Inqilab Logo

রোববার ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭ আশ্বিন ১৪৩১, ১৮ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

বাটি চালান দিয়েও বিএনপিকে খুঁজে পাওয়া যাবে না

খুলনায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিম

আবু হেনা মুক্তি | প্রকাশের সময় : ১৫ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

সংবিধান অনুযায়ী আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে। আমেরিকা, ব্রিটেনসহ অন্য দেশে যেভাবে নির্বাচন হয় সেভাবেই হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার কবরস্থানে চলে গেছে। আর ফিরে আসবে না। নির্বাচনে না এলে আগামীতে বাটি চালান দিয়েও বিএনপিকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, ১৪ দলের সমন্বয়ক ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম একথা বলেন। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার পক্ষে ভোট চাইতে খুলনার শহীদ হাদিস পার্কে ১৪ দলের মহাসমাবেশের আয়োজন করা হয়। 

সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বিএনপিকে উদ্দেশ করে নাসিম বলেন, যদি বুকের পাটা থাকে তাহলে নির্বাচনে আসেন। দেখবো কে হারে, কে জেতে? তবে ফাউল করবেন না। ফাউল করলে জনগণ লালকার্ড দেখিয়ে দেবে।
জাতীয় ঐক্যের সমালোচনা করে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, খালেদা জিয়া ভাড়াটে খেলোয়াড়দের নিয়ে এসেছেন, যাদের কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই। ড. কামাল হোসেন ও বদরুদ্দোজা চৌধুরী যতই ষড়যন্ত্র করুক নির্বাচন ঠেকাতে পারবে না। নির্বাচন হবেই।
মহাসমাবেশে মোহাম্মদ নাসিম আরও বলেন, আল্লাহ না করুক বিএনপি-জামায়াত যদি ক্ষমতায় আসে তাহলে বাংলাদেশ হবে জঙ্গির দেশ।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের জবাবে নাসিম বলেন, বিডিআর হত্যাকান্ডের বিচার শেখ হাসিনার সরকার করেছে। কিন্তু খালেদা জিয়া ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার বিচার করেননি। এমনকি তার স্বামী জিয়াউর রহমান হত্যার বিচারও তিনি করেননি।
খালেদা জিয়ার কারাগারে যাওয়া প্রসঙ্গে ১৪ দলের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক নাসিম বলেন, এজন্য আমরা দায়ী না। তিনি আওয়ামী লীগসহ ১৪দলের নেতা-কর্মীদের প্রত্যেক বাড়ি বাড়ি গিয়ে নৌকায় ভোট চাওয়ার আহ্বান জানান।
নাসিম বলেন, পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করতে হলে নৌকা মার্কাকে বিজয়ী করতে হবে। আর শেখ হাসিনা যাকে মনোনয়ন দেবেন তার জন্য সবাইকে কাজ করতে হবে।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আবদুল খালেক। মহাসমাবেশ পরিচালনা করেন নগর ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান।
বক্তৃতা করেন সাম্যবাদী দলের সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, বাংলাদেশ জাসদের সভাপতি শরীফ নুরুল আম্বিয়া, ওয়ার্কার্স পার্টির সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, জাসদের কার্যকরী সভাপতি রবিউল আলম, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেত্রী বেগম মুন্নুজান সুফিয়ান, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাৎ হোসেন, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এস এম কামাল হোসেন, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ সভাপতি ড. নিম চন্দ্র ভৌমিক, ন্যাপের ইসমাইল হোসেন, জেপি’র সাধারণ সম্পাদক শেখ শহীদুল ইসলাম, এস কে শিকদার, অসিত বরণ রায়, রেজাউর রশীদ খান, শরীফ শফিকুল হামিদ চন্দন, ফজলুর রহমান, ইকবাল হোসেন প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নির্বাচন

২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ