পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ দাদঘর গ্রামের রশিদ মিয়ার বাড়ির সামনে থেকে কৃষক ইসমাইল হোসেন বাবুলের (৪৮) লাশ উদ্ধার করে মনোহরগঞ্জ থানা পুলিশ। গত বছরের ২৫ আগস্ট রাত ২ টার দিকে উদ্ধার হয় বাবুলের লাশ। স্থানীয়দের ধারণা ছিলো ওই কৃষককে হত্যার পর ওই স্থানে লাশ ফেলে গেছে দুর্বৃত্তরা।
বাবুলের পরিবারের অভিযোগ, সম্পত্তি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে কৃষক ইসমাইল হোসেন বাবুলকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে। লাশ উদ্ধারের পরদিন সকালে থানায় হত্যা মামলা করতে গেলেও পুলিশ মামলা নেয়নি। উল্টো পুলিশের এক সদস্যকে বাদী করিয়ে হত্যার ঘটনাকে সড়ক দুর্ঘটনা উল্লেখ মামলা নিয়েছিলেন থানার ওৎকালীন ওসি। এছাড়া খুনের ঘটনাকে সড়ক দুর্ঘটনা বানিয়ে আদালতে একটি ফাইনাল রিপোর্টও দিয়েছে তারা। তবে পুলিশের সেই রিপোর্টের বিরুদ্ধে আদালতে নারাজি আবেদন করেছেন বাবুলের স্ত্রী। আদালত সেই আবেদন আমলে নিয়ে ঘটনাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কুমিল্লাকে তদন্তের নির্দেশ দেয়। এছাড়া ঘটনার পাঁচ দিন পর ওই বছরের ৩০ আগস্ট তার নিহতের স্ত্রী মরিয়ম বেগম আদালতে ৯ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
জানা গেছে, গত ৩ এপ্রিল বাবুলের মৃত্যু হয়েছে অজ্ঞাত কোন গাড়ির ধাক্কায় এমন কথা উল্লেখ করে মনোহরগঞ্জ থানার তৎকালীন পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো.নজরুল ইসলাম আদালতে একটি চুড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। গত ৭ আগস্ট পুলিশের দেওয়া সেই প্রতিবেদনের বিরদ্ধে আদালতে নারাজি আবেদন করলে কয়েক দফা শুনানি শেষে আদালত মামলাটি পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশে গত ২ অক্টোবর মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পান পিবিআই কুমিল্লার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো.শাহজাহান। এরপর মাত্র ১১ দিনের মধ্যেই কুমিল্লা জেলা পিবিআই প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো.ওসমান গনির নেতৃত্বে সংস্থাটির কুমিল্লা ইউনিটের সদস্যরা ওই কৃষকের মৃত্যুর রহস্য বের করতে সক্ষম হয়েছেন। অবাক করা ব্যাপার হলো পিবিআই’য়ের তদন্ত বের হয়ে আসে সড়ক দুর্ঘটনায় নয়, পরিকল্পিতভাবেই খুন করা হয়েছিলো কৃষক ইসমাইল হোসেন বাবুলকে। এরপর কয়েক দফা অভিযান চালিয়ে এই খুনের ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে সংস্থাটি।
পিবিআই প্রধান পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) বনজ কুমার মজুমদার, চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিশেষ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইকবাল, কুমিল্লা জেলা পিবিআই প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো.ওসমান গনিসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নজরে আসে বিষয়টি। পরে ওই কর্মকর্তারা সরাসরি মামলাটি তদারকি শুরু করেন। গত ১৫ অক্টোবর স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলে আদালত ওই অটোচালকে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। এরপর সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে এই পরিকল্পিত খুনের ঘটনায় ৪ জনকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই সদস্যরা। গতকাল বুধবার দুপুরে গ্রেপ্তারকৃতদের কুমিল্লার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন; উপজেলা সদরের দিশাবন্দ গ্রামের আবুল কালাম ওরফে কালু মেম্বার, দুর্গাপুর গ্রামের বর্তমান মেম্বার আবদুল হক, একই গ্রামের ইসমাইল হোসেন এবং মো.সুমন। এদের মধ্যে মেম্বার আবদুল হক ও ইসমাইল আদালতে বাবুলের স্ত্রীর দায়ের করা মামলার আসামি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।