নগরীতে নবম শ্রেণির এক ছাত্রীকে কৌশলে জিম্মি করে ধর্ষণ করার অভিযোগে পুলিশ অভিযুক্ত যুবক ও তাকে সহায়তার অভিযোগে এক নারীকে গ্রেফতার করেছে। তারা হলেন- মোঃ শামীম (২৯) ও সানজিদা চৌধুরী (২২)। গতকাল (রোববার) তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। স্কুল ছাত্রীর পরিবারে ঘটনা জানাজানি হলে শনিবার রাতে পাহাড়তলী থানায় মামলা দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী ছাত্রী। গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে নগরীর পাহাড়তলী থানার দক্ষিণ কাট্টলী এলাকায় সানজিদা চৌধুরীর বাসায় জিম্মি করে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্ত শামীমের বাসা নগরীর খুলশী থানার ঝাউতলায়। সানজিদার বাসা পাহাড়তলী থানার দক্ষিণ কাট্টলী ফইল্যাতলী কলেজ রোডে সেলিম সাহেবের ভবনের পঞ্চম তলায়। স্কুল ছাত্রী তার প্রতিবেশী। ওই এলাকায় মা ও ছোট বোনের সাথে ভাড়া বাসায় থাকে সে। তার বাবা প্রবাসী।
পাহাড়তলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সদীপ কুমার দাশ জানান, সানজিদা এবং ধর্ষিতা ছাত্রীর পরিবার আগে একই ভবনে থাকত। তিন মাস আগে তারা অন্যত্র বাসা ভাড়া নেয়। ওই ছাত্রীর মায়ের সঙ্গে সানজিদার পারিবারিক ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে। বৃহস্পতিবার সানজিদা বিয়ের দাওয়াতে যাবার কথা বলে ওই ছাত্রীর মাকে রাজি করিয়ে তাকে সঙ্গে নেয়। যাবার সময় পথে হঠাৎ অসুস্থবোধ করার কথা বলে মেয়েটিকে নিয়ে আবার বাসায় ফিরে আসে সানজিদা। এসময় শামীমকে ফোন করে বিরিয়ানি নিয়ে বাসায় আসার কথা বলে। মেয়েটি যখন তার বাসায় ফিরে যাবার প্রস্তুতি নিচ্ছিল, তখন শামীম তাকে জোরপূর্বক একটি কক্ষে নিয়ে ধর্ষণ করে। এসময় আরেকটি কক্ষে সানজিদা ছিলেন। ওসি বলেন, সানজিদা ও শামীম পূর্বপরিচিত। টাকার বিনিময়ে সানজিদা শামীমকে মেয়েটিকে ধর্ষণের সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। গ্রেফতারের পর সানজিদা প্রথমে বলেছিল, শামীম ধর্ষণের আগে তাকে আঘাত করলে সে অজ্ঞান হয়ে যায়। জ্ঞান ফেরার পর জানতে পারে, মেয়েটিকে ধর্ষণ করে শামীম পালিয়েছে। আসলে সানজিদার এই বক্তব্য পুরোপুরি মিথ্যা। ধর্ষণের শিকার ছাত্রী পুলিশের কাছে অভিযোগ করেছে- ধর্ষণের পর শামীম ও সানজিদা মিলে তাকে ঘটনাটি কাউকে না জানানোর জন্য ভয়ভীতি দেখায়। এমনকি তাকে সারারাত ওই বাসায় আটকে রাখা হয়।