Inqilab Logo

শক্রবার ০৯ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ কার্তিক ১৪৩১, ০৬ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

পরমাণু হামলার মহড়া রাশিয়ার

সিরিয়ায় ইরানের উপস্থিতি ইসরাইলের কোনো বিষয় নয় : মস্কো

ইনকিলাব ডেস্ক : | প্রকাশের সময় : ১৩ অক্টোবর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

রাশিয়ার ব্যারেন্ট এবং ওখস্তস্ক সমুদ্রের ঘাঁটিতে পরমাণু হামলার প্রস্তুতিমূলক মহড়া চালিয়েছে সামরিক বাহিনী। গুরুত্বপূর্ণ এ মহড়া চালিয়েছে পরমাণু ইউনিট দেশের নৌসীমায়। বৃহস্পতিবার রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রুশ প্রেসিডেন্ট ও সুপ্রিম কমান্ডার-ইন-চিফ ভ্ল্যাদিমির পুতিনের নির্দেশে ১১ অক্টোবর কৌশলগত পরমাণু বাহিনী মহড়া চালিয়েছে। এতে পরমাণু হামলা ও প্রতিরোধের দৃশ্য প্রদর্শিত হয়। মহড়ার সময় ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সতর্ক সংকেত দেয়ার ব্যবস্থাগুলো সাবমেরিন থেকে ছোড়া সব ক্ষেপণাস্ত্র সঠিকভাবে শনাক্ত করতে ও সেসব তথ্য সাফ্যলের সঙ্গে কমান্ড সেন্টারে পাঠাতে সক্ষম হয়। খবরে বলা হয়, রুশ সেনারা ব্যারেন্ট এবং ওখস্তস্ক সমুদ্রের ঘাঁটিতে রাখা সাবমেরিন থেকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুঁড়ছে। এ পরীক্ষার মাধ্যমে রুশ সেনাদের যুদ্ধক্ষেত্রে সময়মতো হামলার সক্ষমতা যাচাই করা হয়েছে। মহড়ায় রাশিয়ার দীর্ঘপাল্লার বিমানও অংশ নেয়। এ বিমান থেকে পরমাণু ওয়ারহেড বহনে সক্ষম ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রসহ নানা রকমের ক্ষেপণাস্ত্র ও গোলা ছোঁড়া হয়। অপরদিকে, রাশিয়ার অন্যতম উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী মিখাইল বোগদানভ বলেছেন, সিরিয়ার মাটিতে ইরানি সেনাবাহিনীকে রাখার সার্বভৌম অধিকার রয়েছে দামেস্ক সরকারের; এটা ইহুদিবাদী ইসরাইলের কোনো বিষয় নয়। সিরিয়া থেকে ইরানের সামরিক উপদেষ্টাদেরকে বহিষ্কার করতে হবে বলে ইসরাইল যে দাবি তুলেছে তার জবাবে রুশ মন্ত্রী এ মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেন, সিরিয়া হচ্ছে জাতিসংঘের একটা সদস্য দেশ এবং রাশিয়া, আমেরিকা কিংবা অন্য সদস্য দেশগুলোর মতো তারও নিজের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার সমান অধিকার রয়েছে। তিনি আরো বলেন, এটা হচ্ছে একটা বৈধ সরকারের অধীনে পরিচালিত সার্বভৌম দেশ। এটা ইরান, রাশিয়া, ইসরাইল কিংবা যেকোনো দেশের সঙ্গে সহযোগিতা করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারে। ইসরাইলের টিভি চ্যানেল আই২৪নিউজ-কে বৃহস্পতিবার রাতে দেয়া সাক্ষাৎকারে বোগদানভ এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, “সিরিয়া একটা সার্বভৌম দেশ এবং তার অভ্যন্তরীণ রাজনীতি ও নীতিতে তৃতীয় কোনো দেশের হস্তক্ষেপ করা উচিত না।” তিনি জানান, এরইমধ্যে আমেরিকা ও ইসরাইলকে মস্কো বলেছে যে, সিরিয়ার মাটিতে কে থাকবে তা সিরিয়ার সার্বভৌম সিদ্ধান্তের বিষয়। দামেস্ক সরকার রাশিয়া ও ইরানকে সেখানে থাকার জন্য বলেছে এবং ইরানও বিভিন্ন পর্যায়ে জানিয়েছে যে, প্রেসিডেন্ট বাশার আসাদ চান ইরানের সামরিক উপদেষ্টারা সিরিয়ায় থাকুক। বাশার আসাদ এও বলেছেন যে, সফলতার সঙ্গে সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী অভিযান শেষ হলে কারো উপস্থিতির প্রয়োজন হবে না। পার্সটুডে, আরটি, প্রাভদা।



 

Show all comments
  • আরজু ১৩ অক্টোবর, ২০১৮, ৪:২১ এএম says : 0
    এই অস্ত্র প্রদশনী যে কবে বন্ধ হবে ?
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ