বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
সরকারি চাকরিজীবী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য চিকিৎসা বিমা চালু করতে যাচ্ছে সরকার। এর আওতায় কোনো সরকারি চাকরিজীবী কিংবা তার পরিবারের সদস্যরা অসুস্থ হলে তাদের পুরো চিকিৎসা ব্যয় বহন করা হবে। এজন্য বেতন থেকে বিমার প্রিমিয়াম হিসেবে সমান্য অর্থ কেটে নেওয়া হবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সম্প্রতি আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে চিঠি পাঠানো হয়। সব কিছু ঠিক থাকলে চলতি মাসের মধ্যে এ সংক্রান্ত পরিপত্র জারি হতে পারে।
আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম ইনকিলাবকে বলেন, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য চিকিৎসা বিমা চালু করার কাজ চলছে। এ সংক্রান্ত ফাইল প্রস্তুত করে অনুমোদনের জন্য শিগগিরই অর্থমন্ত্রীকে দেওয়া হবে। অর্থমন্ত্রী অনুমোদন দিলে তা প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠানো হবে। এরপর প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিলে তা প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করা হবে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের জেলা প্রশাসক সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারদের মুক্ত আলোচনায় সরকারি চাকরিজীবীদের চিকিৎসা বিমা চালুর প্রস্তাব দেওয়া হয়। পরে এটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্নিষ্টদের নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ বিষয়ে পর্যালোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগে চিঠি পাঠায়। এটি আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই বাস্তবায়নের চেষ্টা চলছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ আবদুল ওয়াদুদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত চিঠিতে বলা হয়েছে, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা আকস্মিক দুরারোগ্যে আক্রান্ত হলে চিকিৎসা ব্যয় বহন করার মতো পৃথক কোনো হাসপাতাল নেই। ফলে বাধ্য হয়ে তাদের প্রাইভেট ক্লিনিক বা হাসপাতালে নিজ খরচে চিকিৎসা নিতে হয়। দুরারোগ্য রোগের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করতে গিয়ে পরিবারগুলো আর্থিক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। সব গ্রেডের কর্মচারীর চিকিৎসার জন্য মাসিক দেড় হাজার টাকা খুবই অপ্রতুল। আর্থিক অবস্থা বিবেচনা করে তাদের এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসা বিমার আওতায় আনা যেতে পারে। চিঠিতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনার কথাও উল্লেখ রয়েছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পরিসংখ্যান ও গবেষণা সেলের তথ্যানুযায়ী, দেশে সরকারি চাকরির প্রথম শ্রেণিতে কর্মরত রয়েছেন এক লাখ ৪৬ হাজার ৭৯১ জন, দ্বিতীয় শ্রেণিতে এক লাখ ১৭ হাজার ৭৬১ জন, তৃতীয় শ্রেণিতে আট লাখ ২৬ হাজার ৫১৭ জন এবং চতুর্থ শ্রেণিতে ২ লাখ ৫১ হাজার ৩৮৪ জন কর্মকর্তা। এতে সারাদেশে মোট সরকারি চাকরিজীবী রয়েছেন ১৩ লাখ ৪২ হাজার ৪৫৩ জন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।