বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
নির্বাচন শব্দটির মধ্যে একটা সর্বজনীনতা বিদ্যমান। এই সর্বজনীনতাকে পুঁজি করে একটি স্বতঃস্ফূর্ত, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন গণতন্ত্রের ভিতকে মজবুত করে তোলে। যা বহির্বিশ্বে দেশের ভাবমর্যাদা উজ্জ্বল করে। দেশের পরিস্থিতির দৃশ্যপট বদলে দেয় নির্বাচন। অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করার লক্ষ্যে সরকারের উচিৎ নিরপেক্ষ হয়ে সব পক্ষকে সমান তালে তাদের কর্মসূচি নিয়ে কাজ করার সুযোগ তৈরি করে দেয়া। মনে রাখা প্রয়োজন, ছোট্ট একটি ভুল ভবিষ্যতে বড় ভুলকে উৎসাহিত করে। ফলে দেশ ও সমাজের সর্বনাশে তা সহায়ক হয়।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর বনানীতে লন্ডন কলেজ অফ লিগ্যাল স্টাডিজের হল রুমে ‘আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমাদের ভাবনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় সাউথ এশিয়ান ল’ইয়ার্স ফোরামের সভাপতি ও বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের অ্যাডভোকেট শেখ সালাহউদ্দিন আহমেদ এ কথা বলেন।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, ব্যারিস্টার মোহাম্মদ তৌফিকুর রহমান, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ এনামুল হক এনাম, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলমগীর খান, অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম আকাশ প্রমুখ।
শেখ সলাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা চাই অংশগ্রহণমূলক ও স্বতঃস্ফূর্ত নির্বাচনের মধ্যমে বিজয়ী দলের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর। এতে যদি আওয়ামী লীগ সরকার আবার ক্ষমতায় আসে জনগণ এই রায় মেনে নিবে।
তিনি বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য দরকার নিরপেক্ষ ও দক্ষ নির্বাচন কমিশন। সাধরণত দেখা যায়, যারা ক্ষমতায় থাকে তারা নিজের স্বার্থে নির্বাচন কমিশনকে ব্যবহার করার চেষ্টা করে থাকেন। স্বাধীন নাগরিক হিসেবে যদি নিজের ভোটাধিকার প্রয়োগ না করা যায় তাহলে সেই নির্বাচনকে স্বচ্ছ বলা যাবে না। স্বচ্ছ নির্বাচনের জন্য স্বাধীন, নিরপেক্ষ ও দক্ষ নির্বাচন কমিশন একান্ত প্রয়োজন।
তিনি বলেন, নির্বাচনের ভোটাররা যেন অবাধে ভোট দিতে কেন্দ্রে যেতে পারেন, সে নিশ্চয়তা প্রদান করতে হবে। সবাইকে মনে রাখতে হবে, নির্বাচন মানে শুধু ক্ষমতার রদবদল বা পরিবর্তন নয়। এটির সামাজিক বাস্তবতা অনেক। এটি সমাজ নির্মাণের একটি শক্তিশালী ভিত্তি। #
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।