নারী দিবস ম্যারাথনে পাপিয়া চ্যাম্পিয়ন
‘নিরাপদ সমাজ, নিরাপদ নারী’-স্লোগানে অনুষ্ঠিত নারী দিবস রেগুলার ম্যারাথনে রেগুলার বাংলাদেশের পাপিয়া খাতুন চ্যাম্পিয়ন, হামিদা
আসন্ন ঘরোয়া মৌসুমে সব শিরোপায় চোখ বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের নবাগত দল বসুন্ধরা কিংসের। আন্তর্জাতিক ফুটবলের পর এবার ঘরোয়া আসরের ব্যস্ততা। আগামীকালই শেষ হচ্ছে নতুন মৌসুমের দলবদল কার্যক্রম। এর আগে গতকাল এই কার্যক্রমকে যেন চাঙ্গা করে গেছে বসুন্ধরা কিংস। তারা ২০টি বাসকে স্কর্ট করে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা থেকে দলের ফুটবলার ও কোচদের নিয়ে আসে মতিঝিলস্থ বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) ভবনে। এই বহরে প্রায় শ’খানেক মোটর বাইকের সঙ্গে ছিল বাদ্যযন্ত্রের দলও। ঢাক-ঢোল, বাদ্যের তালে তালে কাল বিকেলে দলবদলে এসে বসুন্ধরার কর্তারা ঘোষণা দেন,তাদের লক্ষ্য আসন্ন মৌসুমের সব শিরোপা ঘরে তোলা।
বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি ও পেশাদার লিগ কমিটির চেয়ারম্যান আবদুস সালাম মুর্শেদীর হাতে ৩২ ফুটবলারের নিবন্ধণ ফরম জমা দিয়ে বসুন্ধরা সভাপতি ইমরুল হাসান বলেন, ‘আমরা নতুন মৌসুমের সব সোনালী ট্রফি চাই; ভালো খেলতে চাই এএফসি কাপে।’
২০১০-১১ মৌসুমে তারকাখচিত দল গড়ে সাড়া ফেলেছিল শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। বড় দলের তকমা ধরেও রেখেছে তারা। বসুন্ধরাও বড় অঙ্কের বাজেট নিয়ে মাঠে নেমেছে এবার। দলে ভিড়িয়েছে স্থানীয় অধিকাংশ তারকা ফুটবলারকে। মিডফিল্ডার ইমন মাহমুদকে সর্বোচ্চ ৬৫ লাখ টাকা পারিশ্রমিক দিলেও অঙ্কটা কাল বলতে নারাজ ছিলেন ইমরুল হাসান। সভাপতির কথা, ‘শক্তিশালী দল গড়তে বড় অঙ্কের টাকা খরচ করতেই হয়। গুঞ্জন আছে- কাউকে নাকি ৭০-৮০ লাখ টাকা দিয়েছি আমরা। এটা ঠিক না, যার যা প্রাপ্য তাকে ওই পরিমান অর্থই দেয়া হয়েছে। এটাও মানতে হবে ভালো পারিশ্রমিক ছাড়া বিশ্বকাপ খেলা ফুটবলার আনা যায় না।’ তিনি প্রতিশ্রুতি দিলেন, ‘ভালো খেলা দেখতে মাঠে দর্শক আসবে।
বিশ্বকাপে খেলা ক্রোয়েশিয়ার ড্যানিয়েল কলিন্দ্রেস সহ ভালোমানের বিদেশি ফুটবলার এবার বসুন্ধরা শিবিরে। চার বিদেশি কোটায় অন্য তিনজন ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার মার্কোস ভিনিয়াসকে নিয়ে বেশ আশাবাদী ক্লাব। এশিয়ান কোটায় ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডে খেলবেন অস্ট্রেলিয়া জাতীয় দলের এক ফুটবলার। কাল মধ্যরাতে চলে আসার কথা তার। রক্ষণভাগে স্পেনিশ কোচ অস্কার ব্রুজেনের পছন্দে মালদ্বীপের নিউ রেডিয়েন্ট থেকে বাগিয়ে আনা হয়েছে জর্জ গোটর বুসকে।
বসুন্ধরার মতো বড় শিল্প প্রতিষ্ঠান ফুটবলে আসার কারণ ব্যাখ্যা করলেন ইমরুল, ‘ফুটবলের জনপ্রিয়তা ফিরিয়ে আনতে চাই। এজন্য বিশ্বকাপ খেলা খেলোয়াড় এনেছি। পাশাপাশি ফুটবলের মান উন্নয়নও আমাদের লক্ষ্য।’
গোলরক্ষক: মিতুল হাসান, আনিসুর রহমান জিকো, নূর মুহাম্মদ,রাকিবুল হাসান তুষার। রক্ষণভাগ: সাদ্দাম হোসেন অ্যানী, শোয়েব মিয়া, রাকিন, নুরুল নাইম ফয়সাল, রেজাউল করিম, সুশান্ত ত্রিপুরা, জর্জ গোতর, নাসিরউদ্দিন চৌধুরি, দিদারুল হক। মিডফিল্ডার: সালাহউদ্দিন, কৃষ্ণ মালি, নাইমউদ্দিন, মাসুক মিয়া জনি, ইমন মাহমুদ, ড্যানিয়েল কলিনগ্রেস, সোহানুর রহমান, আলমগীর কবির রানা, ইব্রাহিম, হেমন্ত ভিনসেন্ট, মার্কোস, শামীম, সানোয়ার হোসেন, সালাহউদ্দিন শেখ, রাকিবুল ইসলাম। ফরোয়ার্ড: মতিন মিয়া, তৌহিদুল আলম সবুজ, মাহবুবুর রহমান সুফিল ও বিশাল দাস।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।