মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ইনকিলাব ডেস্ক : উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক হুমকির মোকাবেলায় যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়া গতকাল সোমবার তাদের যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করেছে। কোরীয় উপদ্বীপের জলসীমায় এই মহড়াকে এযাবতকালের বৃহত্তম যৌথ সামরিক মহড়া বলে ঘোষণা করা হয়েছে। বলা হয়েছে, এই মহড়ায় উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে কিভাবে সফল হামলা চালানো যায় তারই অনুশীলন করা হবে।
পক্ষান্তরে যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক মহড়াকে উস্কানিমূলক আখ্যায়িত করে এর বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া তাদের যৌথ সামরিক মহড়া চালিয়ে যেতে থাকলে দেশ দুটির বিরুদ্ধে নির্বিচারে পারমাণবিক হামলা চালানো হবে বলে হুমকি দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। গতকাল সোমবার বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়। যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া তাদের এ পর্যন্ত সবচেয়ে বড় বার্ষিক যৌথ সামরিক মহড়া শুরু করতে যাচ্ছে। এবারের সামরিক মহড়ায় দেশ দুটির সাথে জাপানও অংশ নেবে বলে জানানো হয়েছে। এর ফলে ওই এলাকায় উত্তেজনা আরো বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
কোরীয় অঞ্চলে সামরিক মহড়া সব সময়ই উত্তেজনাকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। কোরিয়া উপদ্বীপে চলমান চরম উত্তেজনাকর পরিস্থিতির মধ্যে দুই মিত্র যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়া যৌথ সামরিক মহড়ার উদ্যোগ নিয়েছে। এর প্রেক্ষাপটে উত্তর কোরিয়ার কাছ থেকে দেশ দুটির বিরুদ্ধে পারমাণবিক হামলা চালানোর হুমকি এল। মহড়ায় দক্ষিণ কোরিয়ার অন্তত তিন লাখ এবং যুক্তরাষ্ট্রের ১৫ হাজার সেনা অংশ নেবে। গতকাল থেকে শুরু হয়ে আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত মহড়া চলবে।
‘উসকানিমূলক কার্যক্রমের’ জন্য উত্তর কোরিয়াকে সতর্ক করে দেয়াই এই মহড়ার উদ্দেশ্য বলে বলা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র ও দক্ষিণ কোরিয়ার এই যৌথ সামরিক মহড়াকে নিজেদের ওপর আক্রমণের প্রস্তুতি হিসেবেই গণ্য করে উত্তর কোরিয়া। আক্রান্ত হওয়ার আগেই আঘাত হানার জন্য দেশের সামরিক বাহিনী বিন্যস্ত করে নিতে নির্দেশ দিয়ে রেখেছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন। সম্প্রতি তিনি বলেছেন, পারমাণবিক অস্ত্র যেকোনো সময় ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত রাখতে হবে। উত্তর কোরিয়ার এমন হুমকি-ধমকি অবশ্য নতুন কিছু নয়। পারমাণবিক লড়াইয়ে জড়ানোর সামর্থ্য সত্যিই উত্তর কোরিয়ার আছে কি না, তা নিয়ে সামরিক বিশ্লেষকদের সন্দেহ আছে। এএফপি, ওয়েবসাইট।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।