রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
ভুয়া সনদে কাজী হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন কৃষক লীগ নেতা। এ ঘটনায় তোলপাড় চলছে সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ সদরে। নিয়োগ পাওয়া ওই কৃষক লীগ নেতার নাম আব্দুল নূর। তিনি উপজেলা কৃষক লীগের সহ-সভাপতি। এ ছাড়া স্থানীয় সরকার দলীয় এমপির ঘনিষ্ঠজন হিসেবেও আলোচিত তিনি।
উপজেলার নবসৃষ্ট ৫ নম্বর উত্তর ফেঞ্চুগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের নিকাহ রেজিস্ট্রার (কাজী) পদে নিয়োগ লাভের জন্য আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেন অন্যদের মতো স্থানীয় গঙ্গাপুর গ্রামের মৃত ফরমুজ আলীর ছেলে মো: আব্দুল নূর। কিন্তু আবেদনের সাথে শিক্ষাগত যোগ্যতার ভুয়া সদনপত্র দাখিল করেন তিনি। নিজেকে বিশ্বনাথ দারুল উলুম ফাজিল মাদরাসার ছাত্র হিসেবে উল্লেখ করে সনদ দাখিল করলেও ওই মাদরাসার অধ্যক্ষ মোহাম্মদ নুমান আহমদ বলেন, আব্দুল নূরের উত্থাপিত সনদের ব্যাপারে গত ৫ জানুয়ারি ২০১৬ সংশ্লিষ্টদের একটি প্রত্যয়নপত্র আমি দিয়েছি। ওই সনদে আমি বলেছি, এই নামের কোনো শিক্ষার্থী আমাদের প্রতিষ্ঠান থেকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেনি।
অপর দিকে, ঝিংগাবাড়ি ফাজিল (ডিগ্রি) মাদরাসার অপর একটি সনদও দাখিল করছেন তিনি। সেই মাদরাসার অধ্যক্ষ মো. হাফিজুর রহমান গত ২৯ নভেম্বর ২০১৫ একটি প্রত্যয়পত্র দিয়ে জানান, আব্দুল নূর নামের কোনো ছাত্র তার প্রতিষ্ঠান থেকে আলিম পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেনি।
সনদ নিয়ে বির্তক দেখা দেয়ার পরও রহস্যজনকভাবে কাজী হিসেবে নিয়াগ পেয়ে আব্দুল নূর দিব্যি সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে কার্যালয় খুলে বসেছেন। সচেতন লোকজন তাদের নিকাহে এই কাজীকে এড়িয়ে চললেও সরলমনা মানুষ ওই কথিত কাজী আব্দুল নূরকে দিয়েই বিয়ে পড়িয়ে নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। এতে করে বিয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়টি রেজিস্ট্রার প্রক্রিয়া ঝুঁকির মুখে।
নিয়োগপ্রাপ্ত কাজী আব্দুল নূর ইনকিলাবকে বলেন, যারা তাকে নিয়োগ দিয়েছেন তারা তাকে মেনে নিয়েছে বলেই তিনি কাজী হয়েছেন। বাইরের লোকদের অভিযোগে তার কিছু যাবে আসবে না।
এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. এমরান উদ্দিন বলেন, একাধিক ব্যক্তি তাকে এ বিষয়ে মৌখিকভাবে অবহিত করেছেন। ভুয়া সনদের কাজী নিয়োগ অবশ্যই অবৈধ। অনেকে বেআইনি এ নিয়োগের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগী হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।