Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ফখর-সরফরাজের ৬ রানের আক্ষেপ

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৭ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

আবু ধাবি টেস্টের প্রথম দিনেই নেই ১২ উইকেট। এর আগে যে ঘটনা কখনো ঘটেনি। প্রথম সেশনে নাথান লায়ন তাণ্ডবের পর শেষ সেশনে আগুন ঝরান মার্নাস লাবুশেন। মাঝে ছিল অভিষিক্ত ফখর জামান ও অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদের চোয়ালবদ্ধ প্রতিরোধ। শেষ বিকেলে সেই প্রতিরোধও ভেঙে পাকিস্তানকে ২৮২ রানে গুটিয়ে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। জবাবে ২০ রান তুলতে গিয়ে ২ উইকেট হারিয়েছে টিম পাইনের দল।

আবু ধাবির এই উইকেটে রান প্রথম ইনিংসে রানের গড় চার’শর উপরে। চেনা উইকেটে তাই টস জিতে ব্যাট বেছে নিতে একদম ভাবতে হয়নি সরফরাজকে। তবে পাক অধিনায়কের টসজয়ের হাসি বিষাদে পরিণত হতেও সময় লাগেনি। প্রথম সেশনেই যে নেই ৫ উইকেট। যার চারটিই আবার ছয় বলের ব্যবধানে তুলে নেন নাথান লায়ন। ১ উইকেটে ৫৭ থেকে মুহূর্তেই স্কোরবোর্ড হয়ে যায় ৫ উইকেটে ৫৭!

দলীয় ৫ রানে বিদায় নেন আগের টেস্টেই প্রত্যবর্তনের দারুণ নজির গড়া মোহাম্মদ হাফিজ। আর দলীয় ৫৭ রানে ওভারের শেষ দুই বলে আজহার আলি ও হারিস সোহেলকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সামনে দাঁড়ান লায়ন। লায়নের করা পরের ওভারে হ্যাটট্রিক রুখে দিয়েও বাঁচতে পারেননি আসাদ শফিক। এক বল পর সরাসরি বোল্ড হয়ে ফেরেন বাবর আজমও। পাক ইনিংস তখন ধ্বংসস্তুপে।

তখনও অপর প্রান্তে ছিলেন অভিষিক্ত ওপেনার ফখর। ১৪৭ রানের জুটিতে তাকে নিয়ে প্রায় মাঝের সেশন কাটিয়ে দেন সরফরাজ। প্রায় বলতে হচ্ছে এই কারণে, সেশনের শেষ বলে সেঞ্চুরি থেকে ৬ রান দূরত্বে আউট হন ফখর, লাবুশেনের লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়ে। তার ১৯৮ বলের পরীক্ষিত ইনিংসে ছিল ৮টি চার ও একটি ছক্কার মার।

খানিক বাদে সরফরাজকে সিডলের ক্যাচে পরিণত করেন একই স্পিনার। তার আগে বেলাল আসিফ ও ইয়াসির শাহকে নিয়ে ছোট কিন্তু কার্যকরী দুটি বিশোর্ধে জুটি গড়ে যান সরফরাজ। তার ভাগ্যও আটকা পড়ে ফখরের মতই ঠিক ব্যাক্তিগত ৯৪ রানে। তবে তার ১২৭ বলের ইনিংসটি ছিল ওয়ানডে মেজাজের। ৭৮ রানে ৪ শিকার লায়নের, লাবুশেনের ৪৫ রানে ৩টি। শুরু আর শেষের উইকেট দুটি নেন মিচেল স্টার্ক।
এরপরও দিন শেষে মনে হলো সরফরাজ আহমেদ মাঠ ছাড়লেন সন্তুষ্ট মনেই। সেটা ৭ ওভারে ২ উইকেট তুল নিতে পারার কারণে। প্রথম টেস্টের নায়ক উসমান খাজার উইকেট দিয়ে ওয়াকার ইউনুস, সাব্বির আহমেদ ও মোহাম্মাদ আসিফের পাশে বসেন মোহাম্মদ আব্বাস। মাত্র ১০ টেস্টেই ৫০ উইকেটের মাইলফলক স্পর্শ করলেন এই পেসার, পাক পেসারদের মধ্যে যা যৌথ দ্রুততম। তবে ৯ টেস্টে ৫০ উইকেট নিয়ে এই তালিকার শীর্ষ বোলার ইয়াসির শাহ। দিনের শেষ বলে আব্বাসের বলে লেগবিফোরের ফাঁদে পড়ে রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি সিডল।

সংক্ষিপ্ত স্কোর
পাকিস্তান ১ম ইনিংস : ৮১ ওভারে ২৮২ (ফখর ৯৪, হাফিজ ৪, আজহার ১৫, হারিস ০, শফিক ০, বাবর ০, সরফরাজ ৯৪, বিলাল ১২, ইয়াসির ২৮, আব্বাস ১০, হামজা ৪*; স্টার্ক ২/৩৭, সিডল ০/৩৯, মিচেল মার্শ ১/২৭, লায়ন ৪/৭৮, হল্যান্ড ০/৪৫, লাবুশেন ৩/৪৫)।
অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস : ৭ ওভারে ২০/২ (খাজা ৩, ফিঞ্চ ১৩*, সিডল ২; আব্বাস ২/৯, হামজা ০/৪, ইয়াসির ০/৭)। *প্রথম দিন শেষে



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ