংলাদেশ কোচ রোডস সাইফউদ্দিনের ভূমিকাটা দেখছেন এভাবে, ‘সে একজন ভালো অলরাউন্ডার। সর্বোচ্চ পর্যায়ে ভালো করার সামর্থ্য তার আছে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খেলার অভিজ্ঞতাও ওর আছে। দলের বাইরে ছিল, আবার ফিরেছে। আমরা আশা করছি, সে আরও পরিণত হবে। মাশরাফি দুর্দান্তভাবে তার কাজটা করে যাচ্ছে। সেটি অধিনায়কত্বের মাধ্যমে করছে, দুর্দান্ত বোলিংয়ের মাধ্যমে করছে। নিশ্চয়ই জানেন মাশরাফি চোটে পড়েছে কদিন আগে। মাশরাফির বিকল্প কাউকে তৈরি রাখা নিয়ে আমাদের ভাবতে হচ্ছে। যদি মাশরাফি চোটে পড়ে, তার মতো খেলোয়াড় আমাদের দরকার। সাইফউদ্দিনকে সে কারণে তৈরি রাখা। আমি তার চিন্তাভাবনা পছন্দ করি। তাকে অনেক প্রত্যয়ী দেখাচ্ছে।’
জিম্বাবুয়ে সিরিজে বাদ পড়লেও রোডসের দৃষ্টিতে আছেন সৌম্য সরকার, মুমিনুল হকও। জাতীয় লিগে দুর্দান্ত খেলা সৌম্যর পারফরম্যান্সে তো ভীষণ মুগ্ধ রোডস, ‘যখন কোনো খেলোয়াড় দল থেকে বাদ পড়ে, সে একাকিত্ব বোধ করে, মানসিকভাবে ধাক্কা খায়, হতাশ হয়। ভাবে আমি বোধ হয় অবহেলিত। সৌম্য-মুমিনুল এমনটা ভাববে, সেটা আমরা আশা করি না। দলে ফেরার সামর্থ্য তাদের আছে। মোসাদ্দেকও বাদ পড়েছে। আমি (কাল) প্রস্তুতি ম্যাচ দেখতে যাব (প্রস্তুতি ম্যাচে সৌম্য-মোসাদ্দেক খেলবেন)। সৌম্য যে জাতীয় লিগে দুটি ৭০ রানের ইনিংস ও ৫ উইকেট পেয়েছে শুনে খুব খুশি হয়েছি। তার সঙ্গে কথা হয়েছে।’
গতকাল জিম্বাবুয়ে সিরিজের স্কোয়াড নিয়ে স্কিল ট্রেনিং চালিয়েছেন রোডস। আঁটছেন পরিকল্পনা। দলে থাকা নতুন মুখ, তরুণ ক্রিকেটারদের কীভাবে কাজে লাগাবেন ভেবে নিচ্ছেন তাও। সিরিজে বাংলাদেশ খেলতে নামছে দলের অন্যতম সেরা দুই তারকা সাকিব আল হাসান ও তামিম ইকবালকে ছাড়াই। চোটের কারণে নেই তারা দুজন। তবে বাংলাদেশ দলের কোচ স্টিভ রোডস এই দুজনের না থাকায় খুঁজে পাচ্ছেন ইতিবাচক দিক। তার মতে অন্যদের ঝালাই করে নেওয়ার এইতো সুযোগ।
বিশ্বকাপ সামনে রেখে এই সিরিজে সাকিব, তামিমের না থাকাতে তো সমস্যা নেইই, বরং দলের গভীরতা বাড়াতে ইতিবাচক লাগছে রোডসের কাছে, ‘আমি ইতিবাচকভাবেই দেখছি। এটা অন্যদের জন্যে সুযোগ। যদি তারা সেই সুযোগ নিতে পারে তাহলে বোঝা যাবে আমাদের দলে গভীরতা আছে। যদি প্রতিযোগিতা থাকে তাইলে সবাই সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করে। এটা স্বাস্থ্যকর ব্যাপার। আমরা গভীরতা বাড়াতে চাই।’
সাকিব না থাকলে তার ব্যাটিং, বোলিং দুই জায়গার অভাব নিয়ে ভাবতে হয় বাংলাদেশকে। বোলিংয়ে সে অভাব পূরণ করতে কয়েকজনের দিকে তাকিয়ে রোডস, ‘অপু কোয়ালিটি স্পিনার। টি-টোয়েন্টিতে সে প্রমাণ করেছে, ওয়ানডেতেও সে ভালো করবে। অপু খেললে আমাদের একাদশে দুজন কোয়ালিটি স্পিনার থাকছে। এছাড়া সবাই যেভাবে ভাবে তারচেয়েও ভালো স্পিনার রিয়াদ। ফজলে রাব্বি খেললেও সে কয়েক ওভার করে দিতে পারে। সাকিব অবিশ্বাস্যভাবে একজন ভালো স্পিনার, ব্যাটসম্যান, ফিল্ডার ও পরিকল্পক। তার জায়গা পূরণ হওয়ার মতো নয়। তবে মেহেদীর জন্যে বাড়তি দায়িত্ব নেওয়ার সময় এখন।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।